ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা রোধে শেষ ভরসা জোন ভিত্তিক লকডাউন!



মনি আচার্য্য, রিজিওনাল স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যন্য জেলার মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়াও প্রতিদিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৪০৬ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ জন। এছাড়া করোনায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এদিকে জেলায় দিন দিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বিগ্ন স্থানীয় জনতা ও প্রশাসন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করার বিষয়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বিবেচনা করছে স্থানীয় প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে জোন ভিত্তিক লকডাউন ও স্থানীয় সচেতনতার দিকে বেশি নজর দিচ্ছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস। এই দুইটি পদক্ষেপ কার্যকর করার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে চায় প্রশাসন।

এদিকে জেলার স্থানীয় বাসিন্দা ও স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের অন্যসব জেলার মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়াও ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া অঘোষিত লকডাউনে স্থানীয়দের তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে এই লকডাউন চলাকালীন জেলায় করোনার সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ফলে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া এখন করোনার হটস্পট জেলায় রূপান্তরিত হয়েছে।

জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ও উপজেলায় সরেজমিনে দেখা যায়, লকডাউন তুলে নেওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘর থেকে বের হওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল তা সঠিকভাবে পালন হচ্ছে না। খুব অল্প সংখ্যক মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বের হলেও অধিকাংশ মানুষ তা মানছেন না। ফলে দিন দিন যেমন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তেমনি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বিশিষ্টজন ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যেহেতু করোনাভাইরাসের কমিউনিটি সংক্রমণ শুরু হয়েছে এজন্য সচেতনতা ও লকডাউনই এর প্রতিকারের একমাত্র উপায়। কেননা এখন পর্যন্ত করোনার চিকিৎসায় স্থায়ী কার্যকর কোনো ওষুধ না আসায় লকডাউনই শেষ ভরসা। এছাড়া জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাজের গতিও আরও বাড়াতে হবে। কিছু কিছু জাগায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতি থাকার কারণেও সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।

এজন্য জেলায় জোন ভিত্তিক লকডাউন বা পূর্ণাঙ্গ লকডাউন ঘোষণা করার প্রয়োজন বলেও তারা মনে করছেন।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস জানান, জেলায় করোনা সংক্রমণ রোধ করতে না পারার অন্যতম কারণ হচ্ছে জন সচেতনতা বৃদ্ধি না হওয়া ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চলা। তাই এই দুইটি বিষয় নিশ্চিত করণে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে জেলা সিভিল সার্জেন্ট অফিস।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বার্তা২৪.কমকে বলেন, জেলায় করোনাভাইরাস রোধে জোন ভিত্তিক (রেড, ইয়েলো ও গ্রিন) লকডাউনকে আমরা এখন অগ্রাধিকার দেব চিন্তা করছি। এ বিষয়ে কার্যকরী সিদ্ধান্ত দ্রুত নেব আমরা। তাছাড়া জন সচেতনতার অভাব রয়েছে জেলায়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতেও আমরা কাজ করে যাব।

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও (২৬ জুলাই) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে।

ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

;

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আট বিভাগেই মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

একইসঙ্গে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময় টাঙ্গাইল, সিলেট ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। 

বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;