কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসে যুক্ত হলো নতুন কোচ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেন কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসে বুধবার থেকে যুক্ত হলো নতুন কোচ। নতুন যুক্ত হওয়া এসব কোচ ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে।

বুধবার (৩ জুন) সকাল পৌনে এগারোটার দিকে নতুন কোচ দিয়ে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি।

কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসে মোট ১৪টি নতুন কোচ সংযুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে দুটি এসি চেয়ার এবং একটি এসি স্লিপার কোচ রয়েছে। ঢাকা থেকে সপ্তাহে ছয়দিন চলাচল করবে ট্রেনটি। সাপ্তাহিক বন্ধ শুক্রবার।

তাছাড়া, যাত্রাপথে আপ ও ডাউনে ট্রেনটি মোট ৯টি রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়া হবে। সেগুলো হলো- ঢাকা বিমানবন্দর, নরসিংদী, মেথিকান্দা,ভৈরব বাজার জংশন, কুলিয়ারচ, বাজিতপুর, সরারচর, মানিকখালি, গাচিহাটা। তবে করোনার এই সময়ে সীমিত আকারে আন্তঃনগর ট্রেন চলছে তাই, ঢাকা বিমানবন্দর ও নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটির যাত্রা বিরতি সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

হালদায় আবারও ভেসে উঠল মরা কাতলা: ‘বাস্তুতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
হালদায় আবারও ভেসে উঠল মরা কাতলা, বাস্তুতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত: বলছেন গবেষকরা

হালদায় আবারও ভেসে উঠল মরা কাতলা, বাস্তুতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত: বলছেন গবেষকরা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীর হাটহাজারী অংশ থেকে এবার দুটি বড় মৃত কাতলা মাছ ভেসে উঠেছে। গবেষকরা এটিকে হালদার বাস্তুতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করছেন।

শুক্রবার (২৮ জুন) হাটহাজারী উপজেলার হালদা নদীর পৃথক দুটি স্থান থেকে মাছগুলোকে উদ্ধার করা হয়।

হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, হালদায় আজ আবার দুটি মৃত কাতলা মা মাছ ভেসে উঠেছে। প্রথমটি হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শার কুমারখালি ঘাটে পাওয়া যায়। এই কাতলা মাছটির সে.মি. লম্বা, ওজন প্রায় ১৬ কেজি। অন্যটি কুমারখালী ঘাটের সামনে সুলতানা বাপের ঘাটে পাওয়া যায়। যার দৈর্ঘ্য ৮৫ সে.মি. ও ওজন প্রায় ১০ কেজি।

তিনি আরও বলেন, প্রথম মাছটির কানকোর নিয়ে বঁড়শির আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় এবং দ্বিতীয় মাছটি পঁচে গলে যাওয়ায় কোনো এখনো আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করা যায়নি।

বারবার মরা মাছ ভেসে উঠাকে হালদার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আঘাত বলছেন এই হালদা গবেষক। তিনি বলেন, এটি হালদার বাস্তুতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত।

এর আগে গত বুধবার (২৬ জুন) দুপুরের দিকে রাউজান উপজেলার উরকিরচর বাকর আলী চৌধুরীঘাট অংশে ১০ কেজি ওজনের একটি মৃত রুই মাছ ভেসে উঠেছিল।

সেদিন স্থানীয় ইউপি সদস্য কাওছার আলম জানিয়েছেন, স্থানীয়রা মা মাছটি দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দেয়। আমি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হই। মাছটি পচে যাওয়ায় প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল তাই দ্রুত মাটি চাপা দিয়েছি। গত কয়েক দিন আগেও ১২ কেজি ওজনের একটি কাতলা মা মাছ মরে ভেসে উঠেছিল।

তবে মাছটিতে বিষ দিয়ে মারা হয়েছে বলে ধারণা করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও হালদা গবেষক অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরিয়া।

তিনি বলেন, হালদায় মা মাছ ভেসে উঠলে অবশ্যই কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত। কারণ কিভাবে এ মাছ মারা গেছে সেটি গবেষণা করে দেখার একটি বিষয় থাকে। মা মাছটি দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি বিষক্রিয়ার মাধ্যমে মারা হয়েছে।

;

ব্রহ্মপুত্র নদে সাঁতার কাটতে গিয়ে পানিতে ডুবে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
পানিতে ডুবে মাছুম বিল্লাহ (১২) নিহত/ছবি: বার্তা২৪.কম

পানিতে ডুবে মাছুম বিল্লাহ (১২) নিহত/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সমবয়সীদের সাথে ব্রহ্মপুত্র নদে ডুব সাঁতার খেলতে গিয়ে মাছুম বিল্লাহ (১২) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের নিধিয়ার চড় ভাটিপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

নিহত মাছুম বিল্লাহ ওই এলাকার ছাইদুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

জানা যায়, মাছুম বিল্লাহ কয়েকজন সমবয়সীদের সাথে সকালে চরআলগী ইউনিয়নের নিধিয়ার চড় ভাটিপাড়া এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে ডুব সাঁতার খেলছিলো। একপর্যায়ে সে ডুব দিয়ে পানিতে নিখোঁজ হয়। সমবয়সীরা দীর্ঘ সময় তার কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা এসে দীর্ঘ এক ঘণ্টা খোঁজাখোজির পর পানি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

চরআলগী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ মুনসুর ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছুটির দিনে সমবয়সীদের সাথে ব্রহ্মপুত্র নদে খেলতে গিয়ে ডুবে মারা যায়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

;

ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের মালামাল চুরি, গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
গ্রেফতারকৃত সাদ্দাম হোসেন ও মোরশেদ

গ্রেফতারকৃত সাদ্দাম হোসেন ও মোরশেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

রীতিমতো ট্রাক ভাড়া করে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মালামাল চুরি করার অভিযোগ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ। 

শুক্রবার ( ২৮ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহসীন। 

গ্রেফতারকৃত দুজন হলো মো. সাদ্দাম হোসেন (৩০) ও  মো. মোরশেদ (২৯)। 

পুলিশ জানায়, গতকাল তেজগাঁও থানার বাউলবাগ এ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উপর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে চুরি করা মালামাল উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও পুলিশ বলেন, রীতিমতো গ্রেফতার সাদ্দাম ট্রাক ভাড়া করে এক্সপ্রেসওয়ের মালামাল চুরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। 

গ্রেফতার সাদ্দাম ট্রাক ভাড়া করে প্রথমে এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন স্পটে ঘুরেন। এরপর সুযোগ বুঝে এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন মালামাল চুরি করেন। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এক্সপ্রেসওয়েতে দায়িত্ব পালনকালে সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা সিসিটিভিতে মালামাল চুরির বিষয়টি শনাক্ত করেন। সাদ্দাম এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে সেখানে থাকা রোড ব্যারিয়ার চুরি করেন। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা ধাওয়া দিয়ে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

সাদ্দাম জানান, চুরি করা এসব মালামাল তিনি বিভিন্ন হাউজিং সোসাইটির কাছে বিক্রি করেন। গ্রেফতার সাদ্দামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩ টি মামলা রয়েছে।

;

নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে কালেমা পড়েন শাহেদ, এরপর সব শেষ



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ক্লান্তির ছাপ নিয়ে বসে আছেন সাজ্জাদ মিয়া/ছবি: বার্তা২৪.কম

ক্লান্তির ছাপ নিয়ে বসে আছেন সাজ্জাদ মিয়া/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরের এক কোণায় চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছেন সাজ্জাদ মিয়া। ৩০ বছরের তরুণের মুখজুড়ে ক্লান্তির ছাপ। চোখ চিকচিক করছে স্বজন হারানোর কষ্টে। রিয়াজউদ্দিন বাজারের মোহাম্মদী প্লাজায় বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মধ্যরাতে ধরা আগুন এই ব্যবসায়ী যে হারিয়েছেন তারই দোকানের একনিষ্ঠ কর্মী ১৮ বছরের মোহাম্মদ শাহেদকে।

বেঁচে থাকার জন্য মুঠোফোনে শাহেদের আকুল করা অনুরোধ, দমবদ্ধ হয়ে পড়া এবং শেষে কোনো উপায় না দেখে নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার আগে কালেমা পড়ে বিদায় নেওয়া-সেই সব ভয়ংকর মুহূর্ত এখন কানে বাজছে সাজ্জাদ মিয়ার। মনটা তাই বিষন্ন হয়ে আছে-শাহেদকে বাঁচাতে না পারার দুঃখে-ব্যথায়।

সাজ্জাদ মিয়া তুলে ধরেন শাহেদের সঙ্গে শেষবার কি কথা হয়েছিল তার পুরোটা। বলেন, ‘শুক্রবার মার্কেটে বন্ধ থাকায় আমি প্রতিবারের মতো বৃহস্পতিবার রাতে সাতকানিয়ার গ্রামের বাড়িতে যাই। সেখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে রাত সাড়ে ১২টা বেজে যায়। শরীর ক্লান্ত থাকায়-দ্রুতই ঘুমিয়ে পড়ি। এরই মধ্যে রাত পৌনে ২টায় শাহেদের ফোন পেয়ে জেগে ওঠি। ফোন দিয়েই সে ভয়ার্ত কণ্ঠে জানাতে থাকে-‘‘পাশের মোহাম্মদী মার্কেটে ধরা আগুন আমাদের রিজওয়ান কমপ্লেক্সেও ছড়িয়ে পড়েছে। আমি আমার বাসায় আটকা পড়েছি। আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন।’’ এরপর আমি আশপাশের সবাইকে ফোন দিয়ে শাহেদকে উদ্ধারের চেষ্টা করতে বলি। পরে আমিও মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে শহরের উদ্দেশে রওনা দিই।’

শাহেদকে বের হয়ে আসার জন্য বারবার বলেছেন সাজ্জাদ মিয়া। কিন্তু একদিকে ধোয়ার কুণ্ডুলী, অন্যদিকে অন্ধকার-শাহেদ চেষ্টা করেও তাই বের হতে পারেননি বাসা থেকে। এক পর্যায়ে বাসার টয়লেটে ঢুকে ধোঁয়া থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানেও ধোঁয়া তাকে ঘিরে ধরে। পরে দমবন্ধ হয়ে সেখানেই মৃত্যু হয় তার।

আগুনে পুড়ে যায় রিয়াজউদ্দিন বাজারের মোহাম্মদী প্লাজা, ছবি/বার্তা২৪.কম

সাজ্জাদ মিয়া বলেন, ‘আমি শাহেদকে বারবার বলতে থাকি মুখে ভেজা কাপড় বেঁধে মার্কেটের ছয় তলায় ওঠে যেতে। সে আমাকে জানায়-চারদিকে অন্ধকার আর ধোঁয়ার কারণে সে বের হতে পারছে না। আমি বলতে থাকি তোর তো গলিপথ তো চেনা-যেকোনোভাবেই দৌড় দে। কিন্তু সে চেষ্টা করেও পারেনি। এক পর্যায়ে রাত ১টা ৫৮ মিনিটে আমার সঙ্গে শাহেদের সর্বশেষ কথা হয়। তখন সে বলে আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এরপর সে কালেমা পড়তে পড়তে নিথর হয়ে যায়। পরে বারবার ফোন দিলেও তাই আর ফোন ধরতে পারেনি।’

রাত পৌনে তিনটার দিকে শহরে এসে পৌঁছান সাজ্জাদ মিয়া। এসেই শাহেদকে উদ্ধার করতে একাই উঠে পড়েন রিয়াজউদ্দিন বাজারের রিজওয়ান প্লাজার সেই পাঁচ তলার বাসায়। অন্ধকার আর ধোঁয়ার মধ্যেই শাহেদকে উদ্ধার করতে ঢুকে পড়েন বাসায়। পরে টয়লেটে গিয়ে দেখেন-সেখানে নিথর হয়ে পড়ে আছেন শাহেদ।

মোহাম্মদী প্লাজায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার চেষ্টা, ছবি/বার্তা২৪.কম

সাজ্জাদা মিয়া বলেন, আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। কিন্তু সড়ক সরু হওয়ায় কথা জানিয়ে তারা জানান প্রবেশ করতে পারছেন না। এ কারণে তারা দ্রুত মার্কেটের উপরও উঠতে পারেননি। পরে আমি অন্যদের খবর দিলে পাশের ভবনের কয়েকজন রিজওয়ান কমপ্লেক্সের আটতলার ছাদ দিয়ে ঢুকে নিচে নেমে শাহেদকে উদ্ধার করেন। পরে আমরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখেন-শাহেদ আর বেঁচে নেই।’

রিজওয়ান কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় সাজ্জাদ মিয়ার মোবাইল ও মোবাইল যন্ত্রাংশের দোকান রয়েছে। আজওয়ার টেলিকম নামের সেই দোকানে দেড় বছর ধরে চাকরি করতেন শাহেদ। রিয়াজউদ্দিন বাজারের বেশিরভাগ মার্কেট ৭-৮ তলা হলেও দোকান এক থেকে তিন তলা পর্যন্ত। এর ওপরের ঘরগুলোতে দোকানের মালিক-কর্মচারীরা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। কিছু কিছু ঘর ব্যবহার হতো গোডাউন হিসেবে। সে অনুযায়ী রিজওয়ান প্লাজার পাঁচতলায় বাসা নিয়ে ভাড়া থাকতেন সাজ্জাদ মিয়া ও শাহেদ। প্রতিদিন দোকান বন্ধের পর এখানেই থাকতেন তারা। তবে শুক্রবার মার্কেট বন্ধ থাকায় তারা প্রায় সময়েই বৃহস্পতিবার রাতেই সাতকানিয়ার গ্রামের বাড়িতে চলে যেতেন। এবার দোকানের মালিক সাজ্জাদ মিয়া বাড়িতে গেলেও যাননি শাহেদ। তবে আজই হয়তো বাড়ি পৌঁছবেন শাহেদ! তবে বাড়ি ফেরার সেই হাসিমুখে নয়, বাড়ি যাবে তার কফিনবন্দী দেহ।

;