চালনা পৌরসভায় সৌরবাতি স্থাপনে অদক্ষ ঠিকাদার নিয়োগের পাঁয়তারা
চালনা পৌরসভার সোলার স্ট্রিট লাইট প্রকল্পের কাজ অদক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে বলে জানা গেছে। পৌরসভা মেয়রের ঘনিষ্ঠজনদের সুবিধা দিতে গিয়েই দক্ষ প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেবার অপচেষ্টার প্রমাণ মিলেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে।
গত ২১ এপ্রিল খুলনার চালনা পৌরসভার নির্ধারিত রাস্তাগুলোতে সৌরবিদ্যুৎ চালিত বাতি স্থাপনের জন্য টেন্ডার গৃহীত হয়। পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, যে দরপত্র দাতা মোট তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দু'টিই ট্রেডিং কোম্পানি, যারা সোলার লাইট উৎপাদক নয়, এ ধরনের কাজের অভিজ্ঞতাও নেই। অপর যে একমাত্র প্রতিষ্ঠানটির সোলারসামগ্রী উৎপাদনের কারখানা রয়েছে, পণ্যমানের রফতানিযোগ্যতারও সনদ রয়েছে, তাদের বাদ দিয়ে ঘনিষ্ঠজনকে কাজ দিতেই দীর্ঘসূত্রিতার আশ্রয় নিচ্ছে পৌরসভা। তিন মাসেও সেই নথি না নড়ায় এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে যে, কাজ পাবার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা, দক্ষতা কোনো মাপকাঠিই নয়। মেয়র সনত কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে ঢাকার সাথে কথা চলছে বলে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেন।
উল্লেখ্য, সারা দেশে সোলার স্ট্রিট লাইট প্রকল্পের কাজে মান বজায় রাখার স্বার্থে ইডকল (Infrastructure Development Company Limited-IDCOL)-এর অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো (Partner Organisation) -কে এ ধরনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দেখা যায়, টেন্ডারে অংশ নেওয়া একমাত্র সোলারসামগ্রী উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ‘অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেড’ ইডকল-এর অংশীদার প্রতিষ্ঠান।
চালনা পৌরসভার বিশ্বস্ত সূত্র মতে, কাকে কাজ দেওয়া হবে সেটি আগে থেকেই ঠিক করা ছিল, সে অনুযায়ী সাজানো হয়েছিল দরপত্রের শর্তও। সোলার লাইট স্থাপনের সাথে দালান-কোঠা নির্মাণ কাজের কোনো মিল নেই, কিন্তু দরপত্রের শর্তে লেখা হয়েছে নির্মাণ কাজ বা কনস্ট্রাকশন সাইটে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সরেজমিনে দেখা যায়, দরপত্রে অংশ নেওয়া ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দু'টোর সোলার লাইট স্থাপনের কোনো অভিজ্ঞতা নেই, আছে ভবন নির্মাণের অভিজ্ঞতা।
চালনাসহ দেশের অন্যান্য কিছু পৌরসভাতেও এ ধরনের অনিয়মের অভিযোগ মিলছে। জনস্বার্থ রক্ষায় বিষয়টি সরকারের নজর দেওয়া জরুরি বলে মত দিয়েছেন অভিজ্ঞমহল।