হত্যার ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ আদায়, নারীসহ গ্রেফতার ৫

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নাটোর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে গ্রেফতারকৃতরা।

মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে গ্রেফতারকৃতরা।

নাটোরে ব্যবসায়ীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে এক নারীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান নাটোর জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নাটোর সদর উপজেলার ফুলস্বর গ্রামের আফেজ উদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেন (৩২), রাজশাহীর চারঘাট হলিদাগাছী গ্রামের মামুনুর রহমান বাবুর স্ত্রী শরিফা আক্তার সাথী (২৮), নাটোর সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে ফারুক (২৮), অর্জুনপুর গ্রামের হামিদ আলী আকন্দের ছেলে হোসেন আলী (৪০) এবং চারঘাট এলাকার শিবপুর গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে নজু (৩৫)।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গত ১৪ জুলাই রাতে ঢাকা থেকে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান (৪০) ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বাসযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাচ্ছিলেন। বাসটি সিরাজগঞ্জে পৌঁছালে পাশের সিটে বসা শরিফা আক্তার সাথীর সঙ্গে প্রথমে পরিচয় এবং পরে তাদের মধ্যে মোবাইল নম্বর আদান প্রদান হয়। পরদিন শরিফা আক্তার সাথী ব্যবসায়ী মিজানুরকে ফোন করে নাটোরে তার বাড়ি হয়ে ঢাকায় যেতে প্রস্তাব দেন। মিজানুর রাজি হলে তাকে সিএনজিযোগে নাটোর শহর থেকে ফুলস্বর গ্রামের কানু সরকারের ছেলে জমির উদ্দিন সরকারের বাড়িতে নিয়ে যান সাথী। ওই বাড়িতে পৌঁছানোর পর পূর্ব পরিকল্পনা মতো সাথীর সহযোগীরা ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে হত্যা ও নারী সম্পর্কিত খারাপ কাজ করার অপবাদ দেয়ার ভয় দেখায়। এ সময় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে তারা। এরপর মিজানুর রহমানকে বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মেদপুরে রেখে পালিয়ে যায় তারা।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনায় মিজানুর রহমান মামলা দায়ের করলে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপরাধ স্বীকার করেছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের, গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আনারুল ইসলামসহ অন্যরা।