কোরবানির সরঞ্জাম প্রস্তুতে ব্যস্ত কামারশালা
মেহেরপুর: পবিত্র ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির জন্য দিন গুনছে আগ্রহী কোরবানিদাতারা। এ কারণে পশু কোরবানি ও মাংস তৈরির সরঞ্জাম তৈরি ও ধার দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কামারশালায় কর্মরত কামাররা। ঈদের মাত্র কয়েকদিন বাকি, তাই নতুন করে অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে তারা।
জানা গেছে, চলতি বছরে মেহেরপুর জেলায় ৭৭ হাজার ৫৯টি পশু কোরবানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস। বাড়িতে পালনকৃত পশু মালিকদের তেমন কোনো তোড়জোড় না থাকলেও যারা পশু কিনে কোরবানি দেবেন তাদের ব্যস্ততার শেষ নেই। বেশিরভাগ মানুষ কোরবানির পশু ক্রয় সম্পন্ন করেছে। যারা এখনো কিনতে পারেনি তারা হাট ঘুরে পছন্দের পশু ক্রয়ের চেষ্টা করছে। সেই সঙ্গে ডাসা, হাসুয়া, দা, বটি ও ছুরি তৈরি কিংবা পুরাতনগুলো ধার দিতে ছুটছে কামারশালায়।
গাংনী কাঁচাবাজার সংলগ্ন কামারশালার সিদ্দিকুর রহমান জানান, গত বছরের চেয়ে এবার নতুন সরঞ্জাম তৈরির সংখ্যা কম। বেশিরভাগ মানুষ বাড়ির পুরনো অস্ত্রগুলো সান বা ধার দিয়ে নিচ্ছে। বটি, ছোট ছুরি ৬০ টাকা, ডাসা ও ছুরি ১৫০ টাকা করে ধার দেয়ার খরচ নেয়া হচ্ছে। তবে গত বুধবার থেকে নতুন অর্ডার নেয়া বন্ধ করা হয়েছে। যে পরিমাণ অর্ডার নেয়া হয়েছে তাতে ঈদের আগের দিন বিকেল পর্যন্ত কাজ করা লাগবে।
বিভিন্ন কামারশালা সূত্রে জানা গেছে, এখন আগের মতো তেমন কাজ নেই কামারশালায়। তৈরি উপকরণের দাম বৃদ্ধির কারণে অনেকেই ওয়ান টাইম সরঞ্জামের উপর ঝুঁকছে। তাই সারা বছর ব্যস্ততা থাকে না। শুধুমাত্র কোরবানির ঈদের আগের এক মাস ব্যস্ততা থাকে।