একই সাথে বিধিনিষেধ ও নির্বাচন সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত: গয়েশ্বর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

চলমান করোনা সংক্রমন পরিস্থিতিতে একই সাথে সরকারের বিধিনিষেধ ও নির্বাচন অনুষ্ঠান সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এটি বিএনপির আন্দোলন বন্ধ করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে কিনা?’

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় করোনা আক্রান্ত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ও তার সহ-ধর্মিনীর রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বিএনপির এ নেতা এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নারায়ণগঞ্জে সিটি নির্বাচন চলছে। ইউপি নির্বাচনেও মারামারি কাটাকাটি যা হওয়ার হচ্ছে। সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করার পরেও এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন তাদের নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করে নাই। তাহলে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর নির্বাচন করা কি প্রযোজ্য? নির্বাচন কমিশনের কাছে সরকারও কোনো অনুরোধ করে নাই। এ প্রশ্নের উত্তর পেতে কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য অনেকেই রাজপথে নেমেছে। ঠিক সেই মুহুর্তে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সব কিছুই চলছে, দোকানপাট ব্যবসা-বাণিজ্য সব চলবে। শুধুমাত্র চলবেনা রাজনৈতিক সমাবেশ। আরে রাজনৈতিক সমাবেশ করে কারা? বিএনপি। সুতরাং এটা প্রজ্ঞাপন জারি না।

গয়েশ্বর বলেন, এই সরকার করোনা নিয়ে অনেক ছলনা করেছে। যখন করোনা বাড়ে তখন কম দেখায়, যখন কমে তখন বাড়িয়ে দেখায়-এটা মারাত্মক নয়? মানুষও বিশ্বাস করে সরকার করোনা নিয়ে রাজনীতি করছে। শুধু তাই নয়, এই করোনা নিয়েও সরকার দুর্নীতি করেছে। রোগীদের সাথে ছলনা করেছে। করোনার সার্টিফিকেট নিয়ে ছলনা করেছে। নেগেটিভ হলে পজিটিভ আর পজেটিভ হলে নেগেটিভ বলেছে। অনেকে বিদেশে গিয়ে বিপদে পড়েছে। অনেকে এয়ারপোর্ট থেকে ফিরে এসেছে।

তিনি বলেন, করোনার মধ্যে আমরা বিনামূল্যে অনেক কিছু দিয়েছি।অক্সিজেন পিপি মাস্কসহ অনেক কিছু দিয়েছি। প্রয়োজন হলে আরো দেব। তবে প্রজ্ঞাপন এটা শুধু বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য কি না এ প্রশ্নের উত্তর আর কিছুদিন পরে বোঝা যাবে।

দলের মহাসচিব ও তার স্ত্রীর আশু রোগমুক্তি কামনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, দোয়া করি তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

দোয়া মাহফিলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।