পদ্মার পেটে বন্দরখোলা ইউনিয়নের একমাত্র বিদ্যালয়

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাদারীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নূরুদ্দিন মাদবরের কান্দি এস.ই.এস.ডি.পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়।

নূরুদ্দিন মাদবরের কান্দি এস.ই.এস.ডি.পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়।

পদ্মায় অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে মাদারীপুরের শিবচরের চরাঞ্চলে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ভাঙনে চরাঞ্চলের শতাধিক বাড়িঘরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে শিবচরের বন্দরখোলা ইউনিয়নের একমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ওই বিদ্যালয়টির নাম নূরুদ্দিন মাদবরের কান্দি এস.ই.এস.ডি.পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়।

বিজ্ঞাপন

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে নূরুদ্দিন মাদবরের কান্দি এস.ই.এস.ডি.পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টিতে শিবচর উপজেলার মমিন উদ্দিন হাওলাদারকান্দি, জব্বার আলী মুন্সীকান্দি, বজলু মোড়লের কান্দি, মিয়া আজম বেপারীর কান্দি, রহমত হাজীর কান্দি, জয়েন উদ্দিন শেখ কান্দি, মসত খাঁর কান্দিসহ প্রায় ২৪টি গ্রাম ও ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার চর নাসিরপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করে। বিদ্যালয়ে প্রায় ৩ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করে।

ভাঙনের আগে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় নূরুদ্দিন মাদবরের কান্দি এস.ই.এস.ডি.পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি।

জানা গেছে, গত বছর পদ্মা নদী ভাঙতে ভাঙতে বিদ্যালয়টির খুব কাছে চলে আসে। তাই নিরাপত্তার কারণে মালামাল ও ছাত্র-ছাত্রীদের সরিয়ে অন্য স্থানে কার্যক্রম চালাচ্ছিল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ বিকেলে পদ্মার পেটে চলে গেল ওই বিদ্যালয়টি।

বিজ্ঞাপন

বন্দরখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বেপারী জানান, এটি একটি নদী ভাঙন কবলিত এলাকা। আজ বিকেলে এলাকার একমাত্র বিদ্যালয়টি নদী গর্ভে চলে গেছে। এখনো ভাঙন ঝুঁকির মধ্য রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, একটি প্রাইমারি স্কুল ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক। যদি পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু ব্যবস্থা করে তাহলে হয়তো বাকি স্থাপনাগুলো রক্ষা করা সম্ভব হবে।