এক টেবিলে আওয়ামী লীগ-বিএনপি!



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এক টেবিলে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-ছবি: সুমন শেখ।

এক টেবিলে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-ছবি: সুমন শেখ।

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের রাজনৈতিক জগতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের একই টেবিলে হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠার দৃশ্য মেলা ভার। ব্যক্তিগত জীবনে তাও হয়তো দেখা মেলে কিন্তু পেশাগত জীবনে এমনটা দেখা পাওয়া সত্যি কঠিন।

আর সেই দৃশ্যেরই দেখা মিলল ১৭ সেপ্টেম্বর সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সেলিব্রেটি হলে শান্তিতে বিজয় ক্যাম্পেইনের শপথ অনুষ্ঠানে। দেশের প্রায় ৪০টি জেলা থেকে চারশ রাজনৈতিক নেতাকর্মী অংশ নেন এই শপথ অনুষ্ঠানে।

এ সময় হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীরা। দুই দলের নেতাকর্মীরা একে অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করেন। এক টেবিলে বসে মজার কোন ঘটনা বলাবলি করে একই সঙ্গে হেসে উঠেন।

একটি টেবিলে দেখা গেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাভোকেট ইসমত আরা সুলতানা ও একই জেলার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হককে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/17/1537173595707.jpg

ইসমত আরা সুলতানা জহিরুল হককে দেখিয়ে বলেন, উনিতো আমার বড় ভাই। আমাদের এলাকায় অনেক অনুষ্ঠানেও দেখা হয়। তবে রাজনীতির মাঠে কিন্তু আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী।  জহিরুল হক বলেন, যাই হোক আমরাতো সবাই ভাই ভাই।

অনুষ্ঠানে শুরুতেই সকালে পাশাপাশি চেয়ারে বসে চা পান করেন দুই দলের নেতা কর্মীরা। দুপুরের মধাহ্নভোজেও এক টেবিলে বসেন দুই দলের নেতা কর্মীরা।

‘শান্তিতে বিজয়’ অনুষ্ঠান কিছুক্ষণ সময়ের জন্য হলেও যেন এই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদের একই টেবিলে বসান। তৈরি হয় হাস্যোজ্জ্বল পরিবেশের।

শপথ বাক্য পাঠ করার আগে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মইন খান, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালিসন ব্লেক বক্তব্য দেন। এ সময় তারাও সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানান সকলকে।

আওয়ামী লীগ, বিএনপি’র নেতাকর্মীরা নির্বাচনে সহিংসতার বিপক্ষে সহমত পোষণ করেন। পাশাপাশি তারা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হোন।

   

ঈদুল আজহা সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর: মির্জা ফখরুল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ঈদুল আজহা সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর: মির্জা ফখরুল

ঈদুল আজহা সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর: মির্জা ফখরুল

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহা সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর। কারণ যারা পশু কোরবানি করেন তারা বড় ধরনের মূল্যস্ফীতিতে আক্রান্ত ও প্রভাবিত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের নামাজ শেষে ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাসভবনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের একথা বলে তিনি।

দলটির এই নেতা বলেন, কোরবানি ঈদে যারা মাংস সংগ্রহ করে রান্না করে খায়। তাদেরও কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বর্তমানে বাজারে মসলারও যে দাম তাতে সেসব তাদের পক্ষে সংগ্রহ বা ক্রয় করা খুব জটিল। দ্রব্যমূল্য যেভাবে বেড়েছে তাতে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এতে ঈদুল আজহার যে আনন্দ সেই আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ থাকছে না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে বলেন, আপনারা শুধু ওবায়দুল কাদেরের কথা বলেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে পছন্দ করি না। কারণ উনার কথার জবাব দিতে আমার রুচিতে বাধে।

ফখরুল আরও বলেন, যারা রাজনীতিতে আছেন ও ক্ষমতায় আছেন। তারা যদি সত্যকে উপলব্ধি করতে না পারেন। তারা যদি দেশের সমস্যা গুলো বুঝতে না পারেন। তারা যদি গণমানুষের আকাঙ্খা বুঝতে না পারেন। তাহলে তারা কীভাবে দেশ শাসন করবেন। সেটি আমরা দেড় যুগ ধরে দেখছি। এই দখলদারি সরকার জনগণের সব আকাঙ্খা গুলোকে পদধূলিত করে দিয়েছে। ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিতক অধিকার পদধূলিত করে তারা আজকে জোর করে শাসন চাপিয়ে দিয়েছে। এ জন্য জনগণ তাদের পছন্দ করে না। জনগণ তাদের ঘৃণা করতে শুরু করেছে। তারা শুধু মিথ্যা কথা বলে জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসেছেন। এই জন্য আমি তাদের খুব বেশি গুরুত্ব দেই না।

তবে তিনি মিয়ানমার ও সেন্টমার্টিন ইস্যু তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে আরও বলেন, তারা যাই বলুক না কেন সেন্টমার্টিনে গোলাগুলি হচ্ছে। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন সমস্ত জাহাজ বন্ধ হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে যেতে পারছে না। এটাই সত্য তারা এই সত্যকে অস্বীকার করবে কীভাবে? কেন তাদের বিজিবি সেখানে যাচ্ছে বারবার। কেন সেনাবাহিনীর প্রধান বারবার বলছেন আমরা সর্তক আছি। বাস্তবে মিয়ানমারের ঘটনাবলি সমস্যা তৈরি করেছে। সেই সমস্যাতে সেন্টমার্টিনে জাহাজ যেতে পারছে না। সেখানকার অধিবাসীরা কষ্টে দিন পার করছেন এবং নিরাপত্তার অভাববোধ করছে। সেগুলো তারা স্বীকার না করে ভিত্তিহীন বানোয়াট কথা বলছেন।

এর আগে প্রথমে তিনি দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল-আজহার শুভেচ্ছা জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন সহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর ।

;

আওয়ামী লীগ চাপাবাজি করে চলছে: মির্জা আব্বাস



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ চাপাবাজি করে চলছে। মিথ্যা কথা হচ্ছে তাদের পুঁজি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আজহার নামাজ শেষে চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রভুত্ব আজকে অন্যের হাতে বিকিয়ে দিয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। বাংলাদেশের জনগণের কষ্ট অবৈধ ও অনৈতিক সরকারের জন্য। নির্বাচিত সরকার থাকলে মানুষের এতো কষ্ট হতো না।

তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ আজ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, খাদ্য সরবরাহ করা যাচ্ছে না। কার ভয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ভয়ে। কিন্তু ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের সামনে নতজানু হয়ে মাফ চেয়ে বিদায় নিয়েছে। সেই মিয়ানমার এখন রক্তচক্ষু দেখায়, কতটুকু উদ্ধত হয়ে গেছে। অনির্বাচিত সরকারের কারণে, দেশের ভেতরে এবং বাইরে কারোই সমর্থন নেই। অবৈধ সরকারের জন্য দেশের আজকের এই অবস্থা। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৩টি সশস্ত্র শিপ বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে অবস্থান করছে। এটা যদি বিএনপির অপপ্রচার বলে! তারা চাপাবাজি করেই চলে। তারা বলে বাংলাদেশে কোনো অভাব নেই।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ অক্টোপাসের মতো বন্দী আছে, অর্থ কি সামাজিক, কি ভোগলিক অর্থনৈতিক, সবদিক থেকে বন্দী হয়ে আছে। এদেশের মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। না খেয়ে মারা যাবে তবু কথা বলার অধিকার, সমস্ত ভয়ভীতিকে কোরবানি দিয়ে এই সরকারকে মোকাবিলা করার তৌফিক দিক।


তিনি আরও বলেন, বিএনপির বহু নেতাকর্মী জেলে অবস্থান করছে, বহু নেতাকর্মীর ফুটপাতে থাকে, যারা পুলিশের ভয়ে ফুটপাতে থাকে। তাদের সমবেদনা জানাচ্ছি যদিও সমবেদনা জানানো ছাড়া কিছু করার নেই। ঈদ শব্দের অর্থ খুশী, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মনে খুশী নেই। অনেক কষ্টে তারা কোরবানি দিচ্ছে। অনেক ব্যাপারি গরু বিক্রি করতে পারেনি।

বিএনপির ওই কর্মসূচি ঘিরে সকাল ১০টার দিক থেকেই পুলিশের কড়াকড়ি লক্ষ্যণীয়, ক্রিসেন্ট লেকের দিক থেকে প্রবেশ করতে গেলে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মূখে পড়তে হয়। পরিচয় দিয়ে তবেই প্রবেশের অনুমতি মেলে। সকাল সাড়ে ১০ টায় ২ জন কর্মীসহ উপস্থিত হন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এর কয়েক মিনিট পর পেছনের গেট দিয়ে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রেজাসহ কয়েকজন। তারপর আসেন গয়েশ্বর চন্দ রায় ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামের নেতৃত্বে জনা সাতেক কর্মী।

বেলা ১১টায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বে একটি খণ্ড মিছিল পেছনের গেট (উত্তর) দিয়ে প্রবেশ করে। এরপর উপস্থিত হন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারুক। বেলা সোয়া ১১টায় জনা পঞ্চাশেক নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত হন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল। অন্যদের মধ্যে সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ নেসারুল হকসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।

;

কুমিল্লায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার আঙ্গুল কেটে দিল দুর্বৃত্তরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকারের বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১৭ জুন) বেলা ৩টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের বাগুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাটি জানাজানি হয় সন্ধ্যার পর।

লিটন সরকার কাটা আঙ্গুলসহ ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন লিটন সরকারের ছোট ভাই সারোয়ার সরকার।

তিনি জানান, স্থানীয় বাগুর বাজারে সবজি কেনার সময় পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে একদল সন্ত্রাসী। হামলাকারী বেশ কয়েকজন। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।

দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নয়ন মিয়া বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং হামলাকারী শনাক্ত করেছি। আমরা তাদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছি।

;

মাদক কারবারের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার শিবগঞ্জে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জরিপ ফকির নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। বহিস্কৃত জরিপ ফকির পিরব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ।

রোববার (১৬ জুন) শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শাহাব উদ্দিন শিবলী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয় জরিপ ফকিরের বিরুদ্ধে মাদক কারবারী ও দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুষ্পষ্ট অভিযোগ থাকায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

জরিপ ফকিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তার পক্ষে কাজ না করে অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি কখনও মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না।

;