‘মুখাবয়ব’ রূপান্তরে দ্বিতীয় জীবন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

 

বন্দুকধারীর গুলিতে আঘাতপ্রাপ্ত ‘মুখাবয়ব’ সার্জারি করে নতুন জীবন পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেটি স্টাবুলফিল্ড নামে এক যুবতী।

বিজ্ঞাপন

আঠার বছর বয়সে গুলিতে মুখমণ্ডলের আকারসহ নাক ও কপালের হাড়ও ভেঙে যায়। চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি মানসিকভাবেও ভেঙে পড়ে কেটি।

এই দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে জীবন ফিরে পেলেও তিনি তার মুখমণ্ডলের অবয়ব সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে ফেলে বা বিনষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে বদলে যায় তার জীবনের গতিধারা। এই মুখশ্রী নিয়ে বেঁচে থাকবে না ভেবে আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিয়েছিল কেটি।

বিজ্ঞাপন

আত্মহত্যার প্রস্তুতির পূর্বের যন্ত্রণার কথা কেটি স্মরণ করতে না পারলেও তার পরিবার বলছে, কৈশরের এমন ঘটনার পর রীতিমত মানসিক যুদ্ধ করেছিল কেটি। এমনকি ভালোবাসার সম্পর্ক টিকে রাখতে ব্যর্থ হয় এবং ধীরে ধীর শারীরিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/17/1534484107296.jpg

মুখ পুর্নগঠনমূলক সার্জারি করে আগের চেহারা ফিরে পাবে; তা শুনে আনন্দিত হয়েছিল কেটি। তার অস্ত্রোপচারের অর্থ প্রদান করে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব রিজেনারেটিভ মেডিসিন যেটি শুধুমাত্র যুদ্ধাহত সৈন্যদের উন্নত চিকিৎসা অর্থায়ন করে থাকে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনসহ বেশ পত্রিকায় এই কথাগুলো যখন বলছিল কেটি তার বয়স ২২ বছর।

এই প্রকাশনা আরও বলায় হয়েছে, ওহিও ক্লিনিক অভূতপূর্ব সুযোগ করে দেয় তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর। তার প্রস্তুতি ও ৩১ ঘণ্টা যুদ্ধের ফলাফল অনুসরণ করছিলেন একজন সাংবাদিক এবং ফটোগ্রাফার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/17/1534484173061.jpg

এই গল্প নিয়ে ‘দ্য স্টোরি অব এ ফেস’ নামে ম্যাগজিনের কভার করা হয় এবং সেখানে কেটি’র স্টোরি নামেও একটি অনলাইনে ডকুমেন্টারি ছিল।

মুখমণ্ডল সার্জারি করে নতুন মুখাবয়ব পাওয়ার মানুষের সংখ্যা মাত্র ৪০ জন।  কিন্তু প্রথম সম্পূর্ণ সঠিকভাবে তা করতে পেয়েছেন শুধুমাত্র স্প্যানিশ কয়েকজন ডাক্তার ২০১০ সালে।

এই ৪০ জনের মধ্যে কেটি ছিল সর্ব কনিষ্ট, যার আঘাতপ্রাপ্ত মুখমণ্ডলের সফলভাবে সার্জারি করা হয়। কেটি ফিরে পায় তার নতুন জীবন।

কেটি জানায়, মুখমণ্ডল রূপান্তর ছাড়া  কোন উপায় ছিল না।  রূপান্তরের বিষয়ে বাবা মা যখন কথা বলত আমি অত্যন্ত  আনন্দিত হতাম। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আমি আমার মুখ ফিরে পারব এটা জেনে খুশি হয়েছিলাম।