বেফাকে অস্থিরতা

কওমি অঙ্গনে ক্ষোভ দানা বাঁধছে ধীরে ধীরে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম. ঢাকা
বেফাক কর্মকর্তাদের ফোনালাপ ফাঁসকে কেন্দ্র করে কওমি অঙ্গনে ক্ষোভ দানা বাঁধছে ধীরে ধীরে, ছবি: সংগৃহীত

বেফাক কর্মকর্তাদের ফোনালাপ ফাঁসকে কেন্দ্র করে কওমি অঙ্গনে ক্ষোভ দানা বাঁধছে ধীরে ধীরে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো কওমি মাদরাসার ছাত্ররা তাদের বোর্ড বেফাকের (বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ) বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মাঠে নামতে যাচ্ছে। মহাসচিবসহ অভিযুক্তদের পদত্যাগের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ‘কওমি ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন। যদিও সংগঠনটির নেতৃত্বে কারা রয়েছেন, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। হতে পারে এটা তাদের কৌশল। তবে, তাদের দাবি সম্বলিত পোস্টার ফেসবুকে তরুণ আলেমরা শেয়ার করছেন।

দাবি মানা না হলে সংগঠনটি শুক্রবার (১৭ জুলাই) বাদ আসর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে মানবন্ধন করবে ও সেখান থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে। কওমি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এমন আন্দোলন নজীরবিহীন। এতোদিন তারা ধর্মীয় বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন করে এসেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কয়েকটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার প্রেক্ষিতে শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ এবং নানা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা আবু ইউসুফসহ তিনজনকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করেছে বেফাক। তাতেও ক্ষোভ কমছে না আলেম-উলামা ও ছাত্রদের। তাদের দাবি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ফোনালাপে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ পর্যন্ত বেফাকে হওয়া সব অনিয়মের বিচার করতে হবে। শুধু মাওলানা আবু ইউসুফ কিংবা তার সহযোগী নয়, মহাসচিবসহ যারা এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবার বিচার করতে হবে।

তবে মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) প্রতিষ্ঠানটির সহ-সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রূদ্ধদার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় আপাতত তিনজনকে বহিস্কার করে মহাসচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিভিন্ন অভিযোগে অনেককে চাকরি থেকে বরখাস্ত নজীর থাকলেও একসঙ্গে তিনজনকে অনিয়ম ও বেফাকের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকায় বরখাস্ত করার ঘটনা এবারই প্রথম। বরখাস্ত তিনজনই বেফাক মহাসচিবের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। তন্মধ্যে পরীক্ষা বিভাগে সঙ্গে কর্মরত ফরিদাবাদ মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আবদুল গণী বেফাক মহাসচিবের মাদরাসার শিক্ষক এবং সম্পর্কে মাওলানা আবদুল কুদ্দসের চাচা।

যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত
হাটহাজারী মাদরাসার শুরা সদস্য মাওলানা আবদুল কুদ্দুস ও মাওলানা নুরুল আমিন যথাক্রমে বেফাকের মহাসচিব ও সহকারী মহাসচিব। হাটহাজারীর হুজুর আল্লামা আহমদ শফীর আস্থাভাজন বলে পরিচিত। আর সভাপতি আল্লামা শফী হচ্ছেন বেফাকের সভাপতি। এমতাবস্থায় হাটহাজারী মাদরাসার সহকারী পরিচালকের পদ থেকে মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে সরিয়ে দিতে ভূমিকা রাখেন এ দুইজন। এটা নিয়ে আলেম-উলামা ও ছাত্রদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ জন্ম নেয়। এরই প্রেক্ষাপটে ফরিদাবাদ মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুল কুদ্দুস ও সহকারী প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল আমিনের বিভিন্ন অন্যায়, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কথা প্রকাশ হতে থাকে যোগাযোগ মাধ্যমে। এরই ধারাবাহিকতায় বেফাকের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা আবু ইউসুফের সঙ্গে মাওলানা আবদুল কুদ্দস, মাওলানা নুরুল আমিন, মাওলানা আবদুল গণী, মাওলানা আনাস মাদানী ও মাওলানা ত্বহার কথোপকথনের একাধিক অডিও ভাইরাল হয়।

কী আছে ফোনালাপে?
ফাঁস হওয়া ফোনালাপকে কেন্দ্র করে শুরু হয় তোলপাড়। ওইসব ফোনালাপে কেন্দ্রীয় পরীক্ষার মেধা তালিকা নিয়ে জালিয়াতি, বেফাকের খাস কমিটি বাতিল, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়োগে তদবির, ছাত্রদের রেজিস্ট্রেশনে অনিয়ম, পরীক্ষার কেন্দ্র নিয়ে অনৈতিক সুবিধাগ্রহণ, স্বজনপ্রীতি, বেফাকের মহাপরিচালক মাওলানা জোবায়েরকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র, বেফাকের নেতৃস্থানীয় একাধিক আলেমের নাম তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ এবং সহকর্মীদের নামে নানাবিধ দুর্নাম রটনাসহ বিভিন্ন অনিয়মের কথা প্রকাশ পায়। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে অনেকটা চাপের মুখে তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়।

মাওলানা আবু ইউসুফ আগে থেকেই অভিযুক্ত
ফাঁস হওয়া পাঁচটি অডিও ক্লিপের একটিতে বেফাকের মহাসচিব ও আল হাইয়াতুল উলিয়ার ভারপ্রাপ্ত কো-চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল কুদ্দুস এবং বেফাকের পরীক্ষানিয়ন্ত্রক মাওলানা আবু ইউসুফ, আরেকটিতে বেফাকের সহ-সভাপতি মাওলানা আনাস মাদানী ও বেফাকের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা আবু ইউসুফের কথোপকথন রয়েছে। পাওয়া গেছে বেফাকের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা আবু ইউসুফ এবং ঢাকার ফরিদাবাদ মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস, বেফাকের পরীক্ষা বিভাগের অতিথি কর্মকর্তা মাওলানা আবদুল গনীর মধ্যকার নানা বিষয়ে কথোপকথন।

সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পাওয়া গেছে বেফাকের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা আবু ইউসুফের বিরুদ্ধে।কেন্দ্রীয় পরীক্ষার মেধা তালিকা নিয়ে সিরিয়াল জালিয়াতি, পরীক্ষার মারকাজ নিয়ে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ, স্বজনপ্রীতি, মুরব্বি আলেমদের নামে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য এবং সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম। এসব অভিযোগের বিষয়ে অনেক আগে থেকেই মাওলানা আবু ইউসুফের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত দল কাজ করছে। বেফাকের ১০ সদস্যের ওই তদন্ত কমিটিতে আছেন- মুফতি ওয়াক্কাস, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন রাজু, মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা নুরুল আমিন ও মাওলানা মনিরুজ্জামান। ওইসব অভিযোগের এখন সুরাহা হয়নি। নতুন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বহিস্কার হতে হলো।

জানা গেছে, গঠিত তদন্ত কমিটি বিভিন্ন জটিলতার কারণে বেশি দূর এগুলোতে পারেননি। এ যাবত তদন্ত কমিটির দুটি মিটিং হয়েছে। তদন্ত কমিটি প্রকাশনা বিভাগ,পরিদর্শন বিভাগ, পরীক্ষা বিভাগ এবং হিসাব বিভাগের অনিয়ম খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। তদন্ত কমিটির একজন সিনিয়র সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা যথাযথভাবে তদন্ত করতে পারিনি। সঠিক তদন্ত হলে ঘটনা এ পর্যন্ত গড়াতো না। আর বেফাকের অনেকে চান না- এ ঘটনার তদন্ত হোক। বিষয়টি না পারি বলতে, না পারি সইতে।’ মাওলানা আবু ইউসুফ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।

ক্ষোভ দানা বাঁধছে ধীরে ধীরে
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বেফাকের মিটিংয়ে মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দসকে পদত্যাগ করতে বলা হলেও তিনি অস্বীকৃতি জানান। তাকে সমর্থন করেন মাওলানা আনাস মাদানী এবং মাওলানা সাজিদুর রহমান। মহাসচিব এ সময় বলেন, আমি এভাবে পদত্যাগ করবো না। আমি এখান থেকে কয়েকজনকে নিয়ে গিয়ে হাটহাজারী হুজুরের সাথে কথা বলবো। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) হাটহাজারীতে বেফাকের খাস কমিটির বৈঠক আহ্বান করেও বাতিল করা হয়েছে। বেফাকসূত্রে জানা গেছে, আল্লামা শফী এখন বলতে গেলে সংজ্ঞাহীন। তার এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার মতো সামর্থ্য নেই। মূলত আল্লামা শফীর দোহাই দিয়ে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে।

বেফাকের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুসের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে রাজি হননি কেউ। একাধিক সহ-সভাপতি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, চলমান বিষয়গুলো খুব স্পর্শকাতর। এগুলো নিয়ে মুরব্বিরা কাজ করছেন। এর বেশি মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

আগামী পর্বে: অনিয়মই নিয়ম বেফাকে, মানা হয় না গঠনতন্ত্র!

   

১৩ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৩ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

১৩ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো.হাসানুজ্জামান ওরফে হাছান (৪২) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গতকাল বুধবার রাতে র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৬ রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে।

শিহাব করিম বলেন, জানা যায়, মো. হাসানুজ্জামান বিগত ২০১১ সালে ৯৫০ বোতল ফেনসিডিল সহ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাতে গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে আসামির বিরুদ্ধে ঢাকার গুলশান মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু হয়। মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি ১৭ মাস জেল হাজতে কারাবাস পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্তি লাভ করে নিয়মিত আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়।

তিনি বলেন, অন্যদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে আসামি মোঃ হাসানুজ্জামান পলাতক থাকা অবস্থায় বিজ্ঞ আদালত বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন।

গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে আসামিকে গ্রেফতার সংক্রান্তে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ এর অধিযাচন পত্রের প্রেক্ষিতে র‌্যাব আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৬ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন সাতরাস্তা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

রাজবাড়ীর বিখ্যাত চমচমের কারিগর শংকর সাহা মারা গেছেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে সুপরিচিত রাজবাড়ীর বিখ্যাত শংকরের চমচম। সুস্বাদু এই চমচমের কারিগর রাজবাড়ী বাজারের বিশিষ্ট মিষ্টি ব্যবসায়ী শংকর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের প্রতিষ্ঠাতা শংকর সাহা মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় মৃত্যুর বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন শংকর সাহার ভাতিজা পুলক সাহা।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১ টার দিকে তিনি মারা যান।

তিনি রাজবাড়ী পৌরসভার বিনোদপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ ছাড়াও তিনি লক্ষ্মীকোল হরিসভা (পুরাতন) মন্দিরের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপালন করছিলেন।

পুলক সাহা বার্তা২৪.কমকে জানান, বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তিনি বাথরুমে যান। সেখানে মাথা ঘুরে পড়ে যান। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শংকর সাহার ছোট জামাই শ্রীকান্ত বিশ্বাস রাহুল জানান, তার শ্বশুর শংকর সাহা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ী শহরের পৌর মহাশ্মাশানে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।

শংকর সাহার মৃত্যুতে রাজবাড়ী লক্ষ্মীকোল হরিসভা মন্দির কমিটিসহ শহরের বিশিষ্টজনেরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে শেষ বারের মতো দেখতে এলাকাবাসীসহ শুভাকাঙ্ক্ষীগণেরা বিনোদপুর পাওয়ার হাউজ সংলগ্ন বাসভবনে ভিড় করছেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ মেয়েসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন।

১৯৮২ সালে শংকর সাহা প্রতিষ্ঠিত করেন ‘শংকর মিষ্টান্ন ভান্ডার’। সেই থেকে টানা ৪২ বছর সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। রাজবাড়ীর চমচম বলতে সারাদেশে শংকরের চমচমকেই বোঝায়। শংকর সাহার মৃত্যুতে তার নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত শংকর মিষ্টান্ন ভান্ডার আজ বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে বলে জানান তার স্বজনরা।

;

টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মেরিনা তাবাশ্যুম

মেরিনা তাবাশ্যুম

  • Font increase
  • Font Decrease

খ্যাতনামা মার্কিন সাময়িকী টাইম–এর করা বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের মেরিনা তাবাশ্যুম। তিনি একজন স্থপতি। উদ্ভাবক ক্যাটাগরিতে এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন মেরিনা।

গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ২০২৪ সালের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির এ তালিকা প্রকাশ করেছে টাইম।

তাঁর সঙ্গে তালিকায় থাকা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ার ইউলিয়া নাভালনায়া, শান্তিতে নোবেলজয়ী ইরানের মানবাধিকার কর্মী নার্গিস মোহাম্মদী, পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কসহ পরিচিত অনেক মুখ। ভারতের চলচ্চিত্র অভিনেত্রী আলিয়া ভাট শিল্পীশ্রেণিতে এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

মেরিনা সম্পর্কে টাইম লিখেছে, সচরাচর পুরস্কারজয়ী স্থপতিদের সঙ্গে পরোপকার শব্দটি তেমন একটা উল্লেখ করা হয় না। তবে মেরিনা তেমন সাধারণ নন। তিনি স্থাপত্য চর্চায় এমন একটি চর্চা তৈরি করেছেন, যাতে স্থানীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের পাশাপাশি আমাদের এই ধরিত্রী যে বিপদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা অগ্রাধিকার পায়।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। টাইম লিখেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বড় ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশে মেরিনা তাবাশ্যুম এমন এক ঘরানার বাড়ি তৈরি করেছেন, যার নির্মাণ ব্যয় যেমন কম, তেমনি এই বাড়ি সহজে স্থানান্তরও করা যায়।

স্থপতি মেরিনা তাবাশ্যুমের এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নয়। ২০২১ সালে মানবিক ঘর তৈরির জন্য যুক্তরাজ্যের মর্যাদাপূর্ণ সন পদক পান তিনি। ২০২০ সালে ব্রিটিশ সাময়িকী প্রসপেক্ট–এর ৫০ চিন্তাবিদের মধ্যে শীর্ষ ১০ জনে স্থান করে নিয়েছিলেন তিনি। তিনি ১০ জনের মধ্যে তৃতীয় হন।

ঢাকার দক্ষিণখানে বায়তুর রউফ নামের একটি শৈল্পিক নকশার মসজিদের স্থপতি হিসেবে ২০১৮ সালে জামিল প্রাইজ পান তিনি। এর আগে একই নকশার জন্য ২০১৬ সালে পান সম্মানজনক আগা খান পুরস্কার। সুলতানি আমলের স্থাপত্যের আদলে নকশা করা এ মসজিদ ২০১২ সালে ঢাকায় নির্মিত হয়।

;

টাঙ্গাইল পৌরসভাসহ বি‌ভিন্ন প‌য়েন্টে কক‌টেল বি‌স্ফোরণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইল পৌরসভাসহ শহ‌রের বি‌ভিন্ন প‌য়ে‌ন্টে কক‌টেল বি‌স্ফোরণের ঘটনা ঘ‌টে‌ছে। এতে মানুষজনের ম‌ধ্যে আতঙ্ক বিরাজ কর‌ছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৯টা ৪৫ মি‌নি‌টের দি‌কে টাঙ্গাইল পৌরসভার সাম‌নে, পৌর উদ‌্যান, ছয়আনী পুকুর পাড়, আদালতপাড়া, পুরাতন বাসস্ট‌্যান্ড, থানা পাড়া এলাকায় বিকট শ‌ব্দ হ‌য়ে কক‌টেলগু‌লো বি‌স্ফোরিত হয়। এতে জনম‌নে আত‌ঙ্কের সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে।

ঘটনার পর পু‌লি‌শের মোটরসাইকেলের মোবাইল টিম শহ‌রের বি‌ভিন্ন প‌য়ে‌ন্টে টহল দেয়। এছাড়া শহ‌রের বি‌ভিন্ন প‌য়ে‌ন্টে চেক‌পোস্ট ব‌সি‌য়ে তল্লাশি করা হয়।

এদি‌কে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকা‌লে টাঙ্গাইল শহ‌রে জেলা আওয়াম‌ী লী‌গের দুইগ্রু‌পের পক্ষ থে‌কে আলাদা আলাদাভা‌বে সমাবেশের ডাক দেয়া হ‌য়ে‌ছে। জেলা আওয়াম‌ী লী‌গের একাংশ সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আজ সকালে ধর্ষণ মামলার আসামি শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া গোলাম কিবরিয়া বড় মনির‌কে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সমা‌বে‌শের ডাক দেয়। অপর‌দি‌কে একই সম‌য়ে আওয়ামী লী‌গের আরেক অংশ জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে আওয়াম‌ী লীগ নেতা ফারুক হত‌্যা মামলার আসামিদের বিচারের দাবিতে সমাবেশের ডাক দেয়।

শহ‌রের বা‌সিন্দারা জানান, রা‌তে শহ‌রে বিকট শ‌ব্দে বি‌স্ফোরক বি‌স্ফোরিত হওয়ায় আতঙ্কের সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে। মোটরসাইকেল‌যো‌গে দুষ্কৃ‌তকারীরা শহ‌রের বি‌ভিন্নস্থ‌া‌নে কক‌টেল ফা‌টি‌য়ে‌ আতঙ্ক সৃ‌ষ্টি ক‌রে‌ছে। আওয়ামী লী‌গের দুইগ্রু‌পের সমা‌বেশের কার‌ণে হয়তো এমন‌টি হ‌তে পা‌রে।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) মো. লোকমান হো‌সেন ব‌লেন, রা‌তে কে বা কারা এসব ঘটনা ঘ‌টি‌য়ে‌ছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পৌরসভার সাম‌নে থে‌কে কক‌টেল সদৃশ‌্য দুইটি বি‌স্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। শহ‌রে পু‌লি‌শি তৎপরতা বৃ‌দ্ধি করা হ‌য়ে‌ছে।

;