চকরিয়ায় ধর্ষণ মামলার আসামী বন্দুকযুদ্ধে নিহত

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কক্সবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সম্প্রতি চম্পা বেগম (১৯) নামে এক তরুণীকে ধর্ষণ পরবর্তী চলন্তগাড়ী থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়। ওই মামলার প্রধান আসামী সাজ্জাদ হোসেন (৩০) পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ মে) ভোররাতে চকরিয়ার কোনাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাজ্জাদ হোসেন পেকুয়া উপজেলা সদরের কিল্লাঘোনা এলাকার আবুল হোসেন পুতুর ছেলে।

বিজ্ঞাপন

এসব তথ্য নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আটকের পর চম্পা হত্যার মূল আসামী সাজ্জাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র উদ্ধারে কোনাখালী এলাকায় গেলে তার লোকজনকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও সাজ্জাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত যে, গত ৬ মে সিএনজি যোগে চম্পা বেগম চট্টগ্রাম শহর থেকে নিজ বাড়ি খরুলিয়ায় ফিরছিলেন। রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে চকরিয়া মরংঘোনা এবিসি মহাসড়কে চলন্ত গাড়ি থেকে ছোড়ে ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ওই দিন রাত ১১টায় চম্পার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে রেখেছিল কয়েকজন।

বিজ্ঞাপন

নিহত চম্পা বেগম (১৯) কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়ার নয়াপাড়ায় এলাকার রুহুল আমিনের বিবাহিতা মেয়ে। এদিকে এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ধর্ষক ও হত্যাকারীদের মধ্যে জয়নাল (১৮) নামের একজনকে আটক করেছে র‍্যাব -১৫ এর সদস্যরা। ঘটনার পরদিন ৭ মে সিএনজি চালক আটকের পরদিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উদঘাটন করে র‍্যাব-১৫। আটক জয়নাল পেকুয়া সদর ইউনিয়নের নন্দীপাড়ায় এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। জব্দ করা হয়েছে সেই সিএনজিও। এ ঘটনার মূল হোতা সাজ্জাদকে ১১ মে সকালে পুলিশে দেয় জনতা।