মির্জা ফখরুল-আব্বাস কারামুক্তি পেতে পারেন আজ
নাশকতার মামলায় জামিন পাওয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস আজ সোমবার কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
রোববার (৮ জানুয়ারি) নাশকতার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তাদের মুক্তিতে কোনো বাধা নেই।
মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, জামিন আদেশের কপি এখনও পাওয়া যায়নি। সোমবার কপি পাওয়ার পর আদালতে জামিননামা দাখিল করা হবে। এরপর কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন তারা।
আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, বিএনপি নেতাদের জামিন আপিল বিভাগে বহাল রাখায় প্রমাণ হয়েছে- রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকার আদালতকে কখনও ব্যবহার করেনি। আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বিচারকাজ পরিচালনা করছেন আদালত।
এর আগে, ৩ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এরপর তাদের জামিন ঠেকাতে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
পরে গত ৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর আগামী ৮ জানুয়ারি আপিল বিভাগে শুনানির দিন নির্ধারণ করেন চেম্বার জজ আদালত। একই সঙ্গে ৮ জানুয়ারির আগে তাদের জামিননামা দাখিল না করার নির্দেশ দেন আদালত।
গত ৭ ডিসেম্বর নয়া পল্টনের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় প্রায় এক মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন ফখরুল ও আব্বাস।
গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে মকবুল নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় পল্টন থানায় করা মামলায় ফখরুল ও আব্বাসসহ দলটির চারশজনের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। ৮ ডিসেম্বর রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে নয়াপল্টনের সংঘর্ষের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন ৯ ডিসেম্বর আদালত তাদের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ফের জামিনের আবেদন করলে গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালত জামিন না- মঞ্জুরের আদেশ দেন। এরপর ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দুজনের জামিনের আবেদন না- মঞ্জুরের আদেশ দেন। সবশেষ ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতে দুজনের জামিনের আবেদন নাকচ হয়।