নির্বাচন ভাগাভাগির নয়, জয়ের লড়াই: সুব্রত চৌধুরী



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
সুব্রত চৌধুরী

সুব্রত চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

‘ধানের শীষ’ প্রতীকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ১৬০ জন প্রার্থীকে প্রস্তুত করেছে ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরাম। তবে বৃহত্তর ঐক্যের প্রশ্নে সর্বোচ্চ ছাড় দিতেও প্রস্তুত দলটি। লক্ষ্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ন্যায় ভিত্তিক ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণ। তাই নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা হবে না কারণ জয়ের লড়াইয়ে বিজয়ী হওয়াটাই মুখ্য- বলেন সুব্রত চৌধুরী। 

বুধবার (২১ নভেম্বর) বার্তা২৪.কমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সমসাময়িক রাজনৈতিক ভাবনা তুলে ধরেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা সুব্রত চৌধুরী।

নির্বাচনে ভোটারদের আস্থা ফেরানোর বিষয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী বলেন, এটা একটা চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন কমিশন ভোটে আস্থা ফেরাতে কোন ব্যবস্থা নেয় নি। উল্টো নানারকমের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যেমন সাংবাদিকদের বলা হয়েছে পোলিং স্টেশনে ঢুকবা কিন্তু লাইভ করতে পারবা না এবং বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বলা হযেছে পুতুলের মতো দাড়িয়ে থাকতে হবে। তার মানে কি, যেনতেনভাবে বর্তমান দলকে আবার ক্ষমতায় আনার পরিকল্পনা আছে। সরকার যদি এগুলো করে নিজেরাও নিরাপদে থাকতে পারবে না। তারা সেই জায়গায় যেনো রাষ্ট্রটাকে না নিয়ে যায়।

ভোটে জনগণ আন্দোলন করে ভোটকেন্দ্রে আসবে, প্রতিরোধ করবে এমনটি কেন মনে করছেন?- এ বিষয়ে বলেন, জনগণ অপেক্ষায় আছে, তাদের অপকর্মের দরুণ এই সরকারকে তারা একদিনের জন্যও সহ্য করতে পারছে না। সেজন্য আমরা বলছি, সামনে আমাদের একটা সুযোগ আসছে। এটা শুধু জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সুযোগ না, ১৬ কোটি মানুষের সুযোগ। এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও ৩০ লক্ষ্য শহীদের যে স্বপ্ন আওয়ামী লীগ ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে সে জায়গা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে চাই।

তিনি বলেন, এখন মানুষের ভোট কেন্দ্রে যাওয়া যদি নিশ্চিত করতে পারি, এবং একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যেটা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, ‘তিনি কারচুপির নির্বাচন করবেন না।’ এটাকে যদি আমরা ধরে নিই তাহলে আমাদের বিজয় অবশ্যম্ভাবী। জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং ভোটের হিসেব তারা নেবে। জনগণের মধ্যে যদি একটা জোয়ার সৃষ্টি হয়, কোন প্রতিবন্ধকতা, কোন নীল নকশা, কোন রাজ চালাকি কাজে লাগবে না। অতীতে যেমন মানুষ উচিত শিক্ষা দিয়েছে যারা এগুলো করেছে। আমার আশঙ্কা হচ্ছে, সরকার যদি সে পথে যায়, জনগণ উচিত শিক্ষা দিয়ে দেবে। ইতিহাস থেকে তাদের শিক্ষা নেয়া উচিত।”

ভোটের মাঠে যেতে দৃশ্যমান কোন বাধা আছে কি-না এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে গিযেছিলাম। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমে সংলাপের শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় বার সংলাপেও তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন, দলীয় সরকারের অধিনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তিনি দেখিয়ে দিতে চান দলীয় সরকারের অধীনেও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। ‘তিনি আরও বলেছেন কোন কারচুপির নির্বাচন করে আমি (অর্থাৎ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী) ও আমার দল বিজয়ী হতে চাইনা।’ সেই কারণে ওনার কথার উপর আমরা আস্থা এবং বিশ্বাস রেখে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। আমরা আশা করেছিলাম যে, তিনি উনার কথা রাখবেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ এবং বেদনার সঙ্গে বলছি, একটি হচ্ছে সরকারি দলের কর্মকাণ্ড এবং সরকারের কর্মকাণ্ড যেটা নির্বাচন কালীন সরকার হওয়ার কথা ছিল, উনিই বলেছিলেন একটা ছোট সরকার হবে, নিয়ম রক্ষার কাজ করবে। কিন্তু বাস্তবে দেখলাম উনি পুরো বহর রেখে দিয়েছেন এবং অনির্বাচিত উপদেষ্টাদেরও রেখে দিয়েছেন। আবার এমন কিছু কাজ করছেন, জাতীয় পতাকা গাড়িতে রেখে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করছেন যেটা সমস্ত আইন কানুন বিধিবিধান উপেক্ষ করে। নির্বাচন কমিশন তাদের ক্ষমতা থাকা সত্বেও কোন ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই।

নির্বাচনে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের ভুমিকার বিষয়ে তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি, তাদের নির্বাচন কমিশন থেকে নানা নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে, ঢাকায় আনা হয়েছে। তাদেরকে গণভবনে নিযে গিয়ে দলীয় নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ সরকারি দলের পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। যারা প্রিসাইডিং অফিসারদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে সেখানে পুলিশ তাদের পেছনে লেগে গেছে। তাদের বাড়িতে যাচ্ছে এবং নানারকম রাজনৈতিক পরিচয় খুজে বের করার চেষ্ট করছে। এটা একটা ভয় ভীতি আতঙ্কের মধ্যে সবাইকে ফেলে দিয়েছে। তবে কোন কলাকৌশল, নীল নকশা কাজে আসবে না। জনগণ সমুচিত জবাব দেবে।

গণফোরামের নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমাদের গণফোরামের একক প্রার্থী হিসেবে ১৬০ জনকে চূড়ান্ত করা হতে পারে। যেখান থেকেই দেয়া হোক না কেন আমরা প্রস্তুত আছি। তবে বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে সর্বোচ্চ ছাড় দিতে প্রস্তুত আছে গণফোরাম। সেক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে অন্য দলগুলোর একই মানসিকতা থাকতে হবে। এখানে  আসন ভাগাভাগি মুখ্য নয়, জয়ের লড়াই এটা। আমরা আসন নিয়ে কোন ধরনের ঝুঁকি নিবো না। 

ইশতেহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি হচ্ছে, আরও সপ্তাহ খানিক সময় লাগবে। গণফোরাম ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একসঙ্গে ইশতেহার ঘোষণা করবে।

   

আরও ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের আরও ৫৫ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) চার জন ও বুধবার (১৫ মে) ৫১ জনকে বহিষ্কার করা হয়।

বৃহস্পতিবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

গত ৮ মে থেকে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়। এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নেতাকর্মীরা। এ কারণে প্রথমে তাদের শোকজ এবং পরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বহিষ্কার করছে দলটি। তবে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে ফিরে আসায় কয়েকজনের বহিষ্কারাদেশ তুলেও নেওয়া হয়েছে।

প্রথম পর্বে ৮০ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ মিলিয়ে অন্তত ১৪৯ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করে দলটি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২০৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

;

সর্বস্ব খুইয়ে স্বদেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সর্বস্ব খুইয়ে স্বদেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন

সর্বস্ব খুইয়ে স্বদেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন

  • Font increase
  • Font Decrease

সেদিন ছিল কালবৈশাখীর তাণ্ডব। সকাল থেকেই প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি, আছে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা। তবে সব কিছু উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বিকাল সাড়ে চারটায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে অবতরণ করে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ৭০৭ বোয়িং বিমানটি।

মুষলধারার বৃষ্টি-বাদলা উপেক্ষা করে গণতন্ত্রকামী লাখ লাখ মানুষের মিছিল এসে থামে বিমানবন্দরের সামনে। মানুষের স্রোতে ভেঙে পড়ে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রানওয়ের দুই পাশে লাখ লাখ মানুষ, তার মাঝে পদ্ম হয়ে নেমে আসলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন নেমে আসেন বিমান থেকে, তার চোখে পানি, সে পানি মুছে দিচ্ছে বৃষ্টি হয়ে নেমে আসা আকাশের কান্না। সেই সাথে 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে চারপাশ। কালো ডোরাকাটা তাঁতের মোটা শাড়ি পরা শেখ হাসিনা দীর্ঘ নির্বাসন জীবন কাটিয়ে আবারও পা রাখেন দেশের মাটিতে। নেমে এসে মিশে গেলেন মানুষের স্রোতে।

সর্বস্ব হারিয়ে মেয়ে পুতুলকে নিয়ে সেদিন দেশে ফিরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তবে বাবা-মা, ভাইদের হারালেও তিনি যে একা নন বরং পুরো দেশই তার পরিবার, সে কথা মনে করিয়ে দিতে ভুল করেনি উপস্থিত জনতা। সেদিনের সে জনতা ‘পিতৃহত্যার বদলা নিতে/লক্ষ ভাই বেঁচে আছে, শেখ হাসিনার ভয় নাই/রাজপথ ছাড়ি নাই' এমনই নানা স্লোগানে শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেন একজন বোন হিসেবে, একজন পরিবারের পরম আপনজন হিসেবে।

একদিকে কালবৈশাখীর চোখরাঙানি অন্যদিকে লক্ষ জনতার একবার বঙ্গবন্ধুরকন্যাকে দেখার তৃষ্ণা। এর মধ্য দিয়ে সেদিনের ঢাকা শহর হয়ে উঠে এক স্তব্ধ নগরী। যে কারণে বিমানবন্দর থেকে বনানী হয়ে শেরে বাংলা নগরে আসতে সময় লেগে যায় সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি। কিছু দুষ্কৃতিকারীর হাতে পরিবারের সবাইকে হারালেও প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে ওঠেননি তিনি। বরং হাঁটলেন পিতার দেখানো পথে। তাই তো সংবর্ধনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে জনতার উদ্দেশ্যে কন্যা তার বাপের মত করেই বললেন, 'পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সবাইকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। আমি আপনাদের মাঝেই তাদের ফিরে পেতে চাই।’

আপ্লুত শেখ হাসিনা সেদিন আরও বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই। আমার আর হারাবার কিছু নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী কর্মী হিসেবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই। জীবনের ঝুঁকি নিতেই হয়, মৃত্যুকে ভয় করলে জীবন মহত্ব থেকে বঞ্চিত হয়।’

সেই যে প্রতিজ্ঞা, পিতার দেখানো স্বপ্ন পূরণের প্রতিজ্ঞা, সে প্রতিজ্ঞা পূরণে দেশে ফিরেই হাল ধরেন আওয়ামী লীগের। নানা লড়াই, সংগ্রাম ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে শক্তিশালী করেন দলকে। শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে আস্থা ফিরিয়ে আনেন নেতাকর্মীদের মাঝে। সে আস্থার সুফল পান ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। বিজয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

ক্ষমতায় এসেই মনোযোগী হন দেশ গঠনে, বাবার স্বপ্ন পূরণে। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মাত্র পাঁচ বছরে খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করেন। করেন গঙ্গা চুক্তি। কোন তৃতীয় পক্ষ ছাড়ায় অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে করেন শান্তি চুক্তি। এছাড়াও বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সব জায়গায়, জনগণের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে গ্রহণ করেন নানা কার্যক্রম।

তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে আবারও ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। এরপর আবারও ঘটে ১৯৭৫ সালের মত আরেকটি নিকৃষ্ট ঘটনা। তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে হয় গ্রেনেড হামলা। তবে তার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ান নেতাকর্মীরা। প্রাণে বেঁচে যান তিনি। তবে নিহত হন দলটির ২৪ জন নেতাকর্মী।

তবে এসব কিছুতেও দমে যাননি জাতির পিতার কন্যা। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় পিছপা হননি এক পাও। তাই তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে 'মাইনাস-টু ফর্মুলা'ও টলাতে পারেনি তাকে। সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আবারও বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে দ্বিতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তারপর থেকে টানা ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে জাতির পিতার কন্যার নেতৃত্বে দেশ চালানোর দায়িত্বে আছে আওয়ামী লীগ।

এই সময়ের মধ্যে তার নেতৃত্বের কারণেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের। বাংলাদেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসাসেবা, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি, অবকাঠামো, কৃষিসহ সব ক্ষেত্রেই উন্নতি লাভ করেছে। হয়েছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে সব বাধা অতিক্রম করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যথার্থ বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলছেন তিনি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, স্বপ্নের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলের মতো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। মহাকাশে উড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- যা ছিল এক সময় কল্পনারও অতীত। স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ার।

;

আওয়ামী লীগ কারও দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি: নানক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগ কারো দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি: নানক

আওয়ামী লীগ কারো দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি: নানক

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কোনোদিন কারও দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সেমিনারের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম। 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কোনোদিনও কারো দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ ৭০ এর নির্বাচনে পাকিস্তানি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, জেনারেল আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে লড়াই করে জনতার জয়ের মধ্য দিয়ে ৭০’র নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জেনারেল জিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে নিরবিচ্ছিন্ন লড়াই করেছে।

তিনি আরও বলেন, হাজার হাজার সামরিক অফিসারকে আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হত্যা করেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আপনারা ক্ষমতায় থাকাকালীন গঙ্গা পানির চুক্তি সমাধান করেননি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৪ হাজার কিউসেক পানি অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার ধমনীতে আছে, সেই রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে কারো সঙ্গে কোনো আতাত করে না।

বিএনপির লজ্জা নেই এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ওরা বেহায়া, ওদের লজ্জা নেই। মির্জা ফখরুল আপনারা যা বলবেন বুঝে শুনে বলবেন। ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলা২৪ এর নির্বাহী পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু গবেষক মো. আফিজুর রহমান, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী প্রমুখ।

;

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের খাবার বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এতিমখানায় খাবার বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তেজগাঁওয়ের রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে এসব খাবার বিতরণ করে দলটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এসময় অতিথিরা বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছিলো দুষ্কৃতকারীরা। তবে সে সময় জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই আজকে দেশের এতো উন্নয়ন। শৃঙ্খল মুক্ত গণতন্ত্র। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। তিনি ফিরে এসেছেন বলেই আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর হবার স্বপ্ন দেখছি।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।

;