আমলা নির্ভর প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনপ্রতিনিধিদের আপত্তি



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকা ওয়াসা, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতো আমলা নির্ভর প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ। তাদের মতে আমলা নির্ভর এরকম প্রতিষ্ঠান না করে সিটি করপোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভায় জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতায়ন করা হোক। তাতে জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে। কেউ কেউ বলেছেন, রাজউকের ইট পর্যন্ত টাকা চায়, বিল্ডিংয়ের বালু পর্যন্ত টাকা চায়, ওয়াসায় টাকা ছাড়া কাজ হয় না। সেখানে নতুন করে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়া আরও সমন্বয়হীনতা বাড়বে।

মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নামে একটি বিল পাসের আগে জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব উত্থাপন করে এসব কথা বলেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যগণ। তারা সকলেই জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, বিল তো পাস হবে, পাস হলে তাতে কি হবে? আমরা কি সুন্দর নগরী পাব? অথবা আধুনিক সুসজ্জিত, কিন্তু তা তো আমরা পাব না। বিল পাস হওয়ার পর দেখা যাবে যে যেভাবে পারে ইচ্ছামতো কাজ করছে। এখানে দেখার তো কেউ থাকবে না। আমরা শুধু দিয়েই যাচ্ছি, কিন্তু দেখার তো কেউ নাই। গাজীপুরের অন্তবর্তী যে ভাওয়াল গড় আছে যেখানে শালবন কেটে কেটে পর্যটন নগরী করা হচ্ছে দেখার তো কেউ নেই। এভাবে অপরিকল্পিতভাবে নগর উন্নয়নের নামে যা করা হবে তাতে সাধারণ নাগরিক সুবিধা পাবে না। রাজউক আছে, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতেও আছে সেখানে কিন্তু নগর উন্নয়নের নামে যা হচ্ছে তা ভালো নয়।

ফখরুল ইমাম বলেন, সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে বলা আছে প্রশাসনিক সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে জনগণের কল্যাণে কাজ করবে। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে সেই সুযোগ নাই। এখানে একজন চেয়ারম্যান নিয়োগ করবেন। এর অভিজ্ঞতা তো ভালো না। তাই এটার দরকার আছে বলে মনে করি না।

মুজিবুল হক চুন্ন বলেন, এই আইনে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান যিনি হবেন তিনি একজন আমলা অথবা নিয়োগপ্রাপ্ত একজন ব্যক্তি। নির্বাচিত প্রতিনিধি না। সিটি করপোরেশনের অভিজ্ঞতা থেকে দেখতে পাই বাংলাদেশের সিটি করপোরেশনের মেয়ররা অসহায়, কারণ তারা কাজ করতে পারেন না। দেখা যায় তারা রাস্তা করার পর সেখানে পানির লাইনের কাজ হচ্ছে নয়তো ড্রেন করছে, দেখা যায় বিদ্যুতের লাইন, গ্যাসের লাইন করছে সমন্বয়ের অভাব।

তিনি বলেন, রাজউকের দিকে তাকালে দেখা যায় যে রাজউকে গেলে বিল্ডিংয়ের ইট পর্যন্ত টাকা চায়। রাজউকের যে বালু সেটা পর্যন্ত টাকা চায়। ওয়াসাতে গেলে টাকা ছাড়া কাজ হয় না। যে রাজউকে ৯৬ সালে প্রকল্প নিয়েছিল পূর্বাচলে। যারা প্লট পেয়েছিলেন তারা মৃত্যু পথযাত্রী। তাদের ছেলে মেয়েরা বাড়ি করতে পারবেন কিনা জানি না। এই হল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অবস্থা। এখন গাজীপুর যদি একই উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হয় রাজউকের তাতে লাভ কি? আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল, আপনারা সিটি করপোরেশনের মেয়রদের ক্ষমতা জোরদার করে দায়িত্ব দেন।

পীর ফজলুর রহমান বলেন, এতদিন গাজীপুরের মূল উন্নয়ন কাজের দায়িত্ব ছিল সিটি করপোরেশনের। বিল পাস হওয়ার পর আর একটি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব নিয়ে আসা হচ্ছে। সিটি করপোরেশন যে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিচ্ছে সেই পরিকল্পনার সাথে এই কর্তৃপক্ষের অনেক ক্ষেত্রেই একটি সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরি হবে। সমন্বয়হীনতার কারণে প্রায়ই দেখি নগর উন্নয়নের নামে একই রাস্তা একটি বিভাগ খনন বা নির্মাণ করে যাচ্ছে এদের কাজ শেষ হওয়ার পরেই আর একটি বিভাগ এসে কাজ শুরু করছে। এভাবে সরকারের অর্থের অপচয় হচ্ছে।

শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যে কাজগুলো করবে সেই কাজগুলো এই কর্তৃপক্ষকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে বলা আছে প্রশাসনের প্রতিটি পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকবে এবং জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে। সেখানে সিটি করপোরেশন আছে, সেখানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আছে। এই আইনে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে আবার ভূমি বন্দোবস্তরও ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে দেখা যাবে এই কর্তৃপক্ষ একটি লিজিং কোম্পানি অথবা একটা ডেভেলপার কোম্পানির মতো হয়ে যাবে। জায়গা অধিগ্রহণ করবে আবার জনগণের কাছে জায়গাগুলো বিক্রি করবে।

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, প্রতিনিয়ত জণকল্যাণের জন্য সংসদে বিভিন্ন বিল পাস হচ্ছে। কর্মগুলো যারা বাস্তবায়ন করবে তারা কি নিরাপদ? কিছুদিন পূর্বে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রাজশাহীতে গণপূর্তের একজন ইঞ্জিনিয়ার তার দফতরে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত, হয়েছে রক্তাক্ত। নির্বাহী বিভাগের একজন অন্যতম কর্মকর্তা ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও এখনো আইসিইউতে আছে। সে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছে। এই কাজ বাস্তবায়নের পূর্বে তাদের নিরাপত্তা দরকার। গাজীপুর সিটি করপোরেশন রয়েছে আসলে দরকার সমন্বিত পরিকল্পনা। আলাদা আইন দরকার নাই।

রুমিন ফারহানা বলেন, সংবিধান স্থানীয় সরকারের হাতে প্রায় সকল ক্ষমতা দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এটাই গণতন্ত্রের চেতনা। কারণ গণতন্ত্র চায় সকল পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে জনগণের সেবা নিশ্চিত করা হোক। অথচ রাষ্ট্রে যা করা হচ্ছে সেটা সম্পূর্ণ উল্টা। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতা সংকুচিত করে আমলা নির্ভর প্রতিষ্ঠান সংখ্যায় এবং ক্ষমতায় বাড়ছে। সিটি করপোরেশনগুলো সঠিক সেবা দিতে পারে না তার কারণ সব দেবার ক্ষমতা দূরেই থাকুক সিটি করপোরেশনের হাতে ক্ষমতা একেবারেই নূন্যতম। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আদৌ কোনো প্রয়োজন নাই, প্রয়োজন নাই রাজউক বা অন্যান্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষেরও।

   

নির্বাচন কমিশন গঠনে পরিপূর্ণ আইনের প্রস্তাব



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশন গঠন করতে পরিপূর্ণ আইন করার প্রস্তাব দিয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জন্য সংবিধানে নির্দেশনা আছে। সেই নির্দেশনাকে ফলো করে একটা পরিপূর্ণ আইন করতে পারি কি না?'

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের চতুর্থদশ অধিবেশনে জাতীয় আর্কাইভ বিল পাসের আগে জনমত যাচাই বাছাইয়ের প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'আমি সরকারের কাছে প্রস্তাব করব। সংসদ নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আপনার আইনমন্ত্রী না আনতে চান, আমাকে নির্দেশ দেন আমি একটা রেডি করছি বেসরকারি বিল এটা উত্থাপন করব।'

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'এই সংসদের (অধিবেশনের) পর পরবর্তী অধিবেশন বসবে শীতকালীন অধিবেশন সম্ভবত। আমাদের নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে ফেব্রুয়ারি মাসে। তাই আপনার মাধ্যমে সংসদ নেত্রীকে বলব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে, অনেক আপত্তি আছে, অনেক আলোচনা হয়েছে।'

'তাই সংবিধানের নির্দেশনার আলোকে নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জন্য যে নির্দেশনা আছে, সেই নির্দেশনাকে ফলো করে একটা পরিপূর্ণ আইন করতে পারি কি না? আমি সরকারের কাছে প্রস্তাব করব সংসদ নেতা যদি আপনার আইনমন্ত্রী না আনতে চান, আমাকে নির্দেশ দেন। আমি একটা রেডি করছি বেসরকারি বিল।' যোগ করেন চুন্নু।

তিনি বলেন, 'এছাড়া আমার একটা বিল ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ নিয়ে। আমি চিঠি পেয়েছিলাম বেসরকারি দিবসে আসবে, আসে নাই। ভেবেছিলাম আজকে আসবে, আসনে নাই।'

এ সময় স্পিকার বলেন, আসবে। আগামী অধিবেশনে দেখব।

;

জিয়ার লাশ নিয়ে খালেদার প্রশ্ন করা উচিত: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের লাশ আছে কি না সেটি খালেদা জিয়ারই প্রশ্ন করা উচিত বলে মনে করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী কে এম খালিদ।

বিএনপির হারুনুর রশীদের বক্তব্যের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃতির কথা বলেন, এই সংসদ লুই আই কানের নকশা, সেই নকশায় কোন জায়গায় বলা আছে যে চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়ে আপনাদের নেতার লাশ দাফন করতে হবে। ওখানে তার লাশ আছে কি না সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কবর আছে কি না? বেগম জিয়া স্বামী ভেবে কাকে পুষ্প দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারই উচিত এই প্রশ্ন করা যে আমার স্বামী আদৌ এখানে আছে কি না?'

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থদশ অধিবেশনে জাতীয় আর্কাইভ বিল পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের আলোচনায় প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'এই বিল আনার পর আর্কাইভসে ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখি বঙ্গবন্ধু হত্যা করার পর জিয়াউর রহমান যতদিন ক্ষমতায় ছিলেন বাংলার বাণির কোনো কপি আর্কাইভসে নেই।'

তিনি বলেন, 'বাংলার বাণি ছিল আমাদের প্রতীক। আমাদের দলের প্রতীক, স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতীক। প্রতিবাদ করেছিল বলে তারা তাদের শাসনামলে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়েছে। বহু তথ্য উপাত্ত তারা সরিয়ে নিয়ে গেছে।'

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদকে উদ্দেশ্যে করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'ইতিহাস বিকৃতির কথা বলেন? এই সংসদে লুই আই কানের নকশা জিজাইনে কোন জায়গায় বলা আছে যে চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়ে আপনাদের নেতার লাশ দাফন করতে হবে? ওখানে তার লাশ আছে কি না সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কবর আছে কি না? বেগম জিয়া স্বামী ভেবে কাকে পুষ্প দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারই উচিত এই প্রশ্ন করা যে আমার স্বামী আদৌ এখানে আছে কি না? বিজ্ঞান ভিত্তিক তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে উনারই নির্ণয় করা উচিত।'

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার উদ্দেশ্যে করে নাম উল্লেখ না করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'জন্মের পর মুখে কিছু মধু দেয় আমাদের সমাজে এটিই প্রচলিত। কারো কারো মুখে সেই মধু মনে হয় তাদের পিতা মাতা দিতে ভুলে গিয়েছিলেন যে কারনে তারা মধু পান না। অন্তত একজন বক্তার ব্যাপারে আমি নিশ্চিত করে বলতেই পারি।'

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'ভালো সবকিছুই আমরা গ্রহণ করি। অসত্য মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে থেকে ইতিহাস সৃষ্টির কথা যারা বলেন। এই মাত্রা একজন সংসদ সদস্য বললেন যে সঠিক ইতিহাস লিখতে নাকি শত বছর লাগে। তাহলে মৃত্যুর ৪০ বছর পর যদি সঠিক ইতিহাস বেরিয়ে আসে সমস্যাটা কোথায়? মৃত্যুর পরে সঠিক ইতিহাস বেরি আসতে সমস্যাটা কোথায়? জিয়াউর রহমান সাহেবের লাশ আছে কি নাই এটা প্রমাণ করতে সমস্যাটা কি আপনাদের? এটি বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রমাণের ব্যবস্থা আছে। আপনারাই একটি কমিটি করেন সরকার সহযোগিতা করবে সত্য উৎঘাটন করার জন্য। এতে ভয়ের কি আছে? আসেন। আপনাদের দলনেত্রীকে বলেন যদিও তিনি সাজাপ্রাপ্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুকম্পা নিয়ে এখন সাজা স্থগিত করে বাড়িতে বসবাস করছেন। তারপরও আইনে যদি সুযোগ থাকে তারই নেতৃত্বে একটা কমিটি করেন, অসুবিধা কোথায়? আমরা তো চাই সঠিক ইতিহাস লেখবার জন্য।'

;

শপথ নিলেন হাবিব হাসান



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন মোহাম্মদ হাবিব হাসান। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে সংসদের শপথ কক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

একাদশ জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান প্রথম বারেরমতো সংসদ সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ও হুইপ ইকবালুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।

শপথ গ্রহণ শেষে মোহাম্মদ হাবিব হাসান রীতি অনুযায়ী শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

উল্লেখ্য, ৯ জুলাই ২০২০ তারিখে ১৯১ ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন-এর মৃত্যুজনিত কারণে ১২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

;

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া উচিত: সংসদে জিএম কাদের



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে অটো পাস দেওয়ার সমালোচনা করেছেন সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, অফিস-আদালত, মিল-কারখানা, দোকানপাট, যানবাহন, হাটবাজার কোনো কিছুই বন্ধ রাখা হচ্ছে না। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা দেখি না। আমি মনে করি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া উচিত।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে বিরোধী দলীয় উপ নেতা এ কথা বলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে জিএম কাদের বলেন, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবে গত মার্চ থেকে অদ্যবদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ এবং অটো পাস সিস্টেম চালু করা হয়েছে। কিন্তু আমরা যখন দেখছি যে অফিস, আদালত, মিল-কারখানা, দোকানপাট, যানবাহন, হাটবাজার কোন কিছুই বন্ধ রাখা হচ্ছে না। যানবাহনে সবখানে আমরা এক সাথেই ঘোরাফেরা করছি। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা দেখি না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, শিক্ষার মতো মৌলিক গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার নামে ব্যহত করা হচ্ছে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। এটা কখনই মঙ্গলজনক নয়। পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখে সবাইকে অটো পাস দেওয়া এতে মেধাবী ছাত্রদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। কাজেই বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত যে যারা অনুপস্থিত থাকতে চান তাদের সেই সুযোগ দেওয়া উচিত।

তিনি আরো বলেন, যারা অটো পাস চান তাদের অটো পাসের সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু যারা ক্লাস করতে চান তাদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া উচিত এবং যারা পরীক্ষা দিতে চান তাদের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া উচিত। এটাকে ম্যানেজ করা খুব কঠিন ব্যাপার নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটু চেষ্টা করলে করতে পারে। আমি মনে করি এতো সহজভাবে সবকিছু ছেড়ে দেওয়া উচিত হবে না। কারণ আমাদের দায় দায়িত্ব আছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে।

;