গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার ওপরে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার ওপরে

গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার ওপরে

নদীবেষ্টিত গাইবান্ধা জেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জেলার ব্রহ্মপুত্র নদ, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সকাল ৯টায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ৯৩ সেন্টিমিটার ও করতোয়া নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া তিস্তা নদীর পানি ৫৩ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে জেলা সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। পানির তীব্র স্রোতে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো হুমিকর মুখে পড়েছে। এছাড়া তলিয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, রাস্তা-ঘাট ও আবাদি জমি। ভেসে গেছে কয়েক হেক্টর পুকুরের মাছ।

বন্যা কবলিত মানুষগুলো আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রিত এসব মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে তাদের। একইসঙ্গে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়েও বিপাকে পড়েছেন বন্যার্ত মানুষেরা। যেন দুর্ভোগের অন্ত নেই পানিবন্দি মানুষের।

গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা একেএম ইদ্রিস আলী বার্তা২৪.কম-কে জানান, বন্যার্ত মানুষের জন্য এ পর্যন্ত ৪১০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১৫ লাখ টাকা, শিশু খাদ্য ৪ লাখ ও গো-খাদ্য ২ লাখ টাকাসহ ৩ হাজার ৬০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তা বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বার্তা২৪.কম-কে জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্যার্ত মানুষদের ত্রাণ সামগ্রী দেওয়াসহ তাদের নানাভাবে সহয়তা দেওয়া হচ্ছে।