‘জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া জাতীয় ঐক্য হচ্ছে ভুয়া’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ওবায়দুল কাদের-বার্তা২৪।

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ওবায়দুল কাদের-বার্তা২৪।

  • Font increase
  • Font Decrease

৩০ দলের জাতীয় ঐক্যে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই-বলে মন্তব্য করেছেন  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, শনিবার বিকেলে ঢাকার মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য ঘোষণা করা হয়েছে শুনলাম। নেতায় নেতায় ঐক্য, ৩০ দলের ৩০ নেতা নিয়ে ঐক্য। এ ঐক্যে জনগণের কোন সম্পৃক্ততা নেই। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য হতে পারে না। আন্তর্জাতিক সমীক্ষা বলছে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ৬৬ ভাগ, আর আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা ৬৪ ভাগ। আওয়ামী লীগের মতো এই জনপ্রিয় দলকে  বাদ দিয়ে দেশে কোনো জাতীয় ঐক্য হতে পারে না। তাদের ঐক্য হবে জাতীয়তাবাদী ও সাম্প্রদায়িক। এই ঐক্য দেশের মানুষ মেনে নেবে না।

শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রথম দিনের ‘রোড মার্চ’শেষে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

কাদের বলেন, সকালে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে তিনটি পথসভা করেছি। পথসভাগুলোতে এতো জনসমাগম যা মহাসমাবেশে পরিণত হয়েছিল। আমি আমার জীবনে এতো লোক দেখিনি। সমাবেশস্থলের বাইরেও প্রচুর লোক দাঁড়িয়ে ছিল। এসব আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তার কারণে, শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার কারণে। আইআরআই তাদের রিপোর্টে বলেছে, শেখ হাসিনা কত জনপ্রিয়, আমেরিকার পলিটিকো বলেছে শেখ হাসিনা জনপ্রিয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/23/1537641653953.jpg

সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সুশৃঙ্খল দল, জনপ্রিয় দল, গণমানুষের দল, মুক্তিযুদ্ধের দল। সামনের বিজয়ের মাসে আওয়ামী লীগের কাছে তারা পরাজিত হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌকা বিজয়ের বন্দরে পৌঁছবে।

এর আগে রাত সাড়ে ৮টায় ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের গাড়ি বহর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পৌঁছে। ওবায়দুল কাদেরকে শুভেচ্ছা জানাতে সেখানে ভিড় জমান নেতাকর্মীরা।

ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম ও ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী ট্রেনের পর এবার বহর নিয়ে সড়কপথে চট্টগ্রামে এলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে সকাল ৯টায়, লোহাগাড়ার চুনতিতে বেলা ১১টায় পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া কক্সবাজারের চকরিয়া ও ইদগাঁওতে পথসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে আগামী মাসের শুরুর দিকে লঞ্চে করে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পথসভা করবেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে তুলে ধরতে ও দলীয় নেতাকর্মীদের চাঙা করতে এমন পরিকল্পনা বলে জানা গেছে।

রাতে সার্কিট হাউজে মেজবানে অংশগ্রহণ করেন ওবায়দুল কাদের।

   

অক্টোবরে চট্টগ্রাম মহানগর আ.লীগের সম্মেলন: হানিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী অক্টোবর মাসে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।

রোববার (১৯ মে) নগরীর কাজীর দেউড়ি একটি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় তিনি এ কথা জানান।

মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ও তার আওতাধীন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কমিটি আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই এগুলোর সম্মেলন ও কমিটি গঠন অবশ্যই করে ফেলতে হবে। আগস্ট মাস যেহেতু শোকের মাস, এসময় আওয়ামী লীগের কোনো স্তরের সম্মেলন ও কমিটি গঠনের অবকাশ নেই। সেপ্টেম্বর মাসকে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পর্ব হিসেবে ধরে নিয়ে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী অক্টোবর মাসে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে আড়ম্বরপূর্ণভাবে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস যেমন জনগণ। আওয়ামী লীগের ভিত্তি ও অস্তিত্ব নির্ভরশীল শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তির উপরই। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে সম্মেলনের মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামোর ভিত্তিকে সুদৃঢ় ও বিস্তৃত করার প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করে দিতে হবে। নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে ব্যক্তির সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা ও দক্ষতাকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাই ব্যক্তির পছন্দ ও অপছন্দের বিষয়টি কখনো মুখ্য হতে পারে না। নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতেই পারে। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা সাংগঠনিক শৃঙ্খলার মধ্যেই হওয়া উচিত। সবচেয়ে বড় কথা- সংগঠনের বিভিন্ন ধাপ ও স্তরগুলোতে নেতৃত্ব যদি সমঝোতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে দলীয় ঐক্য, শৃঙ্খলা ও শক্তির পরিমাপ ও ঘনত্ব ভারি হয়। নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোটের বিষয়টি থাকলে কেনা-বেচা হওয়ার সুযোগ থাকে এবং পারস্পরিক বিভক্তি সৃষ্টিরও আশঙ্কা দেখা দেয়।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, আওয়ামী লীগ টানা চারবার ক্ষমতায় আছে- এ নিয়ে আত্মতুষ্টির কোনো কারণ নেই। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ধস নামানোর বিজয় অর্জিত হয়েছিল প্রবল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এই প্রতিপক্ষ ছিল নেতৃত্বহীন বিএনপি নামক একটি প্লাটফর্ম এবং স্বাধীনতা ও দেশ বিরোধী রেজিমেন্টাল জামায়াতে ইসলামী ও প্রতিক্রিয়াশীল ডান ও অতিবাম শক্তির মোর্চা। কিন্তু পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনগুলোতে আমাদের কোনো প্রবল প্রতিপক্ষ না থাকলেও দলীয় সাংগঠনিক ভিত্তি খুব একটা শক্তিশালী হয়নি। বরং নিজেদের মধ্যে কলহ, বিবাদ ও বিভক্তি বেড়েছে। আরও বেড়েছে দলের মধ্যে হাইব্রীডের প্রবল স্রোত। প্রধানমন্ত্রী বার বার বলেছেন, নিজস্ব গ্রুপ ও প্রভাব বলয় বৃদ্ধির জন্য বাইরে থেকে ভিন্ন মতের মানুষ দলে ঢুকানোর কোনো প্রয়োজন নেই।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটির আওতাধীন ২৭টি ইউনিট ও ২৯টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়নি এবং ১৫টি থানার মধ্যে একটি থানা আওয়ামী লীগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা আওয়ামী লীগের যে সকল কমিটির সম্মেলন হয়নি, সেগুলো মূলত পরিস্থিতিগত কারণে নয়, স্থানীয় নেতৃত্বের অনীহা ও আন্তরিকতার অভাবের কারণে। আমরা মহানগর আওয়ামী লীগ কমিটি থেকে এ সকল ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সম্মেলন কেন হয়নি এ ব্যাপারে তারা অবগত আছেন। তবে এটাও ঠিক সম্মেলন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে স্থানীয় নেতৃত্ব যদি ঐকমত্যে না পৌঁছে সেখানে কিছুতেই জোর করে সম্মেলন করতে হবে এমন মনোভাব চাপিয়ে দেয়া যায় না।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, অ্যাডভোকেট মো. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য একেএম বেলায়েত হোসেন, শফর আলী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম এমপি, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাবেক এমপি নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান ও মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু এমপি প্রমুখ।

;

‘গরিব বাংলাদেশ’কে দেখতে ৫ বছর পর মিউজিয়ামে যেতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গরিব বাংলাদেশের অবস্থা কী ছিল সেটা দেখতে হলে নতুন প্রজন্মকে আগামী পাঁচ বছর পর মিউজিয়ামে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আয়োজিত ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কোনো হতদরিদ্র থাকবে না উল্লেখ করে কামাল বলেন, হতদরিদ্র বাংলাদেশ যেখানে গরিব মানুষ তালি দেওয়া ছেঁড়া কাপড় পরতো, খালি পায়ে হাঁটতো-সে জায়গা থেকে আজকে বাংলাদেশের এই অবস্থান। আগামী বছর খানেক পরে হতদরিদ্র সেই বাংলাদেশকে দেখতে হলে আগামী বছর পাঁচেক পরে নতুন প্রজন্মকে মিউজিয়ামে যেতে হবে। আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং অচিরেই বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশের এই অবস্থান আমরা দেখতে পাচ্ছি। অথচ প্রধানমন্ত্রী যেদিন ফিরে এসেছিলেন সেদিন তাকে ৩২ নম্বরে ঢুকতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। তিনি সেদিন কেঁদেছিলেন, কেঁদেছিল দেশের মানুষ। আমি সেদিন মানুষকে স্পষ্ট বলতে শুনেছি, সবাই বলছিল- শেখের বেটি ফিরে এসেছে, আমাদের আর কেউ দাবায় রাখতে পারবে না। বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছে। এই কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার। তার নেতৃত্বেই সারা বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ আজ বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের স্মৃতিচারণ করে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

এছাড়াও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ্যাড. কামরুল ইসলাম, আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া, ঢাকা-১৯ এর সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

;

বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে: সালমান এফ রহমান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।

রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আয়োজিত ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

২০০১ এর নির্বাচনেও ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে হারানো হয়েছে উল্লেখ করে সাল্মান এফ রহমান বলেন, গত নির্বাচনেও ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছে। আগামীতেও আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।

সালমান এফ রহমান বলেন, যেভাবে নৃশংসভাবে ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে, তারপরও প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ফিরে এসেছেন। ১৯৮৬ সাল থেকে বাংলাদেশকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসতে বলিষ্ঠ হাতে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। যে দেশের মানুষ তার সব কেড়ে নিয়েছে সে দেশের মানুষের জন্যই তিনি এখনও করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর জায়গায় আমি থাকলে এই দেশে কখনও ফিরে আসতাম না। আমাদের ভাগ্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে আমরা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতেই তিনি এদেশে ফিরে এসেছিলেন। শেখ হাসিনার ম্যাজিকের জন্যই আজ বাংলাদেশ এই অবস্থানে এসেছে।

বাংলাদেশে দুইটি চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এবং আমেরিকা আর চীনের জৈব যুদ্ধ- এই দুইটার একটার সাথেও বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও আমরা ভুক্তভোগী। অন্যদিকে প্রযুক্তি নিয়েও একটা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সামনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) আসতে যাচ্ছে। এটার সঠিক ব্যবহার করাও একটা চ্যালেঞ্জ। এই প্রযুক্তি ব্যবহারে সকলকে অ্যাডভান্স নিতে হবে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, দেশের সবাই আওয়ামী লীগ করে না। কেউ বিএনপি করে, আবার কেউ অন্যান্য দল করে। আরেকটা পক্ষ আছে যারা কোনো দলই করে না। দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের ভূমিকা তুলে ধরে নিরপেক্ষদের মন জয় করতে হবে।

মনে হচ্ছে সামনের নির্বাচন অনেক দূরে, কিন্তু না চোখের পলকে সময় শেষ হয়ে যাবে। সময়ের মধ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে বলেও নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান সালমান এফ রহমান।

এছাড়াও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ্যাড. কামরুল ইসলাম, আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া, ঢাকা-১৯ এর সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

;

'বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনে এই সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১০ বিলিয়নের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন। এখন বলা হয় ৩ মাসের আমাদানি করার মতো অর্থ থাকলেই নাকি যথেষ্ট। কিন্তু আমরা যতটুকু জানি আমদানি ব্যয় আগের তুলনায় অনেক কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন ৭/৮ মিলিয়নের জায়গায় ৪/৫ মিলিয়নে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনেক বড় বড় কথা বলেন, তাকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিলো জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে আসেন। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছালে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

;