সরকারি পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত, অবসরে পাঠানো হবে ২৫ হাজার শ্রমিককে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি পাটকল বন্ধ করে দেওয়া হবে। লোকসানে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর প্রায় পঁচিশ হাজার স্থায়ী শ্রমিককে স্বেচ্ছা অবসরে (গোল্ডেন হ্যান্ডশেক) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাটকলগুলোতে ২৪ হাজার ৮৮৬ জন স্থায়ী কর্মচারী রয়েছেন।

রোববার (২৮ জুন) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানান।

তিনি জানান, ধারাবাহিক লোকসান বিবেচনায় গোল্ডেন হ্যান্ডশেক প্রক্রিয়ায় শ্রমিকদের অবসায়নের মাধ্যমে মিলগুলোকে বর্তমান দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদার উপযোগিরূপে পুনর্বিন্যস্ত করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে শ্রমিকদের চাকরির অবসান করতে।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, সরকারি পাটকল বন্ধ করে দেওয়া হবে। পাটকলগুলো বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে। সরকারের পক্ষে বছরের পর বছর পাটকলের এত লোকসান বহন করা সম্ভব নয়। পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, গত ৪৮ বছরে সরকারকে এই পাট খাতে ১০ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা লোকসান দিতে হয়েছে।

শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সরকারের পদক্ষেপ চূড়ান্ত করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সাল হতে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের (৮,৯৫৪ জন) প্রাপ্য সকল বকেয়া, বর্তমানে কর্মরত শ্রমিকদের (২৪,৮৮৬ জন) প্রাপ্য বকেয়া মজুরি, শ্রমিকদের পিএফ জমা, গ্র্যাচুইটি এবং সে সাথে গ্র্যাচুইটির সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ হারে অবসায়ন সুবিধা একসাথে শতভাগ পরিশোধ করা হবে। এজন্য সরকারি বাজেট হতে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা প্রদান করা হবে। অবসায়নের পর মিলগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে পিপিপি/যৌথ উদ্যোগ/জি টু জি/ লিজ মডেলে পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হবে।

তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে মাসিক মূল মজুরি ২ হাজার ৭০০  টাকার বিপরীতে উৎপাদনশীলতা ও মজুরি কমিশন ২০১৫ বাস্তবায়নের পর বিজেএমসি’র পাটকলসমূহে তা ৮ হাজার ৩০০ টাকার উন্নীত হয়েছে। ফলে সরকারি মিলে ইউনিট প্রতি উৎপাদন খরচে মজুরির অংশ ৬০- ৬৩ শতাংশ, যা বেসরকারি খাতের প্রায় তিনগুণ।

"উৎপাদন খরচ অস্বাভাবিক বেশি হওয়ায় বাজারে টিকে থাকার জন্য বিজেএমসিকে হ্রাসকৃত দরে পণ্য বিক্রয় করতে হয়। এতে করে পাটখাতে সার্বিক প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত/ বিনষ্ট হয় এবং বেসরকারি খাতের মিলগুলো উৎপাদিন পণ্যের দর নির্ধারণের ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হয়। এটি পাটখাতের সামগ্রিক ভারসাম্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নস্যাৎ করছে। উৎপাদন খরচের চেয়ে কম মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের প্রতিক্রিয়ায় অন্যতম প্রধান বাজার ভারত ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হতে পাটপণ্য আমদানিতে এন্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছে। এতে কেবল বিজেএমসিই নয়, বেসরকারি খাতের রপ্তানিকারকেরাও বিপাকে পড়েছে।"

"বর্তমানে পাটপণ্য উৎপাদনে বিজেএমসি’র অবদান মাত্র ৮ দশমিক ২১শতাংশ রপ্তানিতে এ হার আরও কম (৪.৪৫ শতাংশ)। নামমাত্র উৎপাদন ও অনুল্লেখ্য রাপ্তানির জন্য সরকারি বাজেট হতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিয়ে মিলগুলোর কার্যক্রম বর্তমান কাঠামোতে অব্যাহত রাখা অর্থনৈতিক নীতির সাথে সাংঘর্ষিক।"

মন্ত্রী আরও জানান, পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্যের অতি ব্যবহারের দরুণ বিশ্বব্যাপি সৃষ্ট পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রভাবে বিশ্ব জুড়ে পাটসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক তন্তুর কদর সম্প্রতি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদে দ্বিতীয় কমিটিতে ‘প্রাকৃতিক তন্তুর উদ্ভিজ্জ ও টেকসই উন্নয়ন’ শিরোনামে পাটসহ প্রাকৃতিক তন্তুর ব্যবহার বিষয়ক একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিকভাবে পাটের কদর ও ব্যবহারিক মূল্য বৃদ্ধির একটি সুদূরপ্রসারী সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি গত ২ দশকে বিশ্ব জুড়ে পাটের তৈরি নানাবিধ ও বহুমুখী পণ্যের চাহিদা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। কিন্তু বহুমুখী পাটপণ্যের উপযোগি কাঁচামাল তৈরির উৎপাদনের ক্ষমতা বিজেএমসি’র পাটকলসমূহের নেই।

এছাড়াও নতুন মডেলে পুনঃচালুকৃত মিলে বর্তমান শ্রমিকেরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাবে। একই সাথে এসব মিলে নতুন কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে বলেও জানান তিনি।

   

পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম (২০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

বিএসএফের গুলিতে নিহত আবুল কালাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত অপির উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে সাত-আটজনের একটি গরু পাচারকারীর দল ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে পকেট পাড়া নামক স্থানে যায়। হঠাৎ ১৬৯ ডুরাডাবড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদল সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় আবুল কালাম। সঙ্গে থাকা অন্যরা উদ্ধার করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এনে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বার্তা ২৪ কমকে জানান, সীমান্তে বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

;

লালমনিরহাটে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহিন মিয়া নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা-বুড়িমারী মহাসড়কের বুড়িমারী ইউনিয়নের কল্লাটারী উচা ব্রিজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহিন মিয়া উপজেলার বুড়িমারী স্টেশনপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীসহ ২ জন পাটগ্রাম থেকে বুড়িমারী যাওয়ার সময় উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের কল্লাটারী উচা ব্রিজ এলাকায় বুড়িমারী-লালমনিরহাটগামী পাকা রাস্তায় পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

আহতরা হলেন উপজেলার একই ইউনিয়নের স্টেশনপাড়া এলাকার আব্দুল মালেক ছেলে ওলিউর রহমান অলু (৪০) ও আব্দুল খলিলের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫)। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার।

বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য হাসানুজ্জামান বলেন, পাটগ্রামে থেকে আসার পথে কল্লাটারী উচা ব্রিজে কয়েকজন লোককে পড়ে থাকতে দেখতে পাই। গাড়ি থেকে নেমে দেখি একজন মারা গেছেন আর দুজন মোটরসাইকেলসহ পড়ে আছে।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কল্লাটারী উচা ব্রিজ এলাকায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহিন নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এতে দুজন আহত হয়েছেন।

;

তেঁতুলিয়ায় জমিতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বোরো ক্ষেতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মুরাদ হোসেন (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহল্লাল জোত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মুরাদ দেবনগর ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের ছেলে। সে ছোট থেকে মহল্লা জোত গ্রামে নানা আজিজুলের বাড়িতে থাকতেন।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, মুরাদ সকালে তেঁতুলিয়ার বাইপাস এলাকার বাংলা টি নিকটস্থ এলাকায় বৈদ্যুতিক মোটরে বোরো ক্ষেতে পানি দিতে যান। ওই সময় বৈদ্যুতিক তার হাতে জড়িয়ে পড়লে স্পৃষ্ট হয়ে তারসহ পানিতে পড়ে যান। এতে করে ক্ষেতের পানিও বিদ্যুতস্পৃষ্ট হলে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

ছিনতাইকারীর কবলে নারী, বাঁচাতে গিয়ে জীবন শঙ্কায় যুবক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর উত্তরার ৮নং সেক্টরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ইফতেখার নামে ২৮ বছরের যুবক আহত হয়েছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহত ইফতেখার উত্তরা ৬নং সেক্টর শিরিন ভিলার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত সোয়া ১টার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

বন্ধু আরমান জানান, গত রাত পৌনে ১২টার দিকে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিল আরমান। এ সময় উত্তরা ৮নং সেক্টর বীমা কলোনির সামনে কয়েক জন ছিনতাইকারী এক নারীকে ঘিরে ধরে । ইফতার ছিনতাইকারীদের কবরে পড়া ওই নারীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ইফতেখারকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ইফতেখারকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানিয়েছেন ইফতেখারের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে জরুরি বিভাগের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতরাতে উত্তরা থেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে আনা হলে জরুরী বিভাগে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার অবস্থা আশঙ্কা জনক। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

;