বর্ষায় বেড়েছে ছাতার কদর
এখন শ্রাবণ মাস চলছে। ভরা বর্ষা মৌসুম। অবিরাম বৃষ্টির দেখা মিলছে। ফলে ছাতার কদর বেড়েছে।
যাদের ছাতা নষ্ট তারা সেটি ঠিক করতে কারিগরদের কাছে যাচ্ছেন। আর যাদের ছাতা নেই তারা নতুন কিনছেন। এ কারণে ব্যস্ততা বেড়েছে কুষ্টিয়ার ছাতা বিক্রেতা ও কারিগরদের।
কুষ্টিয়ার ছাতা কারখানার মালিক, কারিগর ও ব্যবসায়ীরা জানান, আষাঢ় মাস শেষ হয়েছে। শ্রাবণ মাসের অর্ধেক। এই বর্ষা মৌসুমে ছাতার বাজার সরগরম হয়ে উঠেছে। বিক্রি বাড়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে ছাতা কারিগরদের। ফলে সকাল থেকে রাত অবধি চলছে ছাতা তৈরির কাজ।
কুষ্টিয়ার বিভিন্ন উপজেলাসহ শহরের বড়বাজার, মজমপুর ও এন এস রোডে ছাতার দোকান ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি ও সাধারণ ক্রেতারা দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। বিক্রি হচ্ছে দেশি-বিদেশি ছাতা। শিশুদের জন্য আছে বাহারি নকশার ছাতাও।
মঙ্গলবার (২৮) দুপুরে মিরপুর উপজেলার সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক হাটে গিয়ে দেখা যায়, ছাতা মেরামত করার কাজে ব্যস্ত কারিগর আব্দুল মজিদ। তার কাছে নষ্ট হয়ে যাওয়া ছাতা মেরামত করতে এসেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
আব্দুল মজিদ জানান, তিনি প্রায় ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই হাটে ছাতা মেরামত করে আসছেন। অন্য সময়ের থেকে বর্ষা মৌসুমে ছাতা মেরামতের চাপ বাড়ে। প্রতি হাটে ছাতা মেরামত করে ৫-৭শ টাকা আয় হয় তার।
চিথলিয়া এলাকা থেকে ছাতা মেরামত করতে এসেছেন আসাদুল হক। তিনি বলেন, ‘দুইটি ছাতা নষ্ট হয়ে ঘরে পড়েছিল। বৃষ্টির সময় ছাতার দরকার হয়। তাই সারাতে এসেছি।’
তিনি জানান, দুইটি ছাতা সারাতে কারিগরকে ৫০ টাকা দিয়েছেন। নতুন ছাতা কিনতে গেলে আরও অনেক খরচ।
মজমপুর গেটের মেসার্স ইসলাম এন্টারপ্রাইজের মালিক আবুজর বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমাদের এখানে খুচরা ও পাইকারি ছাতা বিক্রি হয়। বর্তমানে ফোল্ডিং ছাতার চাহিদা বেশি। যা চীন থেকে আমদানি করা হয়। তবে ভাঁজহীন দেশি ছাতা ১৫০-৩৫০ টাকা, দেশি-বিদেশি দুই ভাঁজের ছাতা ২৫০ টাকা থেকে সাড়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’