অনিয়মই নিয়ম বেফাকে, মানা হয় না গঠনতন্ত্র!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম. ঢাকা
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের লোগো, ছবি: সংগৃহীত

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের লোগো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনিয়মই যেনো বেফাকের নিয়মে পরিণত হয়েছে। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ বেফাকের কার্যক্রম পরিচালনায় মানা হয় না গঠনতন্ত্র। তবে ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্রের দোহাই দিয়ে পার পাওয়ার নজির রয়েছে ভুরি ভুরি। গঠনতন্ত্রে বেফাকের মজলিসে আমেলার (নির্বাহী কমিটি) সদস্য সংখ্যা সর্বোচ্চ ১২১ জন পর্যন্ত হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে কমিটির ব্যপ্তি ১৫৫ জনের। অভিযোগ রয়েছে, নেতৃস্থানীয়রা তাদের প্রভাববলয় বিস্তারের জন্য কমিটিতে চেনা-জানাদের জায়গা করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে কমিটি গঠনে এলাকাপ্রীতি, স্বজনতোষণ এবং রাজনৈতিক নেতাদের জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি বেফাক প্রতিষ্ঠার ৩৯ বছর পর্যন্ত বেফাকের কর্মনীতির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে আসা এবং বেফাকে নিজ নিজ মাদরাসা অন্তর্ভুক্তি না করানো প্রিন্সিপালরা বেফাকে যোগ দিয়েই পেয়েছেন সহ-সভাপতি, সহকারী মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ। বেফাকের সংবিধান উপেক্ষা করে মজলিসে শুরা ও আমেলার মতামত না নিয়ে গঠন করা হয় মজলিসে খাস। এটা নিয়ে আলেমসমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া হওয়ায় গঠনতন্ত্র সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বেফাকে মাওলানা আনাসের প্রভাব
বেফাক সূত্রে জানা গেছে, আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত কারণে স্বাভাবিক চলাফেরা ও প্রশাসনিক কাজ তদারকি করতে পারছেন না। ফলে দাফতরিক কাজের জন্য তার ছোট ছেলে মাওলানা আনাস মাদানীর ওপর নির্ভর করতে হয়। এই সুযোগে বেফাকে নিজের প্রভাব বলয় বাড়াতে শুরু করেন তিনি। বিভিন্ন মিটিংয়ে আল্লামা শফীর পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে ওই চিঠির আলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য করেন তিনি। এসব চিঠির সত্যতা নিয়ে খোদ বেফাকের কর্মকর্তাও সন্দিহান। তার পরও কেউ এসবের প্রতিবাদ করেন না। অনেক আমেলার সদস্য মিটিংয়ে যান না শুধু এ কারণে যে, মিটিংয়ে যেয়ে কী হবে, সিদ্ধান্ত তো হবে চিঠির আলোকে।

আরও পড়ুন: কওমি অঙ্গনে ক্ষোভ দানা বাঁধছে ধীরে ধীরে

গঠনতন্ত্রে বলা আছে, ‘বেফাকের অন্তর্ভূক্ত সকল কওমী মাদরাসার মুহতামিম পদাধিকার বলে অত্র সংস্থার সাধারণ সদস্য বলে গণ্য হবেন।’ কিন্তু বেফাকের সভাপতি আল্লামা শফীর ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী সহ-সভাপতির পদে আছেন। বয়োজেষ্ঠ না হয়েও মাওলানা আনাস মাদানী শুধু আল্লামা শফীর ছেলে হওয়ায় এই পদ পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি হাটহাজারী মাদরাসার সহকারী শিক্ষা পরিচালক। একই মাদরাসার শিক্ষক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীও বেফাকের সহ-সভাপতি। এক মাদরাসা থেকে এভাবে তিনজনের অন্তর্ভুক্তি স্পষ্ট গঠনতন্ত্রের সঙ্গে অসামঞ্জসাপূর্ণ। তবে, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে সর্বশেষ কাউন্সিলে সহ-সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে এক নম্বর নির্বাহী সদস্য করা হয়। আর সহ-সভাপতি হন মাওলানা আনাস। পরে অবশ্য নানামুখী চাপের কারণে আল্লামা বাবুনগরীেক সহ-সভাপতি করা হয়।

অন্যদিকে ফরিবাদবাদ মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা নুরুল আমিন বেফাকের সহকারী মহাসচিব পদে অধিষ্ঠিত। ওই মাদরাসার প্রিন্সিপাল আবদুল কুদ্দস বেফাকের মহাসচিব। মাওলানা নুরুল আমিন বেফাক মহাসচিবের ভগ্নিপতি। এভাবে লালবাগ মাদরাসার প্রিন্সিপাল না হয়ে শুধু চট্টগ্রামে বাড়ি ও আল্লামা শফীর ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাধে মুফতি ফয়জুল্লাহ বেফাকের সহ-সভাপতি পদে আসীন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আলেম বলছেন, ‘দ্বীনি শিক্ষায় স্বজনপ্রীতির বিরোধিতা করা হলেও এ ধরনের চর্চা দেশের সবচেয়ে বড় কওমি প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিকভাবে পরিচালিত হতে বাধাগ্রস্ত করছে। এর অবসান দরকার।’

দেশের বৃহৎ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক)-এর দশম কাউন্সিলে তারা কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। আগের কমিটির তুলনায় কলেবরে বাড়ানো হয় নতুন কমিটির। এখানে গঠনতন্ত্র মানা হয়নি। এগুলো নিয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের আলেমরা প্রতিবাদ জানালেও কোনো প্রতিকার হয়নি। শুধু কয়েকজনকে পদায়ন করে ক্ষোভ উপশম করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু দাবি অনুযায়ী বেফাকে কোনো সংস্কার হয়নি। এটা নিয়ে আলেমরা অসন্তুষ্ট।

বেফাকের কমিটি
২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে বেফাকের পুনরায় সভাপতি হন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। গত ১৫ বছর ধরে এই পদে আছেন তিনি। ১৯৭৮ সালে বেফাক প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বেফাকের সভাপতি ছিলেন- মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুস রহ.। এরপর মাওলানা মুহাম্মদ হারুন ইসলামাবাদী (১৯৯২-৯৬), মাওলানা নুরুদ্দীন আহমাদ গহরপুরী (১৯৯৬-২০০৫) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সাল থেকে আল্লামা শাহ আহমাদ শফী বেফাকের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো, তখনও হাটহাজারী মাদরাসা বেফাকের আওতাভুক্ত হয়নি। এমনকি এখনও বেফাকের কেন্দ্রীয় সব পরীক্ষায় হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্ররা অংশ নেন না। এটা নিয়েও ক্ষোভে রয়েছে। এর বিরোধীতা করায় বেফাকের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা আবু ইউসুফ মাওলানা আনাস মাদানীকে বলে খাস কমিটি বিপুলপ্তির জন্য প্রলুব্ধ করছেন। ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপে বিষয়টি প্রমাণিত।

দশম কাউন্সিলের পর ঘোষিত নির্বাহী কমিটিতে সহ-সভাপতি রয়েছেন প্রায় ত্রিশ জন। মহাসচিবের দায়িত্ব পান জামিয়া ইমদাদিয়া ফরিবাদাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল কুদ্দুস। ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর বেফাকের পুরনো কমিটির মহাসচিব মাওলানা আবদুল জব্বার জাহানাবাদীর মৃত্যুর পর থেকেই বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। এর আগে সংস্থাটির মহাসচিব ছিলেন- শায়খুল হাদিস আল্লামা আজীজুল হক রহ. (১৯৭৮-৮২), মাওলানা আতাউর রহমান খাঁন রহ. (১৯৮৩-৯১) ও মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার রহ. (১৯৯২-২০১৬)। মাঝে ২০০৫ সালে মুফতি রুহুল আমীন ছয় মাস মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। সহকারী মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন আটজন। সহকারী মহাসচিব নিয়োগেও নিয়ম মানা হয়নি। একই মাদরাসা থেকে সদস্য করা ছাড়াও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আল্লামা শফীর অনুসারীদের। এটা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে আলেমদের মাঝে।

আলেমদের আশা-আকাঙ্খার বেফাক
১৯৭৮ সালের এক উলামা সম্মেলনে গঠিত হয় বাংলাদেশ কওমি শিক্ষা বোর্ড বেফাক। ২৬ বছর পর ২০০৬ সালে নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য ভূমি ক্রয় করে বোর্ড। কিন্তু এখনও নিজস্ব জায়গায় পরিকল্পিত কোনো ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। দেশের অন্যতম বৃহৎ দ্বীনি শিক্ষাবোর্ডের কার্যক্রম চলছে জীর্ণ আধাপাকা ভবনে।

প্রতিষ্ঠার পর ঢাকার এমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ মাদরাসায় স্থাপন করা হয় বেফাকের অস্থায়ী কার্যালয়। এরপর তা স্থানান্তরিত হয় ঢাকার নয়া পল্টনে একটি ভাড়া বাড়িতে।এ দুই জায়গায় আড়াই দশক পার করে যাত্রাবাড়ীর কাজলায় নিজস্ব ভূমিতে পা রাখে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ।

বহু চেষ্টার পর বেফাকের নিজের হয় মূল্যবান ২৭ শতাংশ জমি। বেফাকের সাবেক সভাপতি আল্লামা নূরুদ্দীন গহরপুরী রহ. নিজে এ জমি বায়না করেন এবং কওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকের সহযোগিতায় ধীরে ধীরে পরিশোধ করা হয় তার মূল্য। নিজস্ব ভূমিতে স্থায়ী ও পরিকল্পিত বহুতল ভবনের জন্য রাজউকের অনুমোদন মিলেছে ২০১৮ সালের শেষভাগে। বেফাকের ইচ্ছা, ২৭ শতাংশ জমির ওপর দুটি বহুতল ভবন করার। দুটি ভবনই হবে ১০তলা বিশিষ্ট। এসব ভবনে থাকবে- মসজিদ, বিষয়ভিত্তিক টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার, পাঠাগার, গবেষণাগার, অডিটোরিয়াম, বিশ্রামাগার, প্রত্যেক বিভাগের ভিন্ন ভিন্ন অফিস, বেফাকের স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রকশনা প্রতিষ্ঠান এবং বই বিক্রয় কেন্দ্র।

আগামী পর্বে: আগের অভিযোগের সুরাহাও হয়নি

   

তাপদাহে পুড়ছে দেশ, সিলেটে মুষলধারে বৃষ্টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে যখন তীব্র তাপদাহ চলছে তখন সিলেটে বারবার দেখা যাচ্ছে ব্যতিক্রম চিত্র। টানা কয়েকদিন গরমের কারণে হাঁসফাঁস করছিল লোকজন। এর মধ্যে মুষলধারে বৃষ্টিতে ভিজলো সিলেট।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১১টা থেকে সিলেটে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টিপাত। রাত সোয়া ১টায় পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। বৃষ্টির সাথে ছিল ঝড়ো হাওয়া। এতে কমে গরমের অস্বস্তি ভাব।

সিলেট নগরীর শেখঘাট এলাকার গৃহবধূ ঝর্ণা আক্তার বলেন, সারাদিন অনেক গরম ছিল।বাচ্চাদের নিয়ে অনেক কষ্টে দিন পার করতে হয়েছে। রাতের বৃষ্টি হওয়া শীতল হাওয়া লাগছে।

গোলাপগঞ্জের সাকিব আল-মামুন বলেন, ছুটির দিন হওয়াতে অনেকেই বাইরে ঘুরতে বের হন।কিন্তু প্রচুর গরম হওয়ার কারণে অনেকেই অস্বস্তি বোধ করতে দেখা যায়।আমাদের এখানে দেশের অন্যান্য স্থান থেকে গরম অনেক কম।

এর আগে গত ২১ এপ্রিলও সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে সিলেটে স্বস্তির বৃষ্টি দেখা মিলে।

এদিকে আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারাদেশে একই তাপমাত্রা থাকলেও বিপরীত চিত্র সিলেটে। সিলেটের তাপমাত্রা দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে একটু সহনশীল। যার কারণে নাগরিক জীবনে কোনো অস্বস্তিকর প্রভাব পড়েনি। মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থান ও বৃষ্টি প্রবণ এলাকা হওয়ায় সিলেটে এখনো তাপমাত্রা কম রয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন বলেন, ‘কালবৈশাখি মৌসুমে আবহাওয়া এমনই থাকবে। কখনো বৃষ্টি হবে, কখনো ঝড় হবে আবার কখনো তীব্র তাপপ্রবাহ হবে। বৃষ্টি হবে যে সেটার পূর্বাভাস আগেই ছিল। তবে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সিলেটে দেশের অন্যান্য জায়গার চেয়ে গরম অনেক কম অনুভূত হচ্ছে।’ 

;

অস্থির রাখাইনের উত্তাপ বাংলাদেশ সীমান্তে: ঢাকায় সিবিআইএফের আন্তর্জাতিক সংলাপ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান গৃহযুদ্ধের উত্তাপ ছড়িয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায়। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংকট ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অস্থিতিশীলতার প্রভাব নিয়ে ঢাকায় বিভিন্ন দেশের বিশ্লেষকদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সংলাপ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম (সিবিআইএফ) এর উদ্যোগে বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স’ (বিসিআইপিএ) এর সহযোগিতায় রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে এই আয়োজন।

"সম্প্রীতির সেতু নির্মাণ: গৃহযুদ্ধ পরবর্তী আরাকান/রাখাইনে সামাজিক সংহতি, শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য সামগ্রিক কৌশল" শিরোনামে অনুষ্ঠাতব্য এই সংলাপে মডারেটর ও আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, জাপান ও মিয়ানমারের অভিজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ অংশ নিচ্ছেন।

আলোচনায় বাংলাদেশ থেকে রয়েছেন, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের সাবেক প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহফুজুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল (অব.) শাহিদুল হক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাখাওয়াত হোসেন, বিসিআইপিএ এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক শাহাব ইনাম খান, গবেষক ও লেখক আলতাফ পারভেজ সহ অনেকে।

মিয়ানমার থেকে ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট- এনইউজির ফেডারেল ইউনিয়ন বিষয়কমন্ত্রী

লিয়াং মং সাখং, মানবাধিকার বিষয়ক উপমন্ত্রী অং ক্য ম, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী মু জৌ উ, এনইউজি প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র জ ক্য, সাবেক সংসদ সদস্য ইউ সুয়ে মং, আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল এল্যায়েন্স এর চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তা হিসেবে থাকছেন।

এছাড়াও জাতিসংঘ, বিভিন্ন দেশের দূতাবাস থেকে আসা প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিসহ অনেকেই বক্তব্য রাখবেন আলোচনায়।

সংলাপে বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন কক্সবাজারের স্থানীয়রা বলে জানান সিবিআইএফ এর যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন শর্মা।

সিবিআইএফ এর যুগ্ম আহ্বায়ক মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম বলেন, "কক্সবাজারের বিভিন্ন সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে ও টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে থাকে সিবিআইএফ, যার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক এই সংলাপের আয়োজন।"

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের পর "নেভিগেটিং দ্য রিপল অ্যাফেক্ট : এক্সামিনিং দ্য ইম্প্যাক্ট অব দ্য রোহিঙ্গা ক্রাইসিস অন হোস্ট কমিউনিটি অ্যান্ড চার্টিং পাথস টু ডিউরেবল সলিউশনস" শিরোনামে ওয়েবিনারের আয়োজন করে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম। 

;

ফেনীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাংয়ের ৬ সদস্য অস্ত্রসহ আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধানসহ ৬ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। কিশোর গ্যাংটি ‘এসডব্লিউএজি ৪৭’ নামে পরিচিত।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র‍্যাব। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে শহরের রামপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- ফেনী সদর উপজেলার সুন্দরপুর এলাকার মাইনুদ্দিনের ছেলে মো. সৈকত (১৭), বারাই গনি এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. বাবু (১৯), সোনাগাজী উপজেলার বাদাদিয়া এলাকার মাইনুদ্দিন মানিকের ছেলে মো. মাহি (২২), গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জরম নদী এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. মানিক (১৮),পাঁচগাছিয়া এলাকার রাজিবের ছেলে মো. আরমান (১৯) এবং মিয়াজী রোডস্থ মৃত স্বপনের ছেলে মো. আসিফ (১৮)।

র‍্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের রামপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। রামপুর পাকা রাস্তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে স্টিলের চাকু ও ফোল্ডিং চাকু উদ্ধার করা হয়।

ফেনীস্থ র‍্যাব-৭ এর কোম্পানি অধিনায়ক মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা শহরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। র‍্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক করে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আটককৃত আসামিদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

;

পঞ্চগড়ে নদীতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় চাওয়াই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে আলমি আক্তার (১২) ও ইসরাত জাহান সিফাত (৯) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নেট চাওয়াই নদীর চৈতন্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিহত আলমি ওই এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে এবং সিফাত সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তারা দুজনে সম্পর্কে ফুফু-ভাতিজি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে আলমি ও সিফাত বাড়ির পাশে চাওয়াই নদীতে গোসল করতে যায়৷ নদীতে গোসল করতে গিয়ে সিফাত পানিতে ডুবে যেতে থাকলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে আলমি৷ পরে দুজনে পানিতে ডুবে যায়। এসময় নদীর পাড়ে থাকা অন্য আরেক শিশু বিষয়টি দেখে দৌড়ে তাদের পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মৃত অবস্থায় পানির নিচ থেকে তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

খবর পেয়ে পুলিশ মৃত দুই শিশুদের মরদেহের সুরতহাল করে।

পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানতো, আরেকজন জানতো না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসাথে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মরদেহ সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

;