‘ডিএনসিসির নির্ধারিত জায়গায় পশু কোরবানি করুন’
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে কোরবানির পশুর হাটে আসার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মহামারির মধ্যেই এবার ঈদ হচ্ছে। বেঁচে থাকলে আরও অনেক কোরবানির ঈদ করতে পারবো। কিন্তু এবার যারা পশুর হাটে আসবেন মেহেরবানি করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। তাছাড়া নগরবাসীকে ডিএনসিসির নির্ধারিত জায়গায় কোরবানি করার আহ্বানও জানান মেয়র।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) ভাটারা-সাইদ নগরে স্থাপিত অস্থায়ী কোরবানি পশুর হাট পরিদর্শন করেন মেয়র আতিক। পরিদর্শনকালে তিনি পশুর হাট ঘুরে দেখেন এবং গবাদি পশু ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি কোরবানির পশু ব্যবসায়ী ও ক্রেতা উভয়কে করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মেয়র বলেন, আপনারা জানেন ডিএনসিসিতে প্রতি বছর দশ-এগারোটা হাট বসে থাকে। এবার কোভিড-১৯ মোকাবিলার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি ঢাকা শহরের বাইরে কিছু জায়গায় হাট বসানোর জন্য। বর্তমানে একটি স্থায়ী হাট গাবতলীতে এবং পাঁচটি অস্থায়ী হাট শহরের বাইরের দিকে খোলামেলা জায়গায় বসানো হয়েছে। এছাড়া হাটে না গিয়ে অনলাইন থেকে কোরবানির পশু কেনা, কোরবানি দেওয়া, মাংস প্রস্তুত করা এমনকি বাসায় মাংস পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডিজিটাল হাটও বসানো হয়েছে।
তিনি বলেন, হাট ইজারা দিয়ে ডিএনসিসি গতবার ২১ কোটি টাকা পেয়েছিল, হাট কমানোর কারণে এবার অনেক কম টাকা পেয়েছি।
আতিকুল ইসলাম বলেন, হাট পরিদর্শনের জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের জন্য নিয়ে একটি মনিটরিং টিম করা হয়েছে। তারা মনিটরিংয়ের জন্য প্রত্যেকটা হাটে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কিনা তা মনিটরিং করছেন। ইজারাদাররাও মাস্ক নিয়ে এসেছে, যাতে কেউ মাস্ক নিয়ে না আসলে তাদেরকে দিতে পারে। এটি মেনটেইন করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার, তারপরও আমরা চেষ্টা করছি। বারবার মাইকে স্বাস্থ্যবিধির কথা বলা হচ্ছে, সচেতন করা হচ্ছে। বয়স্ক, শিশু, অসুস্থরা যাতে হাটে না আসেন।
মেয়র বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কিনা তা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিটি হাটে একটি করে মোবাইল কোর্ট দিয়েছি। আমরা চেষ্টা করছি স্বাস্থ্য সুরক্ষা সবাই যেন মেনে চলে।
কোরবানির স্থান প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, বছিলায় ২ হাজার পশু কোরবানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডিএনসিসি থেকে ২৫৬টি স্থানে কোরবানি দেওয়ার জন্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো এই সকল স্থানে কোরবানি করার জন্য। মহামারি ও কোরবানি মাথায় রেখে নিজ নিজ দায়িত্বে শহর পরিষ্কার রাখতে বলেন মেয়র।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমানসহ কোরবানি পশুর হাট মনিটরিং কমিটির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।