জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব অনেক বেশি শক্তিশালী: ঢাবি উপাচার্য
-
-
|
ঢাকা: স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রীমহল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
বুধবার (১৫ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনের শোক দিবসের আলোচনা সভার সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে ইতিহাস থেকে তাঁর নাম মুছে দিতে চেয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহল। তাদের সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।’
‘শিশু-কিশোর-যুবক সহ সকল বয়সের মানুষের মাঝে আজ বঙ্গবন্ধুর জীবন- দর্শনের প্রভাব প্রবাহিত হচ্ছে। জীবিত মুজিবের চেয়েও মৃত মুজিব এখন অনেক বেশি শক্তিশালী।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের একটি ঘৃণ্য দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমনের কথা ছিল। তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে সাজ সাজ রব চলছিল। কিন্তু তাঁর আর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা হয়নি।’
‘এর আগেই ঘাতকদের নির্মম বুলেটে তাঁকে শাহাদাৎ বরণ করতে হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে তখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আন্দোলন গড়ে ওঠেছিল। তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী প্রতিবাদকারীদের হত্যা করে সেই আন্দোলনকে স্তদ্ধ করে দেয়।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়, যাতে কেউ বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে না পারে। সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশ এখন পরিত্রাণ পেয়েছে। শিশুরা আজ বঙ্গবন্ধুর ছবি, ৭ মার্চের ভাষণের ছবি, তাঁর দৈনন্দিন জীবনের ছবি আঁকছে। গ্রাম, গঞ্জ, পাড়া, মহল্লা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাঁকে নিয়ে আলোচনা চলছে।
ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আলোচনা সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ভবন ও হলে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং চারুকলা অনুষদ আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ।
বাদ যোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ প্রত্যেক হল ও আবাসিক এলাকার মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
