বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল কিশোরগঞ্জ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

কিশোরগঞ্জ থেকে: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রত্যুষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকপ সপরিবারে হত্যার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল তৎকালীন মহকুমা শহর কিশোরগঞ্জ। তাৎক্ষণিক ঝটিকা মিছিল বের করেন একদল প্রতিবাদী তরুণ। তাদের কণ্ঠে ছিল ‘মুজিব হত্যার পরিণাম বাংলা হবে ভিয়েতনাম, বঙ্গবন্ধুর রক্ত বৃথা যেতে দেব না’ ইত্যাদি শ্লোগান।

রেডিওতে বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর শুনেই তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা সর্বাগ্রে প্রতিবাদ সংগঠন করেন। তারা শহরের গৌরাঙ্গ বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে এসে জড়ো হন। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিপিবির প্রয়াত সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম, বর্তমান জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, অ্যাডভোকেট গোলাম হায়দার চৌধুরী, জেলা সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট অশোক সরকার, গণতন্ত্রী পার্টির নেতা হাবিবুর রহমান মুক্তু।

হাওর বিশেষজ্ঞ হালিম দাদ খান রেজোয়ান, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংগঠনিকি সম্পাদক পীযুষ কান্তি সরকার, সিপিবি নেতা ডা. এনামুল হক ইদ্রিছ, অ্যাডভোকেট রফিকউদ্দিন পনির, অলক ভৌমিক, গোপাল দাস, সাংবাদিক-আইনজীবী আলী আজগর স্বপন, প্রয়াত সেকান্দর আলী, আকবর হোসেন খান, নূরুল হোসেন সবুজ, অরুণ কুমার রাউত, আব্দুল আহাদ, নির্মল চক্রবর্তী, সাইদুর রহমান মানিক ও সৈয়দ লিয়াকত আলী বুলবুল, যারা তখন জড়িত ছিলেন ছাত্র রাজনীতিতে।

প্রতিবাদকারীদের অন্যতম নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'রেডিওতে ঘাতকদের গলায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার ঘোষণা শোনে আমাদের রক্তে আগুন জ্বলে। সারা শহর তখন থমথম করছে। মানুষ হতচকিত ও বিহ্বল। এরই মধ্যে আমরা ছাত্র ইউনিয়ন অফিসে সমবেত হতে থাকি। সকাল ৯টার দিকে আমরা একটি ঝটিকা মিছিল বের করি নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে।'

আরেক প্রতিবাদকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান মুক্তু বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'মিছিলটি কোনক্রমে শহর প্রদক্ষিণ করতে না করতেই পুলিশ দ্রুতবেগে এসে আক্রমণ করলে আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। আমাদের বাসায় বাসায় হানা দেওয়া হয়। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তখন চরম স্বৈরাচারী রূপ ধারণ করে। ফলে আমরা কিছুদিনের জন্য আত্মগোপনে চলে যাই।'

প্রতিবাদকারীদের অনেকেই বর্তমানে জীবিত নেই। কেউ কেউ ঢাকায় বা দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করেন। যারা জীবিত আছেন, তাদের কয়েকজন বার্তা২৪.কমকে খুনিদের বিচার সম্পন্ন করে ফাঁসি কার্যকর করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের যারা ফাঁসির রায় মাথায় নিয়ে এখনো বিদেশে পালিয়ে আছেন, তাদেরকেও অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এসে বিচারের রায় কার্যকর করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।

   

উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে মেট্রোরেলের ৫টি স্টেশন: এমএএন সিদ্দিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ৭.৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রুটে নতুন ৫টি স্টেশন হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ঢাকা মেট্রোরেলের ব্র্যান্ডিং সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে, রাজধানীর দ্রুতগামী গণপরিবহন হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬। বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ শেষে যাত্রীরা চলাচল করছেন এ রুটে।

এই রুটে বর্তমানে মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত কাজ সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

এমএএন সিদ্দিক বলেন, উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এই রুটের কাজ শেষ হলে মেট্রোরেল অতিরিক্ত ৫ লাখ যাত্রী বহন করতে পারবে। উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এ রুটের দৈর্ঘ্য হবে ৭.৫ কিলোমিটার। এ রুটে হবে নতুন ৫টি স্টেশন। এগুলো হলো- দিয়াবাড়ী বাজার, সোনারগাঁও জনপদ রোড পূর্ব, পশ্চিম, টঙ্গী বাজার ও টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন।

এসময় এমআরটি রুট অ্যালাইনমেন্ট বরাবর যানজট কমে গেছে দাবি করেন মেট্রোরেল এমডি।

;

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বে অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। এসব পরিস্থিতি থেকে সৃষ্টি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তার মধ্যেও মূল্যস্ফীতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সে চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। সেজন্য নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, এবং মহামারি করোনার কারণে সমস্ত কাজ বন্ধ, রপ্তানি বন্ধ, আমদানি বন্ধ সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি এবং নানারকম সমস্যার সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশেও এ ধাক্কাটা এসে পড়েছে। এর সাথে যুক্ত আছে ফিলিস্তিনে ইহুদিদের যুদ্ধ। বিদেশ থেকে যে পণ্যগুলো আমদানি করতে হয় তার প্রত্যেকটার দাম বেড়েছে। যার একটা প্রভাব আমাদের দেশে পড়ছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। এটা শুধু করতে পারব, যখন আমরা নিজস্ব উৎপাদন বাড়াতে পারব।

শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতার লোভে নিজের স্বপ্ন অন্যের হাতে তুলে দেইনি। তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ক্ষমতায় এসে কাজ শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার।

তিনি বলেন, আমাদের শিল্পখাতকে পরিবেশবান্ধব করতে চাই। এজন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। শুধু উৎপাদনের দিকে নজর দিলেই হবে না পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্যের বাজার তৈরির দিকেও নজর দিতে হবে। 

এসময় তিনি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।

;

জাতীয় এসএমই পুরস্কার-২০২৩ পেলেন ৭ উদ্যোক্তা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

পণ্য উৎপাদন, বিপনন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৭ বর্ষসেরা শিল্পোদ্যোক্তাকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০২৩ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার প্রাপ্তদের নগদ পুরস্কার, ট্রফি ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার পেলেন যারা

বর্ষসেরা নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা স্বপ্না রাণী সেন, বর্ষসেরা পুরুষ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মো. শাফাত কাদির, বর্ষসেরা পুরুষ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মো. ওয়ালিউল্লাহ ভূঁইয়া, বর্ষসেরা ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা তাসলিমা মিজি, বর্ষসেরা পুরুষ মাঝারি উদ্যোক্তা আশরাফ হোসেন মাসুদ, বর্ষসেরা মাঝারি নারী উদ্যোক্তা সীমা সাহা ও বর্ষসেরা স্টার্ট আপ মদিনা আলী।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।

;

কুকুরের কামড়ে যুবক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে কুকুরের পাল ইজাজুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবককে কামড়ে হত্যা করেছে।

রোববার (১৯ মে) ভোররাতে পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারানিপাড়া নদীর পাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ইজাজুল ইসলাম উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের মৃত সমির উদ্দিনের ছেলে।

নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত ইজাজুল ইসলামের মা বাবা কেউ নেই। সে বিয়ে করেনি। তিনি পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারানিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে এসিআই কোম্পানীর মালামাল এক দোকান থেকে কিনে অন্য দোকানে বিক্রি করতেন। তিনি নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন।

ঘটনার দিন ভোররাতে ভাড়া বাসা থেকে নামাজ পড়ার মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কুকুরের পাল তাকে একা পেয়ে কামড়ে পেটের নাড়িভুড়ি বের করে ফেলে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশ কামড়ে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। এসময় একজন নারী টের পেয়ে লাঠি নিয়ে তাড়া করলে কুকুরের পাল চলে যায়। পরে ওই নারী আশপাশের লোকজনকে ডাকাডাকি করে নিয়ে আসার আগেই ইজাজুল মারা যায়।

নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;