লাখো পর্যটকে মুখর সমুদ্র পাড়
কক্সবাজার: ঈদুল আজহার টানা ৫ দিনের ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত হয়েছে কক্সবাজার। বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকে সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলীসহ ১১টি পয়েন্টে লাখো পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। টানা পাঁচদিনের ছুটি কাটাতে পাহাড়, সমুদ্র আর ঝর্ণার টানে যান্ত্রিক শহরের মানুষগুলো পর্যটন নগরীতে ছুটে এসেছে।
শুক্রবার (২৪ আগস্ট) নাগাদ সে পর্যটকের সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে ২ লাখ। চলতি মাসের শেষ দিন পর্যন্ত পর্যটকের পদভারে মুখরিত থাকবে সমুদ্র সৈকত।
পর্যটকদের এমন আগমনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে কোটি টাকার ব্যবসা হবে এমনটাই আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আজহার আগের দিন থেকেই কক্সবাজারে হাজার দশেক পর্যটক অবস্থান করছিল। ঈদের দিন সকালেই এদের সঙ্গে যোগ হয়েছে আরও ১০ হাজার পর্যটক। এদের বেশিরভাগই রাতের মধ্যে কক্সবাজার শহর ত্যাগ করে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই নতুন পর্যটক আসতে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেলে লাখ ছাড়িয়েছে।
এ বিষয়ে ইনানী ক্যাফের মালিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘পর্যটকসহ স্থানীয় অতিথিদের বরণে আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বিশেষ করে শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দোলনা, রাইড শেয়ারিং, ইলেকট্রিক নগরদোলাসহ বেশ কয়েকটি নতুন রাইড আনা হয়েছে। প্রথম দিনে স্থানীয়সহ আসা পর্যটকদের বেশ সাড়া পেয়েছি।’
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি কাজি রাসেল আহমেদ নোবেল বার্তা২৪.কমকে জানান, ঈদের দিন থেকে কক্সবাজারে প্রায় লাখো পর্যটক অবস্থান করছে। তবে দ্বিতীয় দিন থেকে শহরের সব হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউস শতভাগ বুকিং রয়েছে। যা থাকবে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত। এছাড়া ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ৬০ শতাংশের ঊর্ধ্বে বুকিং রয়েছে।
কক্সবাজার জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশ (এসপি) মো. জিল্লুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, ঈদ উপলক্ষে কক্সবাজার শহর ও সমুদ্র সৈকতের নিরাপত্তায় ৪৫০ জন পুলিশ, র্যাব, বিচকর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে। পর্যটক হয়রানি রোধে সমুদ্র সৈকতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাখা হয়েছে।