‘১/১১-এর সরকার বাংলার মাটিতে কায়েম হতে দেওয়া হবে না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক

  • Font increase
  • Font Decrease

মিথ্যার বেসাতি ছাড়া বিএনপির কাছে আর কোন কিছু নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ওরা (বিএনপি) স্বপ্ন দেখে আবার এক/এগারোর সরকার কায়েম করবে। এক/এগারোর সরকার বাংলার একটি মানুষ জীবিত থাকতে আর কায়েম হতে দেওয়া হবে না। আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে মির্জা ফখরুল সাহেব তার ফল শুভ হবে না। কারণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাঙালি জাতি শেখ হাসিনার নেৃতত্বে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবেই।

সোমবার (২০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

প্রধান অতিথি জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোন যুক্তিতে চান? আপনাদের নেতা আপনাদের মাতা বেগম খালেদা জিয়া বলেছিল নিরপেক্ষ বলতে কেউ নেই। এক পাগল আর শিশু হল নিরপেক্ষ। তাহলে আপনারা নিরপেক্ষ সরকার চান তাহলে আপনাদের ম্যাডামের ভাষায় মির্জা ফখরুল আপনারা নয় শিশু, নয় পাগল। আসলে ওরা (বিএনপি) দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। ওরা বাংলাদেশের অকল্পনীয় উন্নয়নকে মেনে নিতে পারছে না বলেও জানান জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমরা শত্রু-মিত্রের তালিকা করতে পারি নাই বলে শত্রু সেদিন ঘাপটি মেরে বসেছিল। আমরা মোশতাক-জিয়াদের তালিকা করে কবর রচনা করতে পারি নাই বলেই সেদিন মোশতাক-জিয়ারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। আজকের বাংলাদেশে পাকিস্তানের সেই প্রেতাত্মারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে তখন তারা আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করছে বলে অভিযোগ করেন নানক।

আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে যুব মহিলা লীগের ওপর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মেয়াদে অকথ্য অত্যাচার নির্যাতনের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, সেকথা কি ভুলে গেছেন মির্জা ফখরুল সাহেব? মেয়েদের ব্লাইজ ছিঁড়ে দিয়েছেন, আমাদের মেয়েদের বিবস্ত্র করা হয়েছে। আপনাদের পেটোয়া বাহিনী দিয়ে। আর আজকে আন্দোলন করেন, সমাবেশ করেন, মহাসমাবেশ করেন তারপরও বলেন গণতন্ত্র নাই? কথা বলার অধিকার নাই? কি অধিকার আর চান?

যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেউজির সভাপতিত্বে আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করেছি : ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে এবং তা শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আজ দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষতি করতে চাইছে।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বৈঠকে তিনি রোববার এসব কথা বলেন।

বৈশ্বিক সংকটে বিভিন্ন দেশের নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বর্ণনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যাতে ভালো থাকেন, এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন। বন্ধু রাষ্ট্রগুলো যে সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছে, এটা বিএনপির অন্তর্জ্বালার কারণ। সে কারণে তারা প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে কটু কথা বলে। বিরূপ সমালোচনা করে। এ মহলটি অতীতে বাংলাদেশ ধ্বংস করেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশকে মেরামত করছেন। এটা তাদের পছন্দ হয় না।

তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে পারেন না। তাকিয়ে থাকেন বিদেশিদের কাছে নালিশ করতে। নিষেধাজ্ঞা, নিষেধাজ্ঞা বলে চাতকের মতো অপেক্ষা করেন। এই বুঝি নিষেধাজ্ঞা এলো। শেখ হাসিনা চলে গেল। এ কটু কথা কত যে শুনলাম। অবশেষে কি নিষেধাজ্ঞা এলো? ভিসানীতি। এতে সরকারের কিছুই হলো না। ভিসানীতি নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা হওয়ার কারণ নেই। কোনো নিষেধাজ্ঞায় নির্বাচন বন্ধ হবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, শত্রু নেই। বিদেশে বঙ্গবন্ধুর কোনো প্রভু ছিল না, শেখ হাসিনারও নেই। সহযোগিতা করার মতো বন্ধু আমাদের আছে। একাত্তরে বন্ধু দরকার ছিল, সে বন্ধু আমরা পেয়েছি। যারা শত্রুতা করার তারা করেছে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য আমরা পূরণ করতে পেরেছি। বাধা দিয়ে কিছুই করতে পারেনি। বিএনপি ভিসানীতি নিয়ে নাটক সাজাচ্ছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ভিসানীতিতে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করার জন্য কেউ যেন বাধা না দিতে পারে সেজন্য।

গাজীপুরের নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেখানে আমরা হেরে গেছি, কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, এরা নষ্ট, অসুস্থ রাজনীতি করে। এ অপশক্তির হাতে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, কোনোদিনই নিরাপদ নয়। এদের হাতে বাংলাদেশকে আমরা তুলে দিতে পারি না। এরা আসবে মানে গণতন্ত্র শেষ। এরা আসবে মানে আবার ভোট চুরি। এরা আসবে মানে আবার হাওয়া ভবন। এরা আসবে, বাংলাদেশ দুর্নীতিতে আবার চ্যাম্পিয়ন।

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের চীন এবং আসন্ন ভারত সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এগুলো পার্টি টু পার্টি কন্টাক্ট। এসব বৈঠকে অনেক কিছু আলোচনা হতে পারে। রাজনীতি নিয়ে, পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্নভাবে মতবিনিয়ম হতে পারে। পিপল টু পিপল কন্টাক্টকে সুদৃঢ় করার জন্য এ পার্টি টু পার্টি কন্টাক্ট।

সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

;

চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর করার দাবি রওশন এরশাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, চাকরির বয়সের সীমা ৩৫ বছর করা এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন, পৃথিবীর ১৬২টি দেশে চাকরির আবেদনের সময়সীমা ৩৫ থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত। বয়সই বড় কথা নয় যোগ্যতাই বড় কথা। এই সময়সীমা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। লেখাপড়া শেষ করতেই ২৮ বছর অতিবাহিত হয়ে যায়, কত কষ্টে লেখাপড়া করে চাকরি না পেয়ে ৩০ বছর চলে যাওয়ার পর মনের দুঃখে হতাশ হয়ে সার্টিফিকেট জালিয়ে ফেলে দেয় যা অত্যন্ত দুঃখের এবং আমাদের অন্তরাত্মাকে স্পর্শ করে।

বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, এই সরকারের আমলে শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষার হার বেড়েছে। ছেলে মেয়েদের চাকরি হয়েছে কিন্তু বেকারত্ব আরও হু হু করে বেড়ে চলেছে। এই বেকারত্ব দূর করতে হলে শিক্ষার্থীদের গতানুগতিক ধারায় শিক্ষিত করলে চলবে না। কারিগরি শিক্ষার ওপর সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে। শুধুমাত্র প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা কোর্স দিয়ে শিক্ষিত করলে হবে না। কারিগরি শিক্ষার জন্য উচ্চতর শিক্ষারদ্বার উন্মোচন করতে হবে। প্রতিটি সরকারি বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অবিলম্বে কারিগরি শিক্ষার বিষয়গুলো চালু করা হোক।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে বিবেচনা করা যায় না। কারণ একটি বিসিএস পরীক্ষায় মাত্র ৪ থেকে ৫ হাজার ছেলে-মেয়েদের চাকরি হয়। দেশে বেকার যুবকদের সংখ্যা আছে ২৬ লক্ষের ওপরে। তাদের কথা বিবেচনা করে তাদেরকে অবশ্যই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

;

গণতান্ত্রিক চর্চায় বাধাদানকারীদের ছবি তুলে রাখুন: আমির খসরু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

গণতান্ত্রিক চর্চায় বাধাদানকারীদের ছবি তুলে নাম লিখে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এই প্রবীণ নেতা বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্য বা আওয়ামী লীগের কেউ যদি গণতান্ত্রিক চর্চায় সভা-সমাবেশে বাধা দেয় বা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তাহলে তাদের ছবি তুলে নাম লিখে রাখুন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দেশেও হবে, বিদেশেও হবে। এদের ভিসা বাতিল করা হবে। শুধু আমেরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় তা কিন্তু নয় আমরাও গণতান্ত্রিক চর্চায় বাধাদানকারীদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিব।

রোববার (২৮ মে) বিকাল সাড়ে ৫টায় ময়মনসিংহ নগরীর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট মাঠে ময়মনসিংহ উত্তর-দক্ষিণ ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে আওয়ামীলীগ ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন আওয়ামী লীগ চালায় কিছু অসাধু পুলিশ, আওয়ামী মার্কা কর্মকর্তা এবং কিছু দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ। বর্তমানে রেজিম তৈরি করে আওয়ামী লীগ দেশ চালাচ্ছে। এটা কোন সরকার নয়। আগামীদিনে আওয়ামী লীগের পরাজয় সুনিশ্চিত। এই অবস্থায় জুলুম অত্যাচার যত বাড়বে, বিএনপির আন্দোলন তত বেগবান হবে।

বর্তমানে সারাবিশ্ব বাংলাদেশের নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতিসংঘ, বিশ্ববিবেক, ইউনিসেফসহ সকল ধরনের সংগঠন বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে। ভিসা নিষেধাজ্ঞা সাধারণত কোন দেশের নির্বাচনের পরে দেওয়া হয়। কিন্তু এবার বাংলাদেশের নির্বাচনের সাত মাস আগে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞায় আওয়ামী লীগের খবর হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

এ সময় বিদেশিদের কাছ থেকে আওয়ামী লীগ তিনটি চপেটাঘাত খেয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এক নম্বরে র‌্যাব কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা, দুই হল- বিশ্ব গণতান্ত্রিক সম্মেলনে বিশ্বের ১০৭টি দেশকে দাওয়াত দেওয়া হলেও বাংলাদেশকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তৃতীয় হল- ভিসা নিষেধাজ্ঞা। এটা বাংলাদেশের জন্য লজ্জার। এতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।

জনসভায় মহানগর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও বক্তব্য রাখবেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন ও শরীফুল আলম।

;

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রক্রিয়াতে বাধা দিচ্ছে বিএনপি: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের বারবার ক্ষতি করেছে, আর তা মেরামত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষতি করতে চাইছে।’

রোববার (২৮ মে) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের এক যৌথ সভায় ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সাথে এই যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কেরানীগঞ্জ এবং খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপি অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপানোর নাটক করেছে। এসবের মধ্য দিয়ে তারা ভুল বার্তা দিচ্ছে। তবে নেতাকর্মীদের বলব আপনারা শান্তভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করুন। আমরা আগ বাড়িয়ে কিছু করব না। তবে কোনো হামলা হলে ছাড় দেয়া হবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো নিষেধাজ্ঞায় নির্বাচন বন্ধ হবে না। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই, বিদেশিরা আমাদের বন্ধু, প্রভু নয়। বিএনপি অসুস্থ রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিএনপির পরাজয় হবে।

তিনি বলেন, দেশের সংবিধানে যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপার উল্লেখ নেই, তাই এ বিষয়ে কথা বললে বিএনপি ভিসা নীতিতে আক্রান্ত হবে। এখন যারা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদের ব্যাপারে আমেরিকার পদক্ষেপ কী হবে, সেটা দেখার বিষয়। আওয়ামী লীগ অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, কিন্তু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নোংরা ও নষ্ট রাজনীতি করে বিএনপি। এদের কাছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। তাই শপথ নিতে হবে জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক এই অপশক্তি বিএনপিকে প্রতিহত করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছেন শেখ হাসিনা। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রক্রিয়াতে আছি। আর বাধা দিচ্ছে বিএনপি। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিপরীত পথে হাঁটছে বিএনপি। তাই ভিসা নীতির কারণে তারাই চাপে রয়েছে। বিএনপির বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আমাদের শান্তি সমাবেশ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসবের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার গল্প সারা দুনিয়া থেকেই আমরা শুনছি। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, আমি ও আমার পরিবার শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করি। তিনি আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা।

ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;