আড়াই বছর পর আসিফের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসিফের বিরুদ্ধে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। দুই বছর সাত মাস পর ইতিপূর্বে জারিকৃত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাকে দলে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।

শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি স্বাক্ষরিত সাংগঠনিক আদেশ বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এই আদেশ ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এতে বলা হয়েছে, হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ-এর বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে জারিকৃত বহিষ্কারাদেশ অদ্য ১৮ জুলাই ২০২০ইং হতে প্রত্যাহার করা হলো। জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১(১)-ক ধারা মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো- যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এদিকে দীর্ঘ ২ বছর সাত মাস ১০ দিন পর আসিফ শাহরিয়ার এর বিরুদ্ধে জারিকৃত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করায় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন আসিফের ভক্ত ও সমর্থকরা। বিভিন্ন স্থানে তারা মিষ্টি বিতরণ করেছেন বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, দলের নির্দেশ অমান্য করে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ২০১৭ সালের ৮ ডিসেম্বর তৎকালীন যুগ্ম-মহাসচিব হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসিফকে বহিষ্কার করেছিলেন পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। ওই সময় আসিফকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব ধরনের পদ ও পদবি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

আসিফ সম্পর্কে এরশাদের ভাতিজা হলেও মনোনয়ন না পাওয়ার অভিমান থেকে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন এরশাদ। কিন্তু আসিফ এই নির্দেশ উপেক্ষা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে পরাজিত হন।

এরপর থেকে এরশাদের অভিমানী ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ার নিজেকে গুটিয়ে রাখেন। দীর্ঘ সময় ধরে রাজনীতির মাঠে তাকে আর দেখা যায়নি। তার বড় আব্বা এইচ এম এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই মারা গেলে রংপুর-৩ (সদর ও সিটি) আসনটি শূন্য হয়। এই আসনে উপ-নির্বাচনে ভাই সাদ এরশাদের বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র পদেও ভোট যুদ্ধে হেরে যান আসিফ। তবে তিনি ২০০৮ সালে রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।