খুলনায় বিএনপির মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ-গুলি, আহত ৩০

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পূর্বনির্ধারিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (১৯ মে) বিকালে খুলনা মহানগরীর প্রেসক্লাবের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন দাবি করেছেন, পুলিশের হামলায় তাদের দলের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।মুজিবুর রহমান ও জাহিদুল রহমানসহ দলের বেশ কয়েকজন সদস্যও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, আহতদের শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শফিকুল ইসলাম তুহিন অভিযোগ করেন, কোনো উসকানি ছাড়াই সমাবেশে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়, লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকালে প্রেসক্লাবের সামনে সরকারের পদত্যাগ, ভুয়া মামলা বন্ধ, গণগ্রেপ্তার এবং সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবি জানাতে একটি সমাবেশের নির্ধারিত সময় ছিল। জেলা ও নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা দুপুর থেকেই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। পুলিশ সমাবেশস্থলের দিকে অগ্রসর হওয়া মিছিলে বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের দলের প্রায় ২০-২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলাল, অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ ২৫-৩০ নেতাকর্মী প্রেস ক্লাবের মধ্যে আটকা পড়েছেন। প্রেসক্লাবের বাইরে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ অস্বীকার করে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, অনুমতি ছাড়াই সমাবেশের চেষ্টা করছিল বিএনপি। তারাই পুলিশের ওপর হামলা করেছে।

এ ব্যাপারে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (সাউথ) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, খুলনা প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রোগ্রাম, অথচ কিছু নেতাকর্মী রাস্তা বন্ধ করে প্রোগ্রাম শুরু করে। কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আমরা বাধ্য হয়ে টিয়ারসেল এবং গ্যাসগান নিক্ষেপ করি।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমরা ১০ জনকে আটক করেছি। আমাদের বেশ কিছু সদস্য আহত হয়েছেন।

ওসি আরও বলেন, কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।