৬৭৫০ মণ আম নিয়ে প্রতিদিন ঢাকা আসবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল’



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা রুটে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ চালু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার (৫ জুন)। করোনাকালে মূলত রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম পরিবহনে চলাচল করবে ট্রেনটি। সঙ্গে বিভিন্ন স্টেশন থেকে ঢাকায় শাক-সবজি, ফলমূল, ডিম, কৃষিপণ্য, বাড়ির ফার্নিচার ও রেলওয়ে আইনে বৈধ পার্সেলও বহন করবে ট্রেনটি।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ জানিয়েছেন, প্রতিদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী হয়ে ঢাকায় ছুটবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন-১’। আর ঢাকা থেকে রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফেরার সময়ে ট্রেনটির নাম হবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন-২’।

তিনি বলেন, ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটি ছয়টি ওয়াগন নিয়ে ছুটবে। প্রতিটি ওয়াগনে ৪৫ হাজার কেজি আম বহন করা যাবে। সেই হিসেবে প্রতিদিন রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২ লাখ ৭০ হাজার কেজি (৬ হাজার ৭৫০ মণ) আম নিয়ে ঢাকা যাবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল’।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ চালুর বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।


ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সংবাদ সম্মেলন।

সেখানে পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ফুয়াদ হোসেন আনন্দ জানান, ট্রেনটি প্রতিদিন চলাচল করবে। কোনো বন্ধের দিন নেই। প্রতিদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিকেল ৪টায় ছেড়ে আসবে। রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছাবে ৫টা ২০ মিনিটে। রাজশাহীতে ৩০ মিনিট বিরতি নিয়ে ৫টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে।

তিনি আরও জানান, ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ১টায়। ঢাকা থেকে ফের চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে রাত ২টা ১৫ মিনিটে। রাজশাহী পৌঁছাবে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে। রাজশাহী স্টেশনে ২০ মিনিট থেমে ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। পৌঁছাবে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে এসে ট্রেনটি আমনূরা বাইপাস, কাঁকনহাট, রাজশাহী, সরদহ, আড়ানী ও নাটোরের আব্দুলপুর বাইপাস স্টেশনে থামবে। এসব স্থানে আমসহ পার্সেল পণ্য ট্রেনে তোলা হবে।

সেখান থেকে ছেড়ে এসে পথে টাঙ্গাইল, মির্জাপুর, কালিয়াকৈর, জয়দেবপুর, টঙ্গি, বিমানবন্দর, ক্যান্টনমেন্ট, তেজগাঁও এবং কমলাপুর স্টেশনে ট্রেনটি থামবে। কমলাপুর থেকে ছেড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফেরার পথে ট্রেনটি তেজগাঁও, টঙ্গি, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, চাটমোহর এবং রাজশাহী স্টেশনে থামবে। তবে যাত্রাপথে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে’ কোনো সাধারণ যাত্রী তোলা হবে না।

আম পাঠাতে খরচ:
রাজশাহী থেকে ঢাকায় এক কেজি আম বহনে সাধারণ কুরিয়ার সার্ভিসগুলো নেয় ১০ থেকে ১৫ টাকা। অর্থাৎ কুরিয়ারে এক মণ আম রাজশাহী থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে খরচ পড়ে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কুরিয়ার খরচ আরও একটু বেশি।

কিন্তু চালু হতে যাওয়া ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে এক মণ আম রাজশাহী থেকে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাতে খচর পড়বে ৪৭ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ কেজি প্রতি ১ টাকা ১৮ পয়সা। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন থেকে ঢাকায় আম পাঠাতে প্রতি কেজিতে খরচ পড়বে ১ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ এক মণে মাত্র ৫২ টাকা।

ট্রেনে আম তুলতে কুলি খরচের তালিকা।

ট্রেনে আম তুলতে কুলি খরচ:

১ থেকে ২৮ কেজি আমের কার্টন, ক্যারেট বা ঝুঁড়ি বহনে কুলি খরচ পড়বে ২৫ টাকা। তবে ২৮ কেজির বেশি হলে আরও ২৫ টাকা খরচ ধরা হবে।

১ থেকে ৩৭ কেজি আমের কার্টন, ক্যারেট বা ঝুঁড়ি বহনে কুলি খরচ পড়বে ৪০ টাকা। আর ১ থেকে ৫৬ কেজির আমের কার্টন, ক্যারেট বা ঝুঁড়ি বহনে কুলি খরচ পড়বে ৫০ টাকা।

কুলির মাধ্যমে ট্রলিতে বহন করতে চাইলে পুরো ট্রলি ভাড়া পড়বে ৫০ টাকা। তবে ট্রলি ভাড়া নিয়ে নিজে চালিয়ে নিলে খরচ পড়বে ৩০ টাকা।

কুলির মাধ্যমে হুইল চেয়ার বা ট্রেচারে আম নিতে চাইলে পুরো ট্রেচার ভাড়া ৫০ টাকা। আর নিজে চালিয়ে নিলে ৩০ টাকা।

যেভাবে বুকিং:
রাজশাহী স্টেশন থেকে কেউ আম পাঠাতে চাইলে তাকে প্রথমে পার্সেল বুকিং করতে হবে। রাজশাহী স্টেশন ঘেঁষা পুরোনো স্টেশনে (রেলওয়ে হাসপাতালের সামনে) পণ্য বুকিং কাউন্টার রয়েছে।

সেখানে গিয়ে বুকিং শেষে স্লিপ নিয়ে স্টেশনে যেতে হবে। কুলির মাধ্যমে পণ্য ট্রেনে তুলে দিলে পৌঁছে যাবে গন্তব্যে। এক্ষেত্রে কুলির খরচ নিজেকে বহন করতে হবে। আম কার্টুন ও ঝুড়ি করার খরচও নিজেকে বহন করতে হবে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মেহের কান্তি গুহ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগকালে চাষিদের পাশে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী থেকে এবারই প্রথম এ ধরনের ট্রেন চালু করা হচ্ছে। ট্রেনটি চালু করতে বৃহস্পতিবারই সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। তবে আমের মৌসুম শেষ হলে এটি চালানো সম্ভব হবে না।’

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর পাহারায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের (৮ বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হতে তেলবাহী ট্রেন ঢাকা ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে তেল পৌঁছে দিচ্ছে।

বিজিবি সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে, সকাল সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ আরও একটি ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে, সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারীর উদ্দেশ্যে এবং বেলা ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ আরেকটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়।

এছাড়া বিজিবির নিরাপত্তায় খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এবং শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন পৌঁছে দিতেও বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা সহায়তা দেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

;

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও (২৬ জুলাই) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে।

ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

;

ডিবি হেফাজতে তিন সমন্বয়ক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

হাসপাতালে থাকা নাহিদের স্বজনেরা জানান, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে একদল লোক এসে প্রথমে নাহিদকে তুলে নিয়ে যান। পরে আসিফ ও বাকেরকে নিয়ে যান।

উল্লেখ্য, এই তিনজনকে এর আগেও একবার তুলে নেওয়া হয়েছিল। গত ১৯ জুলাই মধ্যরাতে খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া থেকে নাহিদকে তুলে নেওয়া হয়। পরে ২১ জুলাই ভোরে পূর্বাচল এলাকায় তাঁকে ফেলে যাওয়া হয়। অপর দুই সমন্বয়ক আসিফ ও বাকেরকেও ১৯ জুলাই তুলে নেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিন পর ২৪ জুলাই আসিফকে হাতিরঝিল ও বাকেরকে ধানমন্ডি এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়। এর পর থেকে আসিফও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে থাকছিলেন বাকের।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;