ইউপি নির্বাচন: ঘরের আগুনে পুড়ছে সিলেট আ. লীগ



মুহাজিরুল ইসলাম রাহাত, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে সিলেটের গ্রামাঞ্চল। হাট-বাজারে নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা এখন তুঙ্গে। এরইমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চলছে মনোনয়ন যাচাই-বাছাই। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ নভেম্বর জেলার তিনটি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের নির্বাচনে বিএনপি সরে দাঁড়ালেও স্বস্তিতে নেই আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা। তাদের ঘরের আগুনে পুড়তে হচ্ছে। কারণ ভোটের মাঠে এবারও তাদের নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

এদিকে, বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও স্বতন্ত্র হিসেবে তাদের অনেক নেতা মাঠে সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই আছে বর্তমান চেয়ারম্যান। এ ছাড়া গত নির্বাচনে যেসব প্রার্থী পরাজিত হয়েছিলেন তারাও মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

তবে সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, এবার দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে যারা প্রার্থী হবেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির খড়গ নামবে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর শাস্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে।

দ্বিতীয় ধাপে সিলেট জেলার তিন উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।এর মধ্যে কোম্পানীগঞ্জের ৫টি, বালাগঞ্জের ৬টি ও সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন এবার ভোট হচ্ছে।

জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে মাঠে সক্রিয় রয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা। এ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুল্লুক হোসেনের মুখোমুখি হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া, আমিনুল ইসলাম ও ইলিয়াসুর রহমান। তেলীখাল ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান নুর মিয়ার মুখোমুখি হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুল আলফু। ইছাকলস ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী এখলাসুর রহমানের মুখোমুখি হয়েছেন বিদ্রোহী সাজ্জাদুর রহমান ও বশির আহমদ। দক্ষিণ রনীখাই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী ইকবাল হোসেন ইমাদ মুখোমুখি হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী সয়ফুল ইসলাম। এ ছাড়া বিএনপি ঘরানা থেকে প্রার্থী হচ্ছেন শামসুদ্দিন শাহী। উত্তর রনীখাই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন ফয়জুর রহমান মাস্টারের মুখোমুখি হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আ.লীগের বিদ্রোহী ফরিদ উদ্দিন। এ ছাড়া একজন যুবদল নেতাও ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বালাগঞ্জ উপজেলায় অবশ্য বিদ্রোহী প্রার্থী সংখ্যা কম। এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বালাগঞ্জ সদর উপজেলায় নৌকার একক প্রার্থী হয়েছেন জুনেদ মিয়া। তিনি বিএনপি ঘরানার প্রার্থী আব্দুল মুমিনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। বোয়ালজুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আনহার মিয়া। তিনি এই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। তার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন খেলাফত নেতা মানিক মিয়া। পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন শিহাব উদ্দিন। বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনও এবার প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। দেওয়ানবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছহুল মুমীন। এ ইউনিয়নের বিএনপি’র ঘরানার প্রার্থী হচ্ছেন নজম আলম। পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম মধু। তিনি মুখোমুখি হচ্ছেন বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুর রহমান মাখন ও খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মশাহিদ শিকদারের। পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হিমাংশু রঞ্জন দাস। বিএনপি ঘরনা থেকে মুজিবুর রহমান এ ইউনিয়নে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।

সিলেট সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে এবার নির্বাচন হচ্ছে। সেখানে ৩টিতেই লড়বেন আ.লীগের বিদ্রোহীরা। হাটখোলা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন মোশাহিদ আলী। বিএনপি ঘরানা থেকে রফিকুল ইসলাম ও জামায়াত ঘরানা থেকে দিলোয়ার হোসেন ও খেলাফত মজলিস থেকে মাওলানা রফিকুজ্জামান প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানা গেছে। জালালাবাদ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী ওবায়দুল্লাহ ইসহাক। এ ইউনিয়নে বিদ্রোহী হচ্ছেন মানিক মিয়া, শামসুল ইসলাম হাবিবী ও আশরাফ সিদ্দিকী। কান্দিগাঁও ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী নিজাম উদ্দিন। জামায়াত ঘরানা থেকে আব্দুল মনাফ প্রার্থী হতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। মোগলগাঁও ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান হিরন মিয়া। এ ইউনিয়নে বিদ্রোহী হচ্ছেন শামসুল ইসলাম টুনু।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) শফিকুর রহমান চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে যারাই প্রার্থী হবেন তাদেরকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আমারা আশা করছি বিদ্রোহীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন। অন্যথায় মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর শাস্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে।

   

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;

ভিডিও ভাইরাল, সেই নারী কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় ইমেজ নষ্ট ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী-কে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকান্ডের কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এর আগে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আবাসিক হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে একজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। তার সঙ্গী ওই পুরুষটি চামেলীর ইচ্ছাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছেন। যা পরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

;

ঝিনাইদহ-১ উপ-নির্বাচন

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান আওয়ামী লীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ২৯ এপ্রিল (সোমবার) প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

এতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, এমপি'র ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমণ্ডি আ/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা) থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং আগামী ২৯ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন

যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে।

আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন। কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরেও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। কাজেই, এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না।

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময় মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছেন, অনেকেই এমপি হননি। অনেকেই মন্ত্রী হননি। এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবেন না, সময় মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, বিএনপি বা বিরোধীদলের কোনো কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকে। ২৬ তারিখের একটা কর্মসূচি ছিল। লোকজন বলছেন, এটা পাল্টাপাল্টি। যদি পাল্টাপাল্টি হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা কি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য দিচ্ছেন, না কি সরকারের মধ্যে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে যে, বিএনপি মাঠ দখল করে সরকারকে ফেলে দিতে পারে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এখন নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচন যারা বয়কট করেছে, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সে স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে না, ৫ দিনের মাথায় পড়ে যাবে। এমন দুঃস্বপ্ন তারা দেখেছিল।

তিনি বলেন, আজকে হ্যাঁ, আমরা এটা মনেই করতে পারি, বিএনপি এক তরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে। জণগনের জানমালের নিশ্চয়তা, সম্পদ রক্ষা সেখানে আমাদেরও সরকারি দল হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করার বিষয়ে একটা মানসিক বাধা তারা পাবে, সে কারণে আমরা এটা করি। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। তারা গণহত্যা বিক্ষোভ অনেক কিছু করছে। 

 শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রাখছি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় কি কখনো পাল্টাপাল্টি দুই দলের মধ্যে কোনো সংঘাত হয়েছে! এত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, আমরা শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রেখেছি।

 সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;