আওয়ামী লীগ চাপাবাজি করে চলছে: মির্জা আব্বাস



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ চাপাবাজি করে চলছে। মিথ্যা কথা হচ্ছে তাদের পুঁজি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আজহার নামাজ শেষে চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রভুত্ব আজকে অন্যের হাতে বিকিয়ে দিয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। বাংলাদেশের জনগণের কষ্ট অবৈধ ও অনৈতিক সরকারের জন্য। নির্বাচিত সরকার থাকলে মানুষের এতো কষ্ট হতো না।

তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ আজ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, খাদ্য সরবরাহ করা যাচ্ছে না। কার ভয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ভয়ে। কিন্তু ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের সামনে নতজানু হয়ে মাফ চেয়ে বিদায় নিয়েছে। সেই মিয়ানমার এখন রক্তচক্ষু দেখায়, কতটুকু উদ্ধত হয়ে গেছে। অনির্বাচিত সরকারের কারণে, দেশের ভেতরে এবং বাইরে কারোই সমর্থন নেই। অবৈধ সরকারের জন্য দেশের আজকের এই অবস্থা। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৩টি সশস্ত্র শিপ বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে অবস্থান করছে। এটা যদি বিএনপির অপপ্রচার বলে! তারা চাপাবাজি করেই চলে। তারা বলে বাংলাদেশে কোনো অভাব নেই।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ অক্টোপাসের মতো বন্দী আছে, অর্থ কি সামাজিক, কি ভোগলিক অর্থনৈতিক, সবদিক থেকে বন্দী হয়ে আছে। এদেশের মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। না খেয়ে মারা যাবে তবু কথা বলার অধিকার, সমস্ত ভয়ভীতিকে কোরবানি দিয়ে এই সরকারকে মোকাবিলা করার তৌফিক দিক।


তিনি আরও বলেন, বিএনপির বহু নেতাকর্মী জেলে অবস্থান করছে, বহু নেতাকর্মীর ফুটপাতে থাকে, যারা পুলিশের ভয়ে ফুটপাতে থাকে। তাদের সমবেদনা জানাচ্ছি যদিও সমবেদনা জানানো ছাড়া কিছু করার নেই। ঈদ শব্দের অর্থ খুশী, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মনে খুশী নেই। অনেক কষ্টে তারা কোরবানি দিচ্ছে। অনেক ব্যাপারি গরু বিক্রি করতে পারেনি।

বিএনপির ওই কর্মসূচি ঘিরে সকাল ১০টার দিক থেকেই পুলিশের কড়াকড়ি লক্ষ্যণীয়, ক্রিসেন্ট লেকের দিক থেকে প্রবেশ করতে গেলে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মূখে পড়তে হয়। পরিচয় দিয়ে তবেই প্রবেশের অনুমতি মেলে। সকাল সাড়ে ১০ টায় ২ জন কর্মীসহ উপস্থিত হন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এর কয়েক মিনিট পর পেছনের গেট দিয়ে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রেজাসহ কয়েকজন। তারপর আসেন গয়েশ্বর চন্দ রায় ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামের নেতৃত্বে জনা সাতেক কর্মী।

বেলা ১১টায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বে একটি খণ্ড মিছিল পেছনের গেট (উত্তর) দিয়ে প্রবেশ করে। এরপর উপস্থিত হন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারুক। বেলা সোয়া ১১টায় জনা পঞ্চাশেক নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত হন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল। অন্যদের মধ্যে সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ নেসারুল হকসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।

   

‘বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের ট্রেন যাওয়াকে ট্রানজিট না করিডোর বলে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ভারতের ট্রেন বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত যাবে। এটাকে কী ট্রানজিট বলে ? এটাকে বলে করিডোর। যে ট্রেন করিডোর দেওয়া হয়েছে সেখানে যদি অস্ত্র যায়? সেনাবাহিনী যায়? আপনি তল্লাশী করতে পারবেন? বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত এখন সেভেন সিস্টার্সের রাস্তা করতে চায়।

বুধবার (২৬ জুন ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত 'আজিজ-বেনজির-মতিউরদের অবিশ্বাস্য দুর্নীতি, মরিচের দাম বিস্ময়করভাবে বৃদ্ধি ও প্রধানমন্ত্রীর দাসখত দেওয়ার ভারত সফর' এর প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেছেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এবারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সরকার ভারতের কাছে সমস্তকিছু সমর্পন করে এসেছেন। ৭ জানুয়ারি ভোট করতে পারতো? ২০১৪ সালে ভোট করতে পারতো? পারতো না। ভারত নাক গলিয়েছে তাই পেরেছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক কিন্তু এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কী বাধ্যবাধকতা ছিল যে তাকে ১৫ দিনের মধ্যে আবার ভারত যেতে হলো ? কিছু পাওয়ার জন্যে ? তিনি বলেছেন যা পেয়েছি তা বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের প্রধান দাবি কি ছিল, যে ভারত আমাদের পানি দেয় না। ৫৪টা নদী আছে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকেছে। যখন কোন নদীর পানি আরেকটা দেশে ঢুকবে তখন তা অবারিত থাকবে, কেউ বাধা দিতে পারবে না। ভারত গঙ্গায় বাধা দিয়েছে যেদিক দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে, তিস্তায় বাঁধ দিয়েছে যেখান দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে। তারপরই পানি আটকে গেল। তিস্তার পানি আমার প্রাপ্য এটা আমাকে দিতে হবে, এই কথা কী আপনারা বলেছেন ? বড় বড় যে কথা বলেন। এগুলো নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে? আমাদের প্রধানমন্ত্রী তিস্তার পানির দাবি ছেড়ে দিয়ে এসেছেন।

মান্না বলেন, মতিউর যেদিন গেল সেদিনের আগে পর্যন্ত তার নামে কোন মামলা, নিষেধাজ্ঞা নেই। যাওয়ার পরে বিদেশ যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা দিল। সবগুলো আওয়ামী লীগ করে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই তো চুরি করে, ডাকাতি করে প্রধানমন্ত্রী। চোর, ডাকাত ছাড়া তো প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারে না। আবার বলে, এতো লোভ মানুষের। আপনার আশপাশে যারা থাকে তাদের লোভ নাই?

বাংলাদেশ এখন বিশ্বে একটা লুটপাটকারীদের দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ভোট ছাড়া এমপি আনার মানুষ খুন করেছিল তাও তাকে আওয়ামী লীগ নমিনেশন দিয়েছিল। ইন্টারপোল তাকে লাল তালিকাভুক্ত করেছিল। আওয়ামী লীগ এখন ধর্ষণ, লুট করে যারা তাদের দল। আওয়ামী লীগ একসময় স্বাধীনতার লড়াই করেছিল, তাও ভালোমতো করে নাই। তাদের নেতারা কলকাতার বড় বড় হোটেলে গিয়ে লুকিয়ে ছিল।

তিনি বলেন, একজন গরিব কৃষক ৩০ হাজার টাকা লোন নিয়ে পরিশোধ করতে না পারলে তাকে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ, আর্মি প্রধানরা হাজার কোটি টাকা লুট করে কেউ দেখলো না? আজিজ, বেনজিরের পাসপোর্ট আটকে রাখা হলো না কেন? সরকার এদের রক্ষা করছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, মরিচের দাম ইদের আগে ৪শ' হয়েছিল। শেখ হাসিনার আমলে মরিচ, পেয়াজের এতোই ঝাল অথচ প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন দেশের মানুষ কিছু পায়। আজিজ, বেনজিররা পায়। যারা রিকশা, ভ্যান চালায় তারা কিছু পায় না। জিনিসের দাম এতোই বেশি যে পকেটভর্তি টাকা নিয়ে গেলেও বাজারের ব্যাগ ভরে না।

এসময় মানববন্ধনে নাগরিক ঐক্যের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২৯ জুন বিএনপির সমাবেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নয়াপল্টনে সমাবেশ/ছবি: সংগৃহীত

নয়াপল্টনে সমাবেশ/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২৯ জুন নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে দলটি।

বুধবার (২৬ জুন) নয়াপল্টনে যৌথসভা করে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

একই দাবিতে ১ জুলাই সব মহানগর ও ৩ জুলাই জেলা শহরে সমাবেশ করবে বিএনপি।

এসব কর্মসূচিতে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষের প্রতিও সমাবেশে যোগ দিতে আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

;

‘খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, যেকোনো সময় জীবনহানি হতে পারে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যেকোনো সময় বেগম খালেদা জিয়ার জীবনহানি হতে পারে।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে কর্মসূচি ঠিক করতে নয়াপল্টনে যৌথসভা করে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন।

দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রের জন্য কখনো আপস করেননি বিএনপি চেয়ারপারসন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের চক্রান্তের অংশ হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায় দেওয়ার পরও উচ্চ আদালতের মাধ্যমে সাজা বাড়িয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্য তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া।

খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বেগবান করার কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বেগবান করা হবে। জনগণ এ আন্দোলনে এক হবে। আমরা এ আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই।

;

কী থাকছে বিএনপির বুধবারের কর্মসূচিতে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বিএনপির লোগো

ছবি: বিএনপির লোগো

  • Font increase
  • Font Decrease

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আইনী লড়াইয়ে পরাজিত বিএনপি রাজপথ বেছে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি দিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (২৬ জুন) নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। এ উপলক্ষে বুধবার বেলা ১২টায় রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা ডাকা হয়েছে। ২৫ জুন সাংবাদিক সম্মেলনে রাজপথ বেছে নেওয়ার ঘোষণা দিলেও কর্মসূচির বিষয়ে মুখ খোলেন নি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কী থাকছে বিএনপির কর্মসূচিতে জানতে জনগণের আগ্রহের কমতি নেই।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বার্তা২৪.কমকে জানান, জনসাধারণের কষ্ট হয় এমন কর্মসূচি দেবে না বিএনপি। কারণ আমাদের চেয়ে যারা খালেদা জিয়ার কষ্টে বেশি যন্ত্রণায় রয়েছে তাদের দুর্ভোগ বাড়াতে চাই না। আমাদের মূল বিবেচ্য হবে জনগণের যাতে দুর্ভোগ না হয়। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মতো কর্মসূচি থাকতে পারে।

বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির বড় কর্মসূচি দিলে সমাবেশ দিতে পারে। আর ছোট কর্মসূচির মধ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিকী অনশন থাকতে পারে। ঢাকার বাইরে জেলা পর‌্যায়েও কর্মসূচি থাকতে পারে। অতীতে দোয়ার কর্মসূচি পালন করার নজীর রয়েছে।

ওই নেতারা বলেছেন, বড় ধরণের কর্মসূচি সফল করার মতো অবস্থানে নেই বিএনপি। কারণে মহানগর বিএনপির কমিটি নেই, যুবদলের কমিটি নেই। কাদের মাধ্যমে কর্মসূচি সফল করবে। বিএনপির বিষয়টি ভালো করেই জানে।

বিএনপির অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবীর পাশাপাশি সময় সাময়িক ইস্যুতে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর, ট্রানজিট ইস্যু, সীমান্ত হত্যা, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির বিষয়টি থাকতে পারে। আর সরকারের পদত্যাগের এক দফা আবশ্যিকভাবে যুক্ত থাকতে পারে।

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রাজপথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনার করার দায়িত্ব দেওয়া হয় মহাসচিবকে। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটি হবে বিএনপির চতুর্থ দফা রাজপথ কর্মসূচি।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসকেরা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করেছেন। দলের পক্ষ থেকে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছে। এমন কী পরিবারের পক্ষ থেকে দুই বার তার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে তাকে হত্যার উদ্দেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছে। অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ আদালতে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পর ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। পরের বছর ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট এই মামলায় তার আপিল খারিজ করে দেওয়ার পর তার শাস্তি বাড়িয়ে ১০ বছর করে দেয়। এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকার আরেকটি বিশেষ আদালত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে। তখন তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী কারাদণ্ড স্থগিত করে বিএনপি প্রধানকে মুক্তি দেয়।

মানবিক কারণে সরকার প্রধানের নির্বাহী আদেশে তিনি বাইরে আছেন। সেই একই কারণে বিদেশের পাঠানো কোনো সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'যা-ই করতে হবে আইনের মাধ্যমে করতে হবে। যে আইনে তাকে বের করা হয়েছে, তাতে (বিদেশে যাওয়ার) সুযোগ নেই।'

২০০৯ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার দেড় বছর পর ২০১০ সালের ২৭ জুন প্রথম হরতাল ডাকে বিএনপি। এরপর খালেদা জিয়ার মামলা প্রত্যাহার, তারেক জিয়ার মামলা প্রত্যাহার ও খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে একাধিক দফায় হরতাল পালন করে বিএনপি। অন্যদিকে ২০১৫ সালে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপি। জ্বালাও পোড়াওয়ের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে সেই কর্মসূচি। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ওই অবরোধ প্রত্যাহার করেনি বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি। ওই কর্মসূচি নিয়ে অনেক হাস্যরস ও ট্রল করা হয় এখনও।

;