বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই ‘ট্রেন-বাস-লঞ্চে’ আ.লীগের নির্বাচনী প্রচারণা!



তপন কান্তি রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজশাহীতে নদী পথে নৌকায় করে নির্বাচনী প্রচারণায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবুর রহমান।

রাজশাহীতে নদী পথে নৌকায় করে নির্বাচনী প্রচারণায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবুর রহমান।

  • Font increase
  • Font Decrease

শোষণ নি‌র্যাতন থেকে দেশকে মুক্ত করতে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্রেন-বাস-লঞ্চে করে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছিলেন। তার সেই স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে আওয়ামী লীগ টানা দুইবার সরকারের ক্ষমতায় থেকে দেশের যে উন্নয়ন কর্ম করছেন সেইসব উন্নয়ন জনগণের নজরে আনতেই এবার বঙ্গবন্ধুর পথেই নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন দলটি।

নি‌র্যাতিত বাঙালির ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে সত্তরের আগে নির্বাচনী প্রচারণায় বঙ্গবন্ধু যেমন উত্তরবঙ্গে গেছেন ট্রেনে; তেমনি লঞ্চে গিয়েছিলেন দক্ষিণাঞ্চল। পাকিস্তান শাসকের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে ঘুরে বেরিয়েছেন ট্রেনে-লঞ্চে।

এর আগেও ১৯৫৪ সালে তেমনি গেছেন প্রত্যন্ত গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে। কখন নৌকায় আবার কখনওবা ট্রেনে। তিনি বুঝাতেও সক্ষম হয়েছিলেন অপমর জনতাকে পাকিসস্তানের শোষণের কথা। স্বাধিকার আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে মুক্তও করছেন শোষণ আর বঞ্ছনার হাত থেকে।

বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন; তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাও ১৯৯৬ নির্বাচনের আগে ও ২০০০ সালের পরে ট্রেনে দেশের পূর্বাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়েছিলেন ট্রেনে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/22/1537598688457.jpg

আসন্ন একাদশ নির্বাচনকে সামনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ১০ বছরের উন্নয়ন কর্মসূচি জনতার কাছে পৌঁছাতে উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নেতৃত্বে এবার সড়কপথে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় রওনা হয়েছে দলটি।

এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গে ট্রেনযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ। যাত্রা পথে স্টেশনে স্টেশনে নির্বাচনী পথসভাও করে দলের নেতারা।

ট্রেন বাস আর লঞ্চে নির্বাচনীর প্রচারণার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের রাজনীতির দিকনির্দেশক ও আদর্শ বঙ্গবন্ধু; আমরা তাঁর রাজনৈতিক দিক নির্দেশনাকেই অনুসরণ করি।

‘সেই সময় জনগণকে সম্পৃক্ত; এভাবে (ট্রেন-লঞ্চ ) বঙ্গবন্ধু তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা করেছিলেন। শেখ হাসিনা ২০০১ সালে নির্বাচনে প্রচারণায় ট্রেনে সিলেট এবং খুলনা থেকে সৈয়দপুর গিয়েছিলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/22/1537598713119.jpg

এসময় সৈয়দপুরের উদ্দেশ্য যাত্রাপথে নাটোরে গুলি করেছিল বিএনপি সন্ত্রাসীরা বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, ১০ বছরে দেশের যে উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার; সেই উন্নয়ন জাগরণের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততায় জন্য নির্বাচনের প্রচারণা চলছে।

ট্রেন বাস ও লঞ্চে নির্বাচনী প্রচারণার পাশাপাশি ডিজিটাল গণমাধ্যমেও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানের গণমাধ্যম এখন অনেক শক্তিশালী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নির্বাচনী প্রচারণা বেশি হবে। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্যই এ কর্মসূচি।’

বঙ্গবন্ধু ট্রেন-লঞ্চে নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন বলেও জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্‌্য ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় বঙ্গবন্ধু দেশের অাপামর জনতার কাছে বাঙালির মুক্তির কথা তুলে ধরেছিলেন। সেসময়ে যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ছিল বাস, ট্রেন ও লঞ্চ। সেগুলোতে করে বঙ্গবন্ধু যেমন তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা করেছিলেন, তেমনি বাঙালির মুক্তির দাবিগুলো তিনি তুলে ধরেছিলেন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে। এমনকি নৌকায় করেও নির্বাচনী প্রচারণার করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/22/1537598730172.jpg

এই নির্বাচনী প্রচারণা বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করেই করছে আওয়ামী লীগ-বলে জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হারুন অর রশিদ।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগ। তারা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার। বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক মুক্তি আর উন্নত জাতি প্রতিষ্ঠা করে যেতে পারেননি। যে কারণে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার, আদর্শেরও উত্তরাধিকার বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর যে আর্দশ ও তার দেখানো সে পথে তিনি চলছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর্দশ বাস্তবায়নে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যা কিছু করছে। নির্বাচন হোক; নির্বাচনী প্রচারের কৌশল হোক; যে কর্মসূচি বা পরিকল্পনা হাতে নেয়; বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও তার নির্দেশিত পথ অবলম্বন করে আসছে এবং তার সেই রাজনৈতিক শিক্ষা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ চলে।

‘বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে আওয়ামী লীগ অগ্রসর হচ্ছে। নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রচার যদি বলি; তাও বলা যেতে পারে বঙ্গবন্ধুর পথেই আওয়ামী লীগ হাঁটছে। এর আগে বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ যুক্তফ্রন্ট ও সত্তরে নির্বাচনে ট্রেন,বাস ও লঞ্চে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের জনগণের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন।

এ সময় বঙ্গবন্ধু লঞ্চের করে বরিশালের রাজাপুরে নির্বাচনীর প্রচারণার স্মৃতিচারণও করেন এই শিক্ষক। সেসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে করমর্দন করেছিলেন বলেও জানান ।

অধ্যাপক হারুন বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন লঞ্চের করে বরিশালের রাজাপুরে নির্বাচনীর প্রচারণায় যান; তখন আমি নিজেই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজাপুরে হ্যান্ডসেইক করেছিলাম এবং তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) রিসিভও করেছিলাম।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণা একটি গণসংযোগ। গণপরিবহন, বাস, লঞ্চ ট্রেনের মাধ্যমে দ্রুত সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব ছিল সে সময়ে। তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না। কাজেই সেই সময়ে যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে এগুলো ব্যবহার করেছিলেন।’  

   

আরও ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের আরও ৫৫ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) চার জন ও বুধবার (১৫ মে) ৫১ জনকে বহিষ্কার করা হয়।

বৃহস্পতিবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

গত ৮ মে থেকে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়। এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নেতাকর্মীরা। এ কারণে প্রথমে তাদের শোকজ এবং পরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বহিষ্কার করছে দলটি। তবে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে ফিরে আসায় কয়েকজনের বহিষ্কারাদেশ তুলেও নেওয়া হয়েছে।

প্রথম পর্বে ৮০ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ মিলিয়ে অন্তত ১৪৯ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করে দলটি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২০৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

;

সর্বস্ব খুইয়ে স্বদেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সর্বস্ব খুইয়ে স্বদেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন

সর্বস্ব খুইয়ে স্বদেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন

  • Font increase
  • Font Decrease

সেদিন ছিল কালবৈশাখীর তাণ্ডব। সকাল থেকেই প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি, আছে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা। তবে সব কিছু উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বিকাল সাড়ে চারটায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে অবতরণ করে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ৭০৭ বোয়িং বিমানটি।

মুষলধারার বৃষ্টি-বাদলা উপেক্ষা করে গণতন্ত্রকামী লাখ লাখ মানুষের মিছিল এসে থামে বিমানবন্দরের সামনে। মানুষের স্রোতে ভেঙে পড়ে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রানওয়ের দুই পাশে লাখ লাখ মানুষ, তার মাঝে পদ্ম হয়ে নেমে আসলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন নেমে আসেন বিমান থেকে, তার চোখে পানি, সে পানি মুছে দিচ্ছে বৃষ্টি হয়ে নেমে আসা আকাশের কান্না। সেই সাথে 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে চারপাশ। কালো ডোরাকাটা তাঁতের মোটা শাড়ি পরা শেখ হাসিনা দীর্ঘ নির্বাসন জীবন কাটিয়ে আবারও পা রাখেন দেশের মাটিতে। নেমে এসে মিশে গেলেন মানুষের স্রোতে।

সর্বস্ব হারিয়ে মেয়ে পুতুলকে নিয়ে সেদিন দেশে ফিরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তবে বাবা-মা, ভাইদের হারালেও তিনি যে একা নন বরং পুরো দেশই তার পরিবার, সে কথা মনে করিয়ে দিতে ভুল করেনি উপস্থিত জনতা। সেদিনের সে জনতা ‘পিতৃহত্যার বদলা নিতে/লক্ষ ভাই বেঁচে আছে, শেখ হাসিনার ভয় নাই/রাজপথ ছাড়ি নাই' এমনই নানা স্লোগানে শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেন একজন বোন হিসেবে, একজন পরিবারের পরম আপনজন হিসেবে।

একদিকে কালবৈশাখীর চোখরাঙানি অন্যদিকে লক্ষ জনতার একবার বঙ্গবন্ধুরকন্যাকে দেখার তৃষ্ণা। এর মধ্য দিয়ে সেদিনের ঢাকা শহর হয়ে উঠে এক স্তব্ধ নগরী। যে কারণে বিমানবন্দর থেকে বনানী হয়ে শেরে বাংলা নগরে আসতে সময় লেগে যায় সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি। কিছু দুষ্কৃতিকারীর হাতে পরিবারের সবাইকে হারালেও প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে ওঠেননি তিনি। বরং হাঁটলেন পিতার দেখানো পথে। তাই তো সংবর্ধনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে জনতার উদ্দেশ্যে কন্যা তার বাপের মত করেই বললেন, 'পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সবাইকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। আমি আপনাদের মাঝেই তাদের ফিরে পেতে চাই।’

আপ্লুত শেখ হাসিনা সেদিন আরও বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই। আমার আর হারাবার কিছু নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী কর্মী হিসেবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই। জীবনের ঝুঁকি নিতেই হয়, মৃত্যুকে ভয় করলে জীবন মহত্ব থেকে বঞ্চিত হয়।’

সেই যে প্রতিজ্ঞা, পিতার দেখানো স্বপ্ন পূরণের প্রতিজ্ঞা, সে প্রতিজ্ঞা পূরণে দেশে ফিরেই হাল ধরেন আওয়ামী লীগের। নানা লড়াই, সংগ্রাম ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে শক্তিশালী করেন দলকে। শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে আস্থা ফিরিয়ে আনেন নেতাকর্মীদের মাঝে। সে আস্থার সুফল পান ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। বিজয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

ক্ষমতায় এসেই মনোযোগী হন দেশ গঠনে, বাবার স্বপ্ন পূরণে। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মাত্র পাঁচ বছরে খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করেন। করেন গঙ্গা চুক্তি। কোন তৃতীয় পক্ষ ছাড়ায় অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে করেন শান্তি চুক্তি। এছাড়াও বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সব জায়গায়, জনগণের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে গ্রহণ করেন নানা কার্যক্রম।

তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে আবারও ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। এরপর আবারও ঘটে ১৯৭৫ সালের মত আরেকটি নিকৃষ্ট ঘটনা। তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে হয় গ্রেনেড হামলা। তবে তার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ান নেতাকর্মীরা। প্রাণে বেঁচে যান তিনি। তবে নিহত হন দলটির ২৪ জন নেতাকর্মী।

তবে এসব কিছুতেও দমে যাননি জাতির পিতার কন্যা। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় পিছপা হননি এক পাও। তাই তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে 'মাইনাস-টু ফর্মুলা'ও টলাতে পারেনি তাকে। সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আবারও বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে দ্বিতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তারপর থেকে টানা ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে জাতির পিতার কন্যার নেতৃত্বে দেশ চালানোর দায়িত্বে আছে আওয়ামী লীগ।

এই সময়ের মধ্যে তার নেতৃত্বের কারণেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের। বাংলাদেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসাসেবা, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি, অবকাঠামো, কৃষিসহ সব ক্ষেত্রেই উন্নতি লাভ করেছে। হয়েছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে সব বাধা অতিক্রম করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যথার্থ বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলছেন তিনি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, স্বপ্নের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলের মতো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। মহাকাশে উড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- যা ছিল এক সময় কল্পনারও অতীত। স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ার।

;

আওয়ামী লীগ কারও দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি: নানক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগ কারো দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি: নানক

আওয়ামী লীগ কারো দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি: নানক

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কোনোদিন কারও দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সেমিনারের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম। 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কোনোদিনও কারো দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ ৭০ এর নির্বাচনে পাকিস্তানি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, জেনারেল আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে লড়াই করে জনতার জয়ের মধ্য দিয়ে ৭০’র নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জেনারেল জিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে নিরবিচ্ছিন্ন লড়াই করেছে।

তিনি আরও বলেন, হাজার হাজার সামরিক অফিসারকে আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হত্যা করেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আপনারা ক্ষমতায় থাকাকালীন গঙ্গা পানির চুক্তি সমাধান করেননি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৪ হাজার কিউসেক পানি অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার ধমনীতে আছে, সেই রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে কারো সঙ্গে কোনো আতাত করে না।

বিএনপির লজ্জা নেই এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ওরা বেহায়া, ওদের লজ্জা নেই। মির্জা ফখরুল আপনারা যা বলবেন বুঝে শুনে বলবেন। ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলা২৪ এর নির্বাহী পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু গবেষক মো. আফিজুর রহমান, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী প্রমুখ।

;

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের খাবার বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এতিমখানায় খাবার বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তেজগাঁওয়ের রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে এসব খাবার বিতরণ করে দলটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এসময় অতিথিরা বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছিলো দুষ্কৃতকারীরা। তবে সে সময় জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই আজকে দেশের এতো উন্নয়ন। শৃঙ্খল মুক্ত গণতন্ত্র। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। তিনি ফিরে এসেছেন বলেই আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর হবার স্বপ্ন দেখছি।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।

;