ঝিনাইদহে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)’র হাজার হাজার গ্রাহক। ক’মাস আগেও ৩’শ থেকে ৫’শ টাকা বিল আসলেও এ মাসে বিল দেখানে হয়েছে ১৫’শ থেকে ২ হাজার টাকা। করোনায় আয় রোজগার না থাকায় অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে গ্রাহকরা।
ঝিনাইদহ ওজোপাডিকো’র দেওয়া তথ্য মতে, জেলা সদর, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর শহরে ওজোপাডিকো’র গ্রাহক সংখ্যা ১ লাখ ২৫ হাজার।
করোনার কারণে বিদ্যুৎ বিভাগের মিটার রিডাররা ঘরে বসে গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল তৈরি করেছে। এতে দোকান-পাট, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে।
অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঝিনুকমালা আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা ঝালমুড়ি বিক্রেতা আজিজুর রহমান। বর্তমানে তার মিটারের রিডিং ৭ হাজার ৩’শ ৪১ ইউনিট থাকলেও ক’দিন আগের দেয়া বিদ্যুৎ বিলে রিডিং দেখানো হয়েছে ৭ হাজার ৪’শ ইউনিট। মিটার থেকে ৪০ ইউনিট বেশি দেখিয়ে বিল দেওয়া হয়েছে।
শহরের কাঞ্চননগর এলাকার একটি বাসভবনের বিদ্যুৎ বিলে বর্তমান মিটার রিডিং দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৯’শ ৪০ ইউনিট। পূর্ববর্তী ইউনিট দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৮’শ ৬০ ইউনিট। কিন্তু মিটারের দেখা যাচ্ছে বর্তমান রিডিং ১,৮৪৭ ইউনিট। একই দশা বিদ্যুতের গ্রাহকদের।
ঝালমুড়ি বিক্রেতা আজিজুর রহমান বলেন, ৬০ ইউনিট বেশি এসেছে। আমি দিন আনি দিন খাই। আমার উপার্জন বন্ধ। এখন বাড়তি বিল কীভাবে দেবো।
শহরের এইচএসএস সড়কের পুরাতন ডিসি কোর্ট এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, আমার বাসায় প্রতি মাসে যেখানে ৫’শ থেকে ৭’শ টাকা বিল আসে। সেই হিসাবে ৩ মাসে ১৫’শ থেকে ২ হাজার টাকা বিল আসতে পারে। কিন্তু এবার সেখানে বিল এসেছে ৪ হাজার টাকা। তিন থেকে চার গুণ বেশি বিল হয়েছে যা আমার পক্ষে পরিশোধ করা অসম্ভব।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোলি’র নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকারের সাথে তার অফিসে কথা বলতে গেলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।