লঞ্চে অনীহা, যাত্রীর চাপ ফেরিতে

  • খন্দকার সুজন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে: ঈদের বাকী আর মাত্র দুই দিন। প্রিয়জনের সাথে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ঘরমুখো এখন সকল মানুষেরা। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ঘরমুখো মানুষের সংখ্যা বাড়ছে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়।

ঈদের আগে লঞ্চঘাট এলাকা মানুষের পদচারণয় মুখরিত থাকলেও এবারের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। লঞ্চে করে পদ্মা পারি দিতে অনীহা থাকায় যাত্রীর চাপ রয়েছে নৌ-রুটে চলাচলরত ফেরিগুলোতে। যে কারণে লঞ্চঘাটের লোকাল যাত্রীদের ভিড় এখন ফেরিঘাট এলাকায়।

বিজ্ঞাপন

পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় রাজবাড়ীগামী যাত্রী আলিম মিয়া বলেন, বন্যার পানিতে নদী উত্তাল। এছাড়া সারাদেশে লঞ্চ দুর্ঘটনাও বাড়ছে। লঞ্চ আর ফেরিতে নদী পারাপারের ভাড়াও সমান। তাই ফেরিতে নদী পারাপারে একটু বেশি সময় লাগলেও নিরাপদ।

আজিজুল হাকিম নামের আরেক যাত্রী বলেন, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ায় ঈদের মধ্যে পারাপার হওয়া কিছুটা ঝুঁকি থাকে।

বিজ্ঞাপন

পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দী বলেন, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ নেই লঞ্চঘাটে। করোনাকালীন সময় থেকেই ব্যবসা মন্দা। ঈদ মৌসুমেও ফাঁকা লঞ্চঘাট। তবে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) ফরিদুল ইসলাম বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ১৬টি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌ-রুটে ১৭টি লঞ্চ চলাচল করছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর কর্মীরা লঞ্চঘাট এলাকায় রয়েছে। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপারের কোনো সুযোগ নেই।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ছোট বড় মিলে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। নৌ-রুট পারাপারে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ রয়েছে। তবে লঞ্চ বা ফেরিতে করে যাত্রীদের নৌ-রুট পারাপারের বিষয়টি একান্তই ব্যক্তিগত বলে জানান তিনি।