'ফ্যাসিবাদের চরম উত্থানে দেশবাসী আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ফ্যাসিবাদের চরম উত্থানে দেশবাসী ভয় ও আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আগামীকাল (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এ বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ফখরুল বলেন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এ বছর আমরা মহান স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছি। সূবর্ণ জয়ন্তীর এই ক্ষণে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। কামনা করি তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। আজকের এই মহান দিবসে আমি সশ্রদ্ধচিত্বে স্মরণ করি স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে-যাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে এদিনে গোটা জাতি ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই সকল জাতীয় নেতার প্রতি, যাঁরা দেশ ও জাতির জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন।

তিনি বলেন, বিশাল রক্ত-স্রোত আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে মহিমান্বিত আমাদের স্বাধীনতা। কথা ছিল একটি পতাকা পেলে দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকবে। কিন্তু দেশের মানুষ সেই সুখ, শান্তি পায়নি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার হাত দিয়ে, তা বারবার বিপন্ন করতে চেষ্টা করেছে চক্রান্তকারীরা। কিন্তু আপোষহীন নেত্রী বেগম জিয়া বিপন্ন গণতন্ত্রকে বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছেন, সেটিও আজকে বিনষ্ট করে গণতন্ত্রের নামে কর্তৃত্ববাদী অপশাসন চালু করা হয়েছে। কেউ যাতে মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার নিয়ে কথা না বলে, নাগরিক স্বাধীনতার জন্য আওয়াজ না তোলে সেজন্য নানা কালাকানুন তৈরি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের চরম উত্থানে দেশবাসী ভয় ও আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। তাই স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও গণতন্ত্রের পুণরুজ্জীবন ঘটাতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তির এ মুহুর্তে গড়ে তুলতে হবে ইস্পাত কঠিন ঐক্য। অপহৃত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সাহসী সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনতে হবে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

তিনি আরো বলেন, সারাবিশ্ব আজ ভয়াবহ মহামারীর কবলে। করোনাভাইরাসের মহামারী পৃথিবীর নানা জাতির মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে। বিশ্বময় হাড়-হিম করা আতঙ্কে মানুষ জীবন যাপন করছে। করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউ বাংলাদেশকে আক্রমণ করেছে। প্রতিদিন মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। আমাদের যার যার অবস্থান থেকে এই সংক্রামক ব্যধির বিস্তার রোধে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতে হবে।