করোনা: লিচু নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষি ও ব্যবসায়ীরা



নাইমুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নাটোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুয়ারে কড়া নাড়ছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ। পাইকার আর ব্যবসায়ীদের দেন-দরবারে স্বভাবতই এখন কর্মমুখর থাকার কথা 'লিচুর রাজ্য' হিসেবে পরিচিত নাটোরের গুরুদাসপুরের লিচু মোকামগুলো। অথচ এসব লিচুই এখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সহস্রাধিক চাষি ও ব্যবসায়ীদের।

সপ্তাহখানেক পরই লিচু উঠবে বাজারে। অথচ করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আগাম টাকা দিয়ে আড়ত থেকে লিচু বায়না করতে এখনো আসা শুরু করেনি পাইকাররা। উল্টো বায়না করা বাগান ফেরত দিয়ে টাকা নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ক্ষুদ্র, বাণিজ্যিক ভিত্তিক লিচু উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীরা কার কাছে লিচু বিক্রি করবেন, সে হিসেব মেলাতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২১ মে চলতি মৌসুমের প্রথম লিচু আহরণের সময় নির্ধারণ করেছে নাটোর জেলা প্রশাসন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৯১৩ হেক্টর বাগানে লিচু চাষ হয়েছে। এ থেকে সাড়ে ৮ হাজার টন লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। শুধু গুরুদাসপুরেই ৪১০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে যা থেকে ৩ হাজার ৬৯০ টন লিচুর উৎপাদন হবে।

জেলার সর্ববৃহৎ লিচুর মোকাম গুরুদাসপুরের নাজিরপুর উপজেলার কানুর বটতলার ব্যবসায়ীরা জানান, জ্যৈষ্ঠের প্রথম বা শেষ তিন সপ্তাহ এখানে লিচুর মৌসুম হিসেবে বিবেচিত হয়। এ সময় প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক লিচু এখান থেকে সারাদেশে সরবরাহ করা হয়। প্রতি ট্রাকে অন্তত ৫ লাখ টাকার লিচু থাকে। সে হিসেবে তিন সপ্তাহের মৌসুমে গড়ে ১০ কোটি টাকার লিচু শুধু এই মোকাম থেকেই কেনাবেচা হয়। গুরুদাসপুরে এমন মোকাম আরও ১০টি রয়েছে। সব মিলিয়ে গুরুদাসপুর থেকেই প্রতি মৌসুমে শতকোটি টাকার লিচু কেনাবেচা হয়।

লিচু বাগান মালিকরা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, বিগত বছরগুলোর তুলনায় ফলন ভালো হলেও এবার ক্রেতা নেই। লিচুর ফুল আসা শুরুর পর অনেক বাগান কেনাবেচা হয়েছে। তবে করোনার কারণে লকডাউন শুরুর পর লিচু বিক্রির অনিশ্চয়তা থেকে বাগান দিয়ে আগাম টাকা ফেরত নিয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। বাগান ফেরত পেয়ে বিপাকে পড়েছেন মালিকরা। বাগান আগাম নেওয়া ব্যবসায়ীরাই লিচুর বাজারজাতকরণ সম্পর্কে প্রকৃত ওয়াকিবহাল। তাই বিপুল পরিমাণ লিচু বিক্রি নিয়ে মালিকদের বেগ পেতে হবে। এছাড়া প্রত্যেক চাষি এবার লিচুর কাঙ্ক্ষিত দাম ও বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় আছেন।

নাজিরপুরের লিচু চাষি শাহাদত হোসেন জানান, প্রায় ২৫ বিঘার ৮টা বাগান ইজারা নিয়েছেন তিনি। যেখানে ৫০০ টির মতো লিচু গাছ রয়েছে। বাগান প্রতি ইজারা ব্যয় ও কীটনাশকসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় বাবদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও ফলন ভালো। এরইমধ্যে কিছু গাছে লিচু পাকতে শুরু করেছে। কিন্তু এবার ঢাকার পাইকাররা আসবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে।

চাঁচকৈরের লিচু ব্যবসায়ী ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের লিচুর বাজার বাইরের ক্রেতা নির্ভর। করোনার কারণে অন্য জেলা থেকে মহাজন, ব্যাপারী ও ফড়িয়ারা এবার ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। তাই আমরাও বাগান নেওয়া বা চাষিদের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে আসতে পারছি না। এবার প্রায় বাগানেই ফলন ভালো হওয়ায় ন্যায্যমূল্য নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।’

লিচু চাষি আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউনের আগে অগ্রিম প্রদান করে বাইরের এক পাইকার তাদের একটি বড় বাগান নেন। তবে লকডাউনের কারণে অগ্রিম অর্থ ফেরত নিয়ে গেছেন। এখন বাগানভর্তি লিচু নিয়ে বিপদে পড়েছি। যারা নিয়মিত ব্যবসায়ী তারা জানেন লিচুর বাজার সম্পর্কে, যা আমার জানার কথা নয়। এখন লিচু কীভাবে বিক্রি করবে সেটাই ভাবছি।’

চাপিলা ইউনিয়নের চাষি সাকিব আল হাসান সোহেল জানান, তাদের তিন বিঘার বাগানে এবার ভালোই লিচু ধরেছে। এখন পর্যন্ত অর্ধ লক্ষাধিক টাকা খরচ করেছেন কীটনাশক ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বাবদ। ঝড়-বাদলে না ঝরলে লিচু শেষ পর্যন্ত ভালো লিচু আহরণ করা যাবে। কিন্ত লকডাউন পরিস্থিতিতে কোন পাইকার লিচু কিনতে না এলে লোকসানে স্থানীয় বাজারে লিচু বিক্রি করতে হবে।

গুরুদাসপুরের আড়তদার ও লিচু চাষি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘লিচু বাজারজাতকরণ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এমনিতেও পচনশীল হওয়ায় লিচুতে সবসময় ঝুঁকি থাকে, এবার তা অন্যবারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। লিচু আহরণ ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িত ১০ হাজার শ্রমিক কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছেন। লিচুর কোটি টাকার ব্যবসা এবার অনিশ্চিত।’

জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেন, ‘লিচুর আহরণের সময়সীমা আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি। কিন্ত বাজার সৃষ্টি করতে হবে চাষিদের। চাষিরা চাইলে বাজারজাতকরণে সহযোগিতা করবে প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ।’

   

রাজশাহীতে ট্রাক চাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর পবায় ট্রাকচাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, দামকুড়া উপজেলার নতুন কশবা এলাকার লাল মোহাম্মদের ছেলে আসিফ ইকবাল (১৯), সুত্রাবন এলাকার আলমগীরের ছেলে সুইট (৩১) ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি এলাকার মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে তাজুল ইসলাম (২৫)।

অপরদিকে আহতরা হলেন, মো. জুলহাস উদ্দিন (৩২) ও মো. রিমন হোসেন (৩৫)। জুলহাস জেলার দামকুড় উপজেলার আলীগঞ্জ এলাকার মো. রবিউল ইসলামের ছেলে ও রিমন একই উপজেলার নতুন কশবা এলাকার মো. মানিক মিয়ার ছেলে।

দামকুড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর বলেন, বিকেলে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় বালুবাহী একটি ডাম্পট্রাক দুটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এসময় পাঁচ আরোহীর মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

 

;

চট্টগ্রামে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় মোছাম্মৎ সাফা নামের ছয় মাস বয়সী একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের ধারণা, অতি গরমে শিশুটি হিট স্ট্রোকে মারা গেছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) উপজেলার পশ্চিম শাকপুরা ২নং ওয়ার্ড আনজিরমারটেক সৈয়দ আলমের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি নাম মো. নিজাম উদ্দীনের মেয়ে।

নিহতের বাবা নিজাম উদ্দীন বলেন, ভোরে মায়ের বুকের দুধ পান করার কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়ে পড়ে। সে সময় ঘরে বিদ্যুৎ ছিলো না। সকাল সাতটায় মেয়েকে কোলে নেয়ার পর তার শরীর ঠাণ্ডা অনুভব হলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাবরিনা আকতার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডাক্তার সাবরিনা আকতার বলেন, হিট স্ট্রোকে মারা গেছে কিনা সেটা পুরোপুরি বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত করলে তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বলা যাবে আসলে কি হয়েছিল শিশুটির। তবে ধারণা করা হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে সে মারা যায়।

প্রচণ্ড গরমে শরীর উত্তপ্ত হয়ে অতি দুর্বলতা, বমির উদ্রেক, মাথাব্যথা, শরীর ঝিমঝিম করা, খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণকে হিট স্ট্রোক বলে। হঠাৎ করে এমন সমস্যা দেখা দেয়। এটি একটি অতি জরুরি অবস্থা। যাকে বলা হয় মেডিকেল ইমার্জেন্সি।

 

;

বরিশালে গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে অভিযান, ১৩ গাড়িকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের যাত্রায় বরিশাল জেলার মহাসড়কে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন নিশ্চিত করতে গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে বরিশালের জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের নিরবচ্ছিন্ন ভাংগা-কুয়াকাটা মহাসড়কের বরিশাল জেলার গৌরনদী, উজিরপুর, বাবুগঞ্জ, বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলায় অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ যাত্রী ও সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে করতে মোবাইল কোর্ট অভিযানের অংশ হিসেবে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় তারা স্পিডোমিটার দিয়ে গাড়ির গতিসীমা পরীক্ষা করেন। দূরপাল্লার গাড়িগুলোকে মহাসড়কে গতিসীমা মেনে চলতে সতর্ক করা হয়।

এ সময় রুটপারমিট বিহীন গাড়ি, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অপরাধে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর বিধান মোতাবেক ১৩টি মামলায় ৩২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। যাত্রী ও সড়ক নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসন বরিশালের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

ট্রাফিক পুলিশের মাঝে স্যালাইন ও লেবু পানি সরবরাহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে বৈশাখের প্রচণ্ড তাপদাহে রোদে পুড়ে সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। দায়িত্বরত এই সকল পুলিশ সদস্যদের পেশাগত কাজে স্বস্তি ও ক্লান্তি দূর করতে স্যালাইন ও লেবু পানি সরবরাহ করছে ডিএমপির তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহে বাইরে বের হওয়াই যখন দায় তখন রাস্তায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে মহানগরবাসীকে প্রতিনিয়ত সেবা ও অত্যন্ত পরিশ্রমের কথা চিন্তা করে পুলিশের আইজিপি ও কমিশনারের সার্বিক নির্দেশনায় তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তাক আহমেদের তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সদস্যদের জন্য স্যালাইন সরবরাহ ও লেবু পানির ব্যবস্থা করেন।

পরবর্তীতে ডিএমপি কমিশনারের তাৎক্ষণিক নিদের্শনায় ডিএমপির সকল ট্রাফিক বিভাগে স্যালাইন সরবরাহ করা হয়।

এডিসি জাহাঙ্গীর আরও বলেন, শুক্রবার দুপুরের পর ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের রাজধানীর শেরেবাংলানগর, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের প্রতিটি পয়েন্টে লেবু পানি শরবতের ব্যবস্থা এবং স্যালাইন সরবরাহ করা হয়। প্রতিটি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারগণের তদারকি ও নেতৃত্বে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যগণের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা হচ্ছে।

;