করোনায় সাইকেল বান্ধব যাতায়াত অবকাঠামো নির্মাণের আহ্বান

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর সারা বিশ্বে যাতায়াত ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। চলমান মহামারিতে নিরাপদ যাতায়াতের জন্য বিশ্বের অনেক শহর এরইমধ্যে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে ঢাকা শহরে মোট যাতায়াতের ২ শতাংশ হয় সাইকেলে। এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে সাইকেল বান্ধব অবকাঠামো তৈরি করা প্রয়োজন। প্রয়োজন অবকাঠামোসহ একটি সমন্বিত সাইকেল নেটওয়ার্ক তৈরি করে অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করা।

বুধবার (২৪ জুন) বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিইং বাংলাদেশ এবং কারফ্রি সিটিস এলায়েন্স বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে ‘করোনা পরিস্থিতিতে সাইকেলের ভূমিকা: দ্রুত অবোকাঠামো বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক অনলাইন ওয়েবিনারের আলোচনা সভায় বক্তারা এই অভিমত জানান।

বিজ্ঞাপন

আলোচনা সভায় ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিইং বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক দেবরা ইফরইমসন বলেন, ‘সুস্থ এবং নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আগের মতো ব্যক্তিগত গাড়ি নির্ভর যাতায়াত ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি হাঁটা এবং সাইকেলকে প্রাধান্য দিয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তুলছে। কারণ এসব মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা যেমন নিশ্চিত করা সম্ভব পাশাপাশি পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।’

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘রাজউক এলাকায় দৈনিক সংঘটিত ৩ কোটি ট্রিপের মধ্যে প্রায় ৬ লাখ ট্রিপ সংঘটিত হয় সাইকেলে। রিভাইসড স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট পলিসি ও জাতীয় বহুমাধ্যমভিত্তিক পরিবহন নীতিমালায় সাইকেলবান্ধব অবকাঠামো তৈরির কথা বলা আছে। কিন্তু নগর যাতায়াত পরিকল্পনায় তা আমরা দেখতে পাইনি।’

বিজ্ঞাপন

ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিইং বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক অফিসার শান্তনু বিশ্বাসের সঞ্চালনায় আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মান্নান মনির, বেলাল হোসেন, সাইকেলান্স অব বাংলাদেশের সিফাত হারুন, বায়স্কোপের আলমগীর হোসেন, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিইং বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।