ক্রমাগত লোডশেডিংয়ের সঙ্গে জরিমানা-ভুতুড়ে বিল, রোষানলে ১৩ হাজার গ্রাহক



আমিনুল ইসলাম জুয়েল, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পীরগাছা (রংপুর)
পীরগাছা জোনাল অফিস/ছবি: বার্তা২৪.কম

পীরগাছা জোনাল অফিস/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ পীরগাছা জোনাল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রোষানলে পড়েছেন কান্দি ইউনিয়নের প্রায় ১৩ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক। বার বার লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি রাতের বেশিরভাগ সময় অন্ধকারে থাকছেন ইউনিয়নের বাসিন্দারা। ঈদের দিনসহ টানা তিনদিন ও একদিন পরে আরো দুইদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আক্রোশের কারণে দীর্ঘদিন থেকে সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন তারা বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে মুজিববর্ষে সরকারের শতভাগ ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম ভেস্তে যেতে বসেছে।

বিনা কারণে জরিমানা ও ভুতুড়ে বিলসহ বিভিন্ন বিষয়ে গ্রাহকরা অভিযোগ করলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ পীরগাছা জোনাল অফিসের আওতায় প্রায় ৭০ হাজার গ্রাহকের জন্য সংযোগ লাইন ৬টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নে আলাদা আলাদা সংযোগ লাইন থাকলেও শুধুমাত্র একটি সংযোগ লাইনের মাধ্যমে কৈকুড়ী ও কান্দি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ওই দু‘টি ইউনিয়নে ৩০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে শুধু কান্দি ইউনিয়নে রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার গ্রাহক। দুই ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া লাইনটি ৪ নম্বর ফিড হিসেবে পরিচিত। অন্যান্য ফিডের গ্রাহকরা দিনে গড়ে ৪-৬ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়লেও ৪ নম্বর ফিডটি থাকে সর্বক্ষণ লোডশেডিংয়ে কবলে। এছাড়া প্রায়ই একই ফিডের কৈকুড়ী ইউনিয়ন চালু রেখে কান্দি ইউনিয়ন বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। ফলে কান্দি ইউনিয়নের গ্রাহকরা প্রায় প্রতিদিনই ১০-১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বঞ্চিত হচ্ছেন। গ্রাহক সেবার হট লাইনে ফোন করেও কোন সমাধান মেলে না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পীরগাছা জোনাল অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচরারীরা দীর্ঘদিন থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। তাদের দুর্নীতির বিষয়ে একাধিক লিখিত অভিযোগ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলে তারা দলগত ভাবে বিষয়টি প্রতিহত করে আসছেন।

এছাড়া কৈকুড়ী ও কান্দি ইউনিয়নের জন্য চৌধুরাণীতে একটি অভিযোগ কেন্দ্র করা হলেও তা কাজে আসছে না। ওই কেন্দ্রের ইনচার্জ আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে ওই ইনচার্জ তার দুর্নীতি দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছেন। ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরতদের স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের কারণে গ্রাকরা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কান্দি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য প্রশান্ত কুমার মিশ্র বলেন, ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রোষানলে পড়ে গ্রাহকরা চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, তারা গ্রাহকদের সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেন। তাদের এমন আচরণের কারণে কান্দি ইউনিয়নের গ্রাহকরা চরম বিপাকে পড়েছে।

রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পরিচালক আব্দুর রহিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় অনিয়ম ও দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বিদ্যুৎ বিভাগে স্বচ্ছতা ফিরে আসবে।

এদিকে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মঞ্জুরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, কান্দি ইউনিয়নের জন্য নির্ধারিত ৪ নম্বর ফিডটি দীর্ঘ ও গ্রাহক সংখ্যা বেশি থাকায় সমস্যা হচ্ছে। তবে ওই ইউনিয়নের জন্য আলাদা সংযোগ লাইনের কাজ চলছে।

তবে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পীরগাছা জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুল জলিল অভিযোগ অস্বীকার করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে হলে ঝড় থামাতে হবে। আর বিদ্যুতের জন্য দোয়া করতে হবে। ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

   

গরমে স্বস্তি আনে নরসিংদীর বাঙ্গি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্মকালের এমন তাপপ্রবাহ ও প্রচণ্ড রোদের কারণে অস্থির মানুষজন। কাজকর্মে নেমে এসেছে অসহনীয় অবস্থা। এই অবস্থায় ঠান্ডা জাতীয় খাওয়ার পাশাপাশি রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকগণ। বেশি করে ফলমূল ও পানি খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ফলমূলের মধ্যে, ডাব, শসা, পেপে, বাঙ্গি আনারস ইত্যাদি। এই অবস্থায় জেলার চরাঞ্চলের মিষ্টি মধুর বাঙ্গির কদর বেড়েছে কয়েকগুন। এর ফলে একদিকে বেড়েছে বাঙ্গির উৎপাদন, অপরদিকে বেড়েছে মৌসুমি শ্রমিকের কর্মসংস্থান। আর এই নরসিংদীর সাগরকলা, লটকটন, বোম্বাই লেবুর পর এবার বাঙ্গি দিয়ে পরিচিত হচ্ছে নরসিংদী। মূলত মৌসুমি ফল হিসেবে নরসিংদীতে চাষাবাদ হয়ে থাকে এই বাঙ্গি।

গ্রীষ্মের অন্যতম ফল বাঙ্গি গ্রীষ্ম আসার আগেই নরসিংদীর চরাঞ্চলের মাঠে বেড়ে উঠে। ইতিমধ্যে বাঙ্গি চাষে প্রসিদ্ধ হয়ে উঠছে নরসিংদীর রায়পুরা ও সদর উপজেলার চরাঞ্চল। এ অঞ্চলের বাঙ্গি আকারে বড়, দেখতে সুন্দর ও সুস্বাদু হওয়ায় রাজধানীসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অল্প শ্রম ও অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে বাঙ্গির চাষ। ফলে এ অঞ্চলে সৃষ্টি হচ্ছে মৌসুমি কর্মসংস্থানের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল বেষ্টিত বাঁশগাড়ি, শ্রীনগর, চরমধূয়া ও মির্জাচর ইউনিয়নের সর্বত্র বাঙ্গি চাষ হয়ে থাকে। তুলনামূলকভাবে বাঁশগাড়ি ইউনিয়নেই সবচেয়ে বেশি বাঙ্গির আবাদ হয়ে আসছে। গত মৌসুমে রায়পুরার চরাঞ্চলে প্রায় ৪৫ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষাবাদ হয়েছে। যা আগের বছর হয়েছিল ৪০ হেক্টর জমিতে। এ বছর বাঙ্গি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে হেক্টর প্রতি ২০ থেকে ২৫ মেট্রিক টন।

বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের মধ্যনগর ও চান্দেরকান্দি গ্রামের কৃষকরা তাদের জমিতে বাণিজ্যিকভাবে বাঙ্গি চাষ করে। শুধু মধ্যনগর বা চান্দেরকান্দি নয় আশপাশের বেশ কয়েকটি চরে বাঙ্গির আবাদ হচ্ছে। এই সকল চরের উৎপাদিত বাঙ্গির আকার বড় ও হলদে রঙের উজ্জ্বল হয়ে থাকে।

বাঁশগাড়ি ও শ্রীনগর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে পলি দ্বারা বিস্তৃত চর। বিস্তৃর্ণ পূর্ব পুরুষদের অনুকরণে চরে ধান জাতীয় ফসলের পাশাপাশি বাঙ্গি চাষ করা হয়েছে। মাটির উপর ছড়িয়ে রয়েছে বাঙ্গিগাছের সবুজ লতা। লতার ফাঁকে ফাঁকে কাঁচা-পাকা বাঙ্গি শোভা পাচ্ছে। জমি থেকেই বাঙ্গি কিনতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারগণ জমিতে ছুটে আসেন। জমিতেই পাইকারগণ দরদাম  করে নিয়ে যাচ্ছেন যার যার মতো।

বাঙ্গি চাষীরা জানান, আগে নিজেরা খাওয়ার জন্য অল্প জমিতে বাঙ্গিচাষ করা হতো। পরবর্তীতে এটি লাভ জনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু করেন এই অঞ্চলের কৃষকরা। ফলে বর্তমানে চরের অর্ধেক জমিতেই বাঙ্গি চাষ হয়ে থাকে।

কৃষকরা আরো জানান, বাঙ্গি চাষ করতে তেমন খরচ লাগে না। রসুন ও বাঙ্গি দুই ফসল একবারে যায়। রসুনের জন্য সার দেয়ায় বাঙ্গির জন্য আলাদা করে সার লাগেনা। বীজ ও ঔষুধে এবছর দুই বিঘা জমিতে মাত্র ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করা যায় আড়াই লাখেরও বেশি টাকা বিক্রি করা সম্ভব।

বাঙ্গি চাষ শুধু কৃষকদের সমৃদ্ধিই বয়ে আনেনা, সৃষ্টি হয়েছে মৌসুমী কর্মসংস্থানের। মৌসুমি শ্রমিকরা জমি থেকে বাঙ্গি ঝুঁড়িতে তুলে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে নৌকা কিংবা ভ্যানে ভর্তি করে থাকেন। এতে পুরো চরে চোখে পড়ে কৃষক-শ্রমিকের কর্মচঞ্চলতা।

মৌসুমি শ্রমিকরা জানান, বাঙ্গির পুরা মৌসুমে এই গ্রামের কেউ বসে থাকেননা। সকলেই কিছু না কিছু কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। জমি থেকে প্রতিটি বাঙ্গি ঘাটে নৌকায় বা ভ্যানে বোঝাই করে দিলে ৫ টাকা পান। এতে প্রতিদিন গড়ে ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা রোজগার করা সম্ভব হয়। আকারভেদে পাইকারী হিসেবে একশ বাঙ্গি ৩ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এই এলাকার বাঙ্গি দেখতে সুন্দর, মিষ্টি ও ভালো মানের হওয়ায় ব্রাহ্মনবাড়িয়া, বাঞ্ছারামপুর, যাত্রাবাড়ি, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, সিলেট,নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।  

রায়পুরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বনি আমিন খান জানান, চরাঞ্চলখ্যাত রায়পুরায় বাঙ্গি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বাঙ্গি চাষ সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে মাঠ পরিদর্শনসহ কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে কৃষকরা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বীজ কৃষকরা ব্যবহার করছেন। বাঙ্গি চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও উন্নত জাতের বীজ সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে কৃষি বিভাগের।

;

ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ২ দিন পর ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁও শহরের মাদ্রাসা পাড়া থেকে নিখোঁজের দুইদিন পর বাড়ির পাশের গলি থেকে নিবির (১২) নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে বাড়ির পাশের গলিতে ছেলের অর্ধগলিত মরদেহটি দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ওঠেন নিবিরের মা। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

নিবির ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মাদ্রাসা পাড়া এলাকার বাসিন্দা ও ওমান প্রবাসী আব্দুস সালাম বাবলুর ছেলে। সে সালান্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- একই এলাকার শিপন আলীর ছেলে আলিফ ও ফজর আলীর ছেলে লিখন।

পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বাড়ি থেকে খেলতে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি নিবির। এ নিয়ে সদর থানায় জিডি, মাইকিং ও ইন্টারনেটে ব্যাপক প্রচার করা হলেও সন্ধান মেলেনি তার।

বৃহস্পতিবার দিনগত মধ্য রাতে (শনিবার, ২০ এপ্রিল) বাড়ির জানালায় বিকট শব্দ করে দুর্বৃত্তরা। ভয়ে কেউ বাড়ি থেকে বাইরে আসেননি। তবে সকালে বাড়ির পাশের গলিতে নিবিরের নিথর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে চেঁচিয়ে ওঠেন নিবিরের মা। এরপর পরিবারের সবাই সেখানে হাজির হয়। পরে থানায় জানানো হয়।

এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর তদন্তসাপেক্ষে বিস্তারিত জানানো যাবে।

;

হাতিরঝিল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাড্ডা থানার হাতিরঝিল অংশের পুলিশ প্লাজার পেছনের ব্রিজের নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহতের নাম- মো. রবিন (২৯)। পিতা আব্দুল সাত্তার। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায়।

এর আগে, শনিবার সকাল বেলা ব্রিজ ধরে যাওয়ার পথে মরদেহ ভাসতে দেখে পথচারীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে হাতিরঝিল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ঘটনাস্থল বাড্ডা থানাধীন হওয়ায় পরে বাড্ডা থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াসিন গাজী।

তিনি বলেন, হাতিরঝিল থানা পুলিশের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি পুলিশ প্লাজার পেছনে ব্রিজের নিচে একটি মরদেহ ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। পরে বাড্ডা থানার একটি টিম গিয়ে উদ্ধার করে মরদেহটি।

ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে তার নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য পুলিশ কাজ করছে। তবে তার শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।

;

সুন্দরবনে মধু সংগ্রহে গিয়ে বাঘের আক্রমণে নিহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়ে মনিরুজ্জামান বাচ্চু (৪৫) নামে এক মৌয়াল নিহত হয়েছেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের নটাবেকী এলাকায় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি।

তিনি গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত কাশেম গাজীর ছেলে।

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা নুর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান, গত ২ এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে বাচ্চু গাজী সহকর্মী মৌয়ালদের সাথে সুন্দরবনের গহীনে মধু আহরণ করতে যান। সকালে বাঘের আক্রমণে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরই  মধ্যে বনবিভাগের একটি দল তার মরদেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তারা ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।



;