মন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছে সাহেদের, টকশো ছিল পরিচিতির মাধ্যম

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃত সাহেদ

র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃত সাহেদ

র‍্যাবের হাতে গ্রেফতারের আগে আত্মসমর্পণের কথা ভেবেছিলেন সাহেদ। আর সেই ভাবনা থেকেই কয়েক দফায় যোগাযোগ করেছিলেন আইনজীবীদের সঙ্গে।

গ্রেফতার এড়িয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে কীভাবে রিমান্ড থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, সেই পথেই হাঁটছিলেন তিনি। তবে তার কোনো পরিকল্পনাই শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। এরআগেই গ্রেফতার হয়েছেন র‌্যাবের হাতে।

বিজ্ঞাপন

১০ দিনের রিমান্ডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে থাকা দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে নিজের সম্পর্কে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন ৫০-এর অধিক মামলার এ আসামি।

জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে যুক্ত গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সূত্রে জানা যায়, সাহেদের পরিকল্পনা ছিল কয়েক বছরের মধ্যে মন্ত্রী হওয়ার। এর জন্য দৌড়ে টিকে থাকার জন্যই টকশোর মাধ্যমে পরিচিতি বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। পাশাপাশি ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করে নিজেকে দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবেও প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: ভুয়া কোম্পানির সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করতেন সাহেদ

এদিকে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, ‘শুধু এই রকম প্রতারণাই করতে চায়নি সাহেদ। এমন কোনো প্রতারণা নেই যে, সে করেনি। দেশ যখন করোনাকালীন সংকটে পড়ে তখন ভুয়া কোম্পানি খুলে বিভিন্ন হাসপাতালে নিম্নমানের পিপিই ও সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহও করতেন সাহেদ।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র বলছে, সাহেদকে গ্রেফতারের পর তার নানা অপকর্মের বিষয়ে অনেকেই স্বেচ্ছায় তথ্য দিচ্ছেন। আবার অনেকে এখনো সাহেদের ভয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। এ বিষয়ে র‌্যাব তাদের আইনি সহায়তা দিতে চায়।

র‍্যাব জানায়, রিজেন্ট মামলায় গ্রেফতারকৃত প্রতারক সাহেদের ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা যেকোনো তথ্য বা অভিযোগ বা আইনি সহায়তা পেতে (01777720211) এই হটলাইন নম্বরে র‌্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।