রাজনীতির হাওয়া যে কোনো সময় বদলে যেতে পারে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনীতির হাওয়া যে কোনো সময় বদলে যেতে পারে বলে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি বলবো দেখুন কখন যে রাজনীতির হাওয়া বদলে যায়। রাজনীতির হাওয়া কিন্তু ডেকে শুনে আসে না। আবহাওয়ার যেমন নিশ্চয়তা নাই সকালে রোদ বিকেলে বৃষ্টি। রাজনীতির হাওয়া কিন্তু যে কোনো সময় বদলে যেতে পারে। সেই দিনের কথা চিন্তা করুন। আজকে আপনারা যে জঘন্য কাজগুলো করছেন এর কিন্তু প্রতিশোধ জনগণ একদিন ঠিকই নেবে।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত সিলেটে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ এবং খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, সরকার তার অনাচারগুলো ঢাকার জন্য আর তাদের এই হালুয়া-রুটির সামান্য কিছু ভাগ পাওয়ার জন্য কিছু সাংস্কৃতিক পরজীবীরা একটি নাটক করেছে স্বাধীনতার ঘোষক এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। বিকৃতি রুচি সম্পন্ন একটি নাটক গতকাল আরটিভিতে প্রচারিত হয়েছে আমরা এটার প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা বলেছি ইতিহাসকে বিকৃত করে সাংস্কৃতিক ব্যক্তির নামে কয়েকজন পরজীবীরা এই জঘন্য নোংরা কাজ করছে। শেখ হাসিনা আপনাকে বারবার বলেছি আপনার পদলেহনকারী ওইসব সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের ইতিহাস আর হাইকোর্টকে ধমক দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি এটা টিকবে না। আজকে আমি ছাত্র ভাইদেরকে সাক্ষী রেখে বলছি যারা এই সমস্ত জঘন্য বিকৃত ইতিহাস সৃষ্টি করছে তাদেরকে আমরা ব্ল্যাকলিস্ট করছি।

সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, নিজেদের মনের মতো করে সাজানো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে কতদিন নিজেদেরকে নিরাপদ রাখবেন আমাদের সাথে জনগণ আছে আমাদের সাথে রিকশাওয়ালা আছে আমাদের সাথে শ্রমিক আছে আমাদের সাথে ছাত্র আছে আমাদের সাথে শিক্ষক আছে। এদের শক্তিতেই আমরা চলি। এই ইনডিমিনিটি নামের যে নাটকটি রচনা করা হয়েছে এটা একটি মিথ্যাচারের নাটক আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কেন কারাগারে নেওয়া হয়েছে। কেন সাজা দেওয়া হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে কেন সাজা দেওয়া হয়েছে। কারণ শেখ হাসিনা এমন একটি রাজত্ব কায়েম করতে চান যেখানে তার দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যখন মন চাইবে নারীদের সম্ভ্রম হরণ করবে। এই কারণে খালেদা জিয়াকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তারেক রহমানকে নির্যাতন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা টাকা পাচার করবে ছাত্রলীগ নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের দায়ে দোষী কেউ যাতে শব্দ করতে না পারে এই কারণে খালেদা জিয়াকে বন্দি, তারেক রহমানকে নির্যাতন। তোরা যে যা বলিস ভাই আমি আমার সোনার হরিণ চাই।

ছাত্রলীগের অতীত ইতিহাস উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ১৯৭৩ সালে শহীদ মিনারে প্রথম ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করেছে এই ছাত্রলীগ। এর পরে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতার ইতিহাস সাবই জানে। এগুলো তথ্যমন্ত্রীর মত মনগড়া কথা নয় এগুলো ইতিহাস। ওরা (ছাত্রলীগ) মনে করে যার বাড়িতে সুন্দরী মেয়ে আছে সেইটা ছাত্রলীগের সম্পত্তি যখন ইচ্ছা তখন বের করে নিবে।

ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান মিন্টু, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনুকুএ ইসলাম শ্রাবন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম লিঙ্কন, হাফিজুর রহমান হাফিজ, মামুন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

   

ঘূর্ণিঝড় রিমালে মানুষের পাশে থাকবে ছাত্রলীগ

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঘূর্ণিঝড় রিমালে মানুষের পাশে থাকবে ছাত্রলীগ

ঘূর্ণিঝড় রিমালে মানুষের পাশে থাকবে ছাত্রলীগ

  • Font increase
  • Font Decrease

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'রিমালে' আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছে ছাত্রলীগ।

রোববার (২৬ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অতীতে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়কালীন সময়ে, শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে, অগ্নিকাণ্ড বা ভবন ধসে উদ্ধারকাজ চালিয়ে, মহামারি করোনাকালীন সময়ে অসহায়-অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, কৃষকের ধান কেটে নিরাপদে ঘরে পৌঁছে দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সমাজ ও মানুষের প্রতি তার কর্তব্য নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছে।

সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল'-এ রূপ নিয়েছে, যা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বা সুপার সাইক্লোনে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান করছে। ২৬ শে মে গভীর রাতে কিংবা ২৭ শে মে ভোরের মধ্যে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ উপকূলবর্তী এলাকায় তীব্রভাবে আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আঘাত হানার সময় এর কেন্দ্রের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার হতে পারে। এছাড়াও এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সারা দেশব্যাপী অতি ভারী বৃষ্টি, প্রবল দুর্যোগ, বজ্রবৃষ্টি এবং সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ উপকূলীয় অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে। প্রবল বৃষ্টির ফলে ভূমিধস হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে, সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে, মাইকিং করে, শুকনো ও রান্না করা খাবার, খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করে, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধারকাজ পরিচালনা করে, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ঘরবাড়ি স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সংস্কার করে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদান করে পাশে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়।

বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অগ্রদূত, পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ বৈশ্বিক পুরস্কার 'চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ' এ ভূষিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বৈশ্বিক রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্যোগে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাণহানি কমিয়ে আনা, আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, দুর্যোগে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, বজ্রপাত নিরোধক কর্মসূচি, গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ, সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের ওপর গুরুত্বারোপ করে 'বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০' প্রণয়ন ইত্যাদি কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে দুর্যোগ সহনশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলেছে।

যার ফলে জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় 'জনসেবা পদক' লাভ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্র গঠন আন্দোলন থেকে শুরু করে শিক্ষার অধিকার এবং দেশমাতৃকার প্রতিটি প্রয়োজনে ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে গৌরবান্বিত ইতিহাস মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগের মাধ্যমে তা আরও মহিমান্বিত হবে, এটিই আমাদের সংকল্প।

;

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (২৬ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির তিন দশক পূর্তি অনুষ্ঠানে বিএনপির পক্ষ থেকে কেক কাটা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন ।

শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের জন্য সুখকর বিষয় নয়। সাংবাদিকদের জন্য এই আইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এমন একটি আইন, যে আইন থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, দেশে যখন মানুষের ভোটাধিকার থাকে না, মানুষের কথা বলার অধিকার থাকে না, এমন সময়ে সাংবাদিকদের ভয়ের মধ্যে কাজ করতে হয়। আর বর্তমানে দেশে সে অবস্থা বিরাজমান।

তিনি আরও বলেন, সরকার এবং সংবাদপত্রের মালিকদের চাপে স্বাধীন সাংবাদিকতা এখন আর বাংলাদেশে নাই। কালো টাকার মালিকরা এখন বেশিরভাগ গণমাধ্যমের মালিক।

তিনি বলেন, যারা মুক্তচিন্তার মানুষ, তারা তাদের মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে কারাবন্দি হয়েছেন। এমন একটি আইন দেশে বিদ্যমান। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদপত্রের পথচলা দুঃসাধ্যের বিষয়।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, রফিকুল ইসলাম আজাদ, ডিইউজের সহসভাপতি রাশেদুল হক, রফিক মোহাম্মদ, ডিআরইউ বহুমুখী সমিতির সভাপতি আবুল হোসেনসহ সংগঠনের সাবেক নেতা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

;

সরকার গণতন্ত্র হরণ করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে: দুদু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সরকার জনগণের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র হরণ করেছে। সব কিছু লুটপাট করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে।

রোববার (২৬ মে) রাজধানীর হোটেল লেকশোর লা ভিটা হলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জীবনভিত্তিক গ্রন্থের লেখক মাহফুজ উল্লাহ'র রচিত 'Khaleda Zia: Her life her story (ভাষান্তর- 'বেগম খালেদা জিয়া: জীবন ও সংগ্রাম'- শাহরিয়ার সুলতান) বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সামরিক শাসন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রধান নয়, একক নেত্রী বেগম জিয়া। আর তার পাশে যে দাবিদার আছে, তিনি আন্দোলন করেছেন আসলে ক্ষমতাকে ভোগ করার উদ্দেশে। ৯০ এর গণ-অভ্যুত্থান শুরু হয় বেগম জিয়ার ভাবনা, নেতৃত্ব ও বিশ্বাস থেকে। বর্তমান সরকার যেভাবে জনগণের স্বাধীনতা হরণ করেছেন তরুণরা তা বেশিদিন টিকতে দিবে না। তারা ফ্যাসিবাদের সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবেসে জাতির চরম দুঃসময়ে জনগণের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে তার বাস্তবায়ন করেছেন বেগম জিয়া।

উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে প্রবল আস্থা নিয়ে জনগণ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন বেগম জিয়াকে আর তিনি সফলতার সাথে দেশ পরিচালনা করেছেন। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয়ী হয়েছেন। বেগম জিয়া যতগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন সবগুলো নির্বাচনে তিনি জিতেছেন। যেখানে আন্দোলন সংগ্রাম ছিল সচেতন মানুষ ছিল সেখানেই বিএনপি জিতেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, জিয়াউর রহমানের অস্তিত্ব বিনাশ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে সরকার। কিন্তু সাধারণ মানুষ জিয়াউর রহমানসহ খালেদা জিয়ার অস্তিত্ব বহন করে চলে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতিহাস এই নির্মমতার সাক্ষী হয়ে থাকবে। অসুস্থ মানুষটির চিকিৎসার জন্য সরকার যে নির্মম ব্যবহার করছে তার বিচার হবে।

অধ্যাপক ডক্টর মাহবুবুল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলসহ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

;

পেশাজীবী সংগঠনগুলো পেশার চেয়ে দলীয় পরিচয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পেশাজীবী সংগঠনগুলো পেশার চেয়ে দলীয় পরিচয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে: জিএম কাদের

পেশাজীবী সংগঠনগুলো পেশার চেয়ে দলীয় পরিচয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে: জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

পেশাজীবী সংগঠনগুলো পেশার চেয়ে দলীয় পরিচয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে। পেশাকে গুরুত্ব দিলেই ঐক্য ধরে রাখা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

রোববার (২৬ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনটির ৩০ বছরে পদার্পণ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে দেয়া বক্তৃতায় এমন মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নামেই বিশেষত্ব আছে। ইউনিটি মানে, ঐক্য বা একাতাদ্ধ হওয়া। প্রফেশনাল বডিগুলো যদি তাদের ঐক্য ধরে রাখতে পারে, তাহলে তারা শক্তিশালী হয়ে এগিয়ে যেতে পারে। আমাদের দেশের বেশির ভাগ পেশাজীবী সংগঠন তাদের ঐক্য ধরে রাখতে পারে না।

তিনি বলেন, শক্তিশালী হতে চাইলে আপনি সাংবাদিক, এটাই হচ্ছে বড় পরিচয়। আপনি হিন্দু কি মুসলমান, সাদা কি কালো বা নারী কি পুরুষ এই পরিচয় পরের কথা। খুব বেশি শক্তিশালী, হলে সেই শক্তিকে শুভশক্তি হিসেবে জনকল্যাণে কাজে লাগাতে পারবেন। শক্তিকে সঠিক পথে ব্যবহার করতে হবে।

ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ’র সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি।

;