দীর্ঘদিন অনুপস্থিত তিন চিকিৎসক, দুর্ভোগে রোগীরা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা যায় বরিশালের আগৈলঝাড়ার ৫০ শষ্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত হাসপাতালের তিন চিকিৎসক। ফলে যথাযথ স্বাথ্যসেবা না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে  হচ্ছে রোগীদের।

অভিযোগ রয়েছে, শক্ত তদারকির অভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা। তাই নিরুপায় হয়ে অনেক রোগী বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডা. আবু বকর সিদ্দিক ২০১১ সালের ১ জুলাই আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগদান করেছেন। মাত্র পাঁচ মাস তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিয়ে ২০১২ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন। একইভাবে ২০১৪ সালের ৮ অক্টোবর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেছেন ডা. সোমা হালদার। এক বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০১৫ সালের ৫ নভেম্বও থেকে তিনিও অনুপস্থিত রয়েছেন।

সূত্র আরও জানায়, ২০২৩ সালের ২৫ নভেম্বর হাসপাতালে যোগদান করেছিলেন ডা. শাহানা রহমান। গত ৮ মাস ধরে তিনি হাসপাতালে আসছেন না।

বিজ্ঞাপন

দীর্ঘদিন থেকে উল্লেখিত ওই তিনজন চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকলেও তাদের জায়গায় কোনো নিয়োগ হচ্ছেনা। ফলে প্রতিনিয়ত রোগীদের সেবাদান ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বিপাকে পড়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দায়িত্ব পালনে অবহেলাকারীদের শাস্তি না হওয়ায় উদ্বেগজনক এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে শক্ত তদারকির অভাব।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন বলেছেন, আবু বকর সিদ্দিক ও সোমা হালদারকে একাধিকবার কর্মস্থলে যোগদানের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা এখনও কাজে ফেরেননি। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান। এছাড়া ডা. শাহানা রহমানকে কাজে যোগদান করতে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন অফিসকেও বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতি মাসেই চিকিৎসকদের তথ্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেই হিসেবে মন্ত্রণালয় বিষয়টি সম্পর্কে জানে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী এক চিকিৎসকের চাকরি হয়তো আর নেই। বাকি দুইজনের মধ্যে একজন বিদেশে, অন্যজন কোথায় জানি না। চিকিৎসক নিয়োগ সম্পর্কে তিনি বলেন, পদগুলো খালি না হওয়া পর্যন্ত পদায়ন সম্ভব না। ফলে নতুন করে চিকিৎসক পেতে সময় লাগবে।