৯৯৯-এ কল করে দৃষ্টি আকর্ষণ, ঘর পেলেন হতদরিদ্র নারী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ঘরের চাবি ও কাগজপত্র বুঝিয়ে দিচ্ছেন ইউএনও, ছবি: বার্তা২৪.কম

ঘরের চাবি ও কাগজপত্র বুঝিয়ে দিচ্ছেন ইউএনও, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৯৯৯-এ কল করে নিজের কষ্টের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন পটুয়াখালী পৌরসভার ড্রেনের ওপর ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করা হতদরিদ্র নাহার বেগম।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠী আবাসনে তাকে একটি ঘর দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (১ মে) দুপুরে তার হাতে ঘরের চাবি ও কাগজপত্র বুঝিয়ে দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লতিফা জান্নাতী।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে অনত্র চলে যাওয়ায় এক ছেলেকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েন নাহার বেগম। ছেলেকে নিয়ে তার ঠাঁই হয় পৌরসভার লাউকাঠী খেয়াঘাট এলাকায় ড্রেনের ওপর। সেখানেই ঝুপড়ি ঘর করে কয়েক বছর ধরে বসবাস করে আসছেন তিনি ও তার ছেলে।

নাহার বেগম জানান, তার স্বামী তার ও সন্তানের কোনো ভরণ-পোষণ দিচ্ছেন না। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। নিজের আট বছরের বাচ্চাকে নিয়ে বাসায় বাসায় কুরআন শিখিয়ে যে টাকা পান, তা দিয়েই জোটে তাদের দু’বেলার ভাত। কিন্তু করোনার কারণে দীর্ঘ দুই মাস কুরআন পড়ানো বন্ধ। ফলে দিশেহারা হয়ে তিনি গত ২০ এপ্রিল জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে নিজের কষ্টের কথা জানান এবং প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

ঘরের চাবি ও কাগজপত্র বুঝিয়ে দিচ্ছেন ইউএনও, ছবি: বার্তা২৪.কম

তার তথ্য পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীর কাছে পাঠানো হলে তিনি তার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের মাধ্যমে নাহার বেগমের সাথে যোগাযোগ করেন। যোগাযোগের পর সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সদর উপজেলার ভূমি অফিসের মাধ্যমে তার থাকার জন্য পটুয়াখালী লাউকাঠী আবাসনে একটি ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

ঘর পেয়ে আনন্দ অশ্রুসিক্ত নয়নে নাহার বলেন, ঝড়-বৃষ্টিতে এখন আর ভিজতে হবে না, আশ্রয় খুঁজতে হবে না। আমি প্রধানমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ।

ইউএনও লতিফা জান্নাতী জানান, একজন মা ও ছেলের ড্রেনের ওপর ঝুপড়িতে বসবাস করতেন। কিন্তু সেখানেও তিনি থাকতে পারছেন না। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে আজ এক নম্বর লাউকাঠি আবাসনে তাদের বসবাসের জন্য একটি ঘর দেওয়া হলো।

   

বগুড়ার কোল্ড স্টোরেজে লক্ষাধিক ডিম মজুদ, দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধভাবে এক লাখেরও বেশি ডিম মজুদ রাখার দায়ে বগুড়ার সাথী হিমাগার ইউনিট-২ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে সদর উপজেলা প্রশাসন। সেইসঙ্গে ডিমগুলো দুই দিনের মধ্যে বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বিকেল ৪টায় বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের ঘোরাধাপ এলাকার সাথী হিমাগার ইউনিট-২ এ অভিযান পরিচালনা করেন বগুড়া সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল হাসান।

এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন মাঠ ও বাজার পরিদর্শক মোঃ আবু তাহেরসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে বেলা ১১টায় বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ফাতেমা সাইদুর হিমাগারে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ৩০ হাজার ডিম মজুদ রাখার দায়ে ডিম ব্যবসায়ী হাসেন আলীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শাজাহানপুর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল নাইম এই অভিযান পরিচালনা করে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বগুড়ার মাঠ ও বাজার পরিদর্শক মোঃ আবু তাহের বলেন, দুইটি কোল্ড স্টোরেজে যারা ডিম মজুদ করে রেখে ছিলো তারা প্রত্যেকেই অতি মুনাফার লোভে এটা করেছিলো। মজুদের কারণে ডিমের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। আমাদের এরকম অভিযান প্রতিদিন চলবে।

বগুড়া সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল হাসান বলেন, গোপন সংবাদে আমরা প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান পরিচালনা করি। সেখানে অবৈধ মজুদ ১ লাখ ৮ হাজার ৬১০ পিস ডিম পাওয়া যায়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন ডিম ব্যবসায়ীকে ডেকে সাথে সাথে ৪০ হাজার ডিম বিক্রি করা হয়েছে। বাকী ডিমগুলো আজ এবং আগামীকালের মধ্যে বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

;

লালমনিরহাটে নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে তিস্তা নদীতে চার বন্ধু মিলে গোসল করতে গিয়ে জিহাদ (১৪) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে ) বিকেলে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের মুন্সির বাজার তিস্তা পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জিহাদ মিয়া উপজেলার কাশিরাম গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

স্থানীয়রা বলেন, আজ বিকেলে বাড়িতে না জানিয়ে চার বন্ধুর সঙ্গে তিস্তা নদীতে গোসল করতে যায় জিহাদ। গোসল করে সবাই উঠে এলেও জিহাদকে না পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অনেক সময় ধরে খোঁজাখুঁজি করে বন্ধুরা। পরে জিহাদকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জিহাদকে মৃত্যু ঘোষণা করে।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বার্তা২৪.কমকে বলেন, নিহতের পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।

;

বজ্রপাতে তিন জেলায় ৭ জনের মৃত্যু



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বজ্রপাতে তিন জেলায় ৭ জনের মৃত্যু

বজ্রপাতে তিন জেলায় ৭ জনের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন জেলায় বজ্রপাতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে নরসিংদীতে চারজন, টাঙ্গাইলে দুইজন ও গাজীপুরে একজনের মৃত্যু হয়। বার্তা২৪.কমে'র জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর...

নরসিংদী

নরসিংদীতে বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালী উত্তরপাড়া ও শহরতলীর হাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- চরাঞ্চল আলোকবালী উত্তরপাড়ার কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৫০), তার ছেলে ইকবাল হোসেন (১২) এবং করম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২২)। এ ঘটনায় কামাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। তারা সকলেই আলোকবালী উত্তরপাড়ার বাসিন্দা।

এছাড়া সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চকপাড়ায় মোছলেহউদ্দিন (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

পুরো খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

গাজীপুর

গাজীপুরের শ্রীপুরে ধান শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে ফাতেমা আক্তার (৪৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া এলাকায় ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ ওই এলাকার বাসিন্দা মোঃ নূর হোসেনের স্ত্রী।

পুরো খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আফজাল হোসেন ও আমির হোসেন। তারা দিনাজপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চকদফরপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহতরা সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই।

পুরো খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

;

পথচারীদের ধাক্কা দিয়ে পুকুরে লরি, মৃত্যু বেড়ে তিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা বিমানবন্দর সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরি পুকুরে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি আছে আরও তিনজন।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তাসফিয়া আক্তার (২০) নামের এক তরুণী।

এর আগে, শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে আটটার দিকে পতেঙ্গায় বাটারফ্লাই পার্কের পাশে নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি লরির ধাক্কায় পুকুরে চাপা পড়েন তাসফিয়া, তার স্বামী আনিসুজ্জামান সানি, বোন নুসরাত (৩৫) ও বোনের ৪ বছর বয়সী ছেলে নাজমুস সাবিকসহ ৬ জন পথচারী। পরে স্থানীয়দের সহযোহিতায় তাসফিয়া ও তার স্বামী সানিসহ ৫ জনকে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক সানিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে পুুকুরে লরির নিচে চাপা পড়ে নিখোঁজ সাবিককে রাত ১২টায় মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। আর আহত অবস্থায় এখনও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাসফিয়ার বোন নুসরাত, মো. ইমরান (৮) ও নুরুল আমিন (২১)।

জানা গেছে, তিন মাস আগে বিয়ে করেন সানি-তাসফিয়া। শুক্রবার পতেঙ্গার নাজির পাড়া এলাকায় তাসফিয়ার বড় বোনের বাসায় বেড়াতে আসেন তারা। এদিন বড়বোনের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নেভাল এলাকায় ঘুরতে যায় তারা। ঘুরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় ফুটপাত ধরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। ওই সময় নিয়ন্ত্রণ হারানো লরিটি তাদের চাপা দিয়ে বাটারফ্লাই পার্কের পাশের পুকুরে পড়ে যায়।

তিনজন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় চালক ও তার সহকারীর বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হয়েছে। চালকের সহকারী কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ওসি বলেন, লরিটি মূলত চালক সহকারী কামাল হোসেন চালাচ্ছিল। এক পর্যায়ে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীদের উপর দিয়ে পুকুরে পড়ে যায়।

;