হাঁকডাক দিয়েও মিলছে না যাত্রী, কমেছে দূরপাল্লার বাস চলাচল

  • তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গাবতলি বাস টার্মিনাল/ছবি: বার্তা২৪.কম

গাবতলি বাস টার্মিনাল/ছবি: বার্তা২৪.কম

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসের অর্ধেক আসন খালি রেখে ২৬ দিন ধরে দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে। প্রথম দিকে যাত্রীর চাপ থাকলেও কিছুদিনের ব্যবধানে অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে যাত্রীর সংখ্যা। হাঁকডাক দিয়েও মিলছে না যাত্রী। ইতোমধ্যে যাত্রী সংকটে বিভিন্ন রুটে চলাচল করা দূরপাল্লার বাসের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। কেবল ৩০ শতাংশ বাস চলাচল করলেও চরম যাত্রী সংকটে পড়েছে পরিবহন মালিকেরা।

অনেকটা যাত্রী শূন্য বাস নিয়েই রওনা দিতে হচ্ছে

চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে দূরপাল্লার বাস চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরিবহন শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী, বাড়ানো হয় ৬০ শতাংশ ভাড়া। এরই মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চলাচলে গাফিলতিসহ যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ওঠে।

বিজ্ঞাপন

বাসের কাউন্টারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দূরপাল্লার বাস চালু হওয়ার পরে প্রথম কয়েক দিন মানুষের মুভমেন্ট বেশি ছিল এবং যাত্রীও বেশি পাওয়া গেছে। তবে এখন যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে। সারাদিন হাঁকডাক দিয়েও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে যাত্রী না থাকায় দূরপাল্লার বাসের সংখ্যা একেবারেই কমে এসেছে।

বাস কাউন্টার

সার্বিক বিষয় নিয়ে শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশের বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ বার্তা২৪.কমকে বলেন, পরিবহন মালিকদের সিদ্ধান্তেই সারাদেশে মোটের উপরে ৩০ শতাংশ দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে। বিভিন্ন জেলায় লকডাউন চলছে এবং যাত্রী সংকটের কারণে দূরপাল্লার বাস চলাচল একেবারেই কমে এসেছে। করোনার ভয়ে অনেকেই এখন যাতায়াত করছেন না। এমন পরিস্থিতিতে বাস চালিয়ে স্টাফদের বেতন দেওয়া অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। তার পরেও আমরা যাত্রী থাকলে অবশ্যই বাস চালাবো।

 কেবল ৩০ শতাংশ বাস চলাচল করছে

যাত্রী কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে হানিফ পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার মোশারফ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, যাত্রী সংকটে বিভিন্ন রুটে হানিফ পরিবহনের বাসের সংখ্যা কমিয়ে এনেছি। বর্তমানে ৩০ শতাংশ বাস চলাচল করছে আমাদের। তবে এসব বাসেও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। যাত্রী পাবার জন্য বেশিরভাগ গাড়ি নির্দিষ্ট টাইমের ১ ঘণ্টা পরে ছাড়া হচ্ছে। তার পরেও মিলছেনা যাত্রী।

দূরপাল্লার এসি বাস

এসি বাসের যাত্রী সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রীন লাইন পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার বার্তা২৪.কমকে বলেন, দূরপাল্লার যাত্রীদের আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য আমাদের রয়েছে বিলাসবহুল অনেকগুলো এসি বাস। তবে যাত্রী সংকটের কারণে বর্তমানে আমাদের যা গাড়ি আছে তার ৩ শতাংশ চালাতে পারছি না। অর্থাৎ যাত্রী নাই বললেই চলে। কোনো যাত্রী আমাদের কাউন্টারেই আসেনা টিকিট কাটতে। এমন অবস্থায় যেখানে দশটি এসি বাস চলত সেখানে এখন একটি চলে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কক্সবাজার একটি বাস ছেড়ে গেছে তাও যাত্রী হয়েছে ১০ জন। এছাড়া সিলেট রুটে তিন/চার দিন পরপর একটা করে বাস চলে।

এসি বাসের যাত্রী একেবারেই কম

তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমাদের সবই এসি বাস। সেক্ষেত্রে এসি বাসের যাত্রী একেবারেই কম। যাদের নন এসি বাস আছে। আমাদের তুলনায় তাদের যাত্রী কিছুটা ভালো। তবে বাসের যাত্রী হলেই গাড়ি ছাড়ার চেষ্টা করছি আমরা।