নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরায় জাগ্রত আওয়ামী লীগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
কোন্দল মিটিয়ে এক মঞ্চে সবাই, ছবি: সংগৃহীত

কোন্দল মিটিয়ে এক মঞ্চে সবাই, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় জাগ্রত আওয়ামী লীগ। নৌকার পক্ষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন দলের সবাই। দলীয় কোন্দলও অনেকটা মিটে গেছে। একই মঞ্চে একই সুরে গাইছেন নৌকার গান। কিছুদিন আগেও যে নেতারা একে অন্যের মুখ দেখতেন না তারাও এখন নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার লক্ষ্যে এক সঙ্গে মাঠে নেমেছেন।

সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা-১(তালা-কলারোয়া) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলে ভেঙে পড়েছিল দলটির চেইন অব কমান্ড। কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল বেশ কয়েক বছর ধরে।

৯ ডিসেম্বরের পর সে দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে। এখন এ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লালটুর মধ্যে আর কোন দ্বন্দ্ব নেই। নৌকার মঞ্চে তারা একই সাথে কাজ করছেন কোমর বেঁধে। একই অবস্থা তালা উপজেলা আওয়ামী লীগেও। তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নূরুল ইসলাম ছিলেন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে মিশে দলকে করেছেন শক্তিশালী। এ জন্য তিনি আশাবাদী ছিলেন মনোনয়ন পাবার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন তালিকা থেকে ছিটকে পড়েন। তালা-কলারোয়া আসনে নৌকার টিকিট পান ওয়ার্কার্স পার্টির এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। মুস্তফা লুৎফুল্লাহ নৌকার টিকিট পাবার পর তালা উপজেলার সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ নূরুল ইসলাম, বিশ্বজিৎ সাধু ও শেখ নূরুল ইসলামের সমর্থকরা আওয়ামী লীগের যেকোনো একজনকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি। এতে করে মহাজোটের শরীক ওয়ার্কার্স পার্টির সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্কে ফাটল ধরে। বর্তমানে সে ফাটল আর নেই। এখন সবাই নৌকার পক্ষে।

এদিকে, সাতক্ষীরা সদর আসনেও আওয়ামী লীগের অন্ত:দ্বন্দ্বের লক্ষণ প্রকাশ্যে রূপ নিয়ে একপক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে আসছিল। গত রমজান মাসে জেলা প্রশাসনের সৌজন্যে ইফতার পার্টিতেও কেউ কারো মুখ দেখেননি নেতারা।

গত শারদীয়া দুর্গোৎসবের সম্প্রীতির সেতুবন্ধনেও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে বসেন এক জনপ্রতিনিধি। জেলার সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। আওয়ামী দুই পক্ষের মধ্যে অসহনীয় আচরণ ফুটে ওঠে। এর আগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় সাতক্ষীরা নিউমার্কেটের সামনে এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি গ্রুপের সাথে সংঘর্ষ হয় জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মান্না গ্রুপের। তাতে যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নান বেশ কিছুদিন জেলও খেটেছেন। বর্তমানে সে অবস্থার অবসান হয়েছে। এখন সব নেতাই উঠছেন একই মঞ্চে। চাচ্ছেন নৌকা প্রতীকে ভোট। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদ নেই। জেগে উঠেছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও।

সাতক্ষীরা-৩ আসনে আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম ও সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার পর এ দুই নেতার কর্মী সমর্থকদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে নেতাকর্মীরা। বর্তমানে সে পরিস্থতি আর নেই। এখন সবাই দন্দ ভুলে একসাথে নৌকা প্রতীক বিজয়ী করতে কোমরবেঁধে মাঠে নেমেছেন।

সাতক্ষীরা-৪ আসনে শ্যামনগর উপজেলায় কয়েক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে নেতা কর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আতাউল হক দোলন মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও তিনি নৌকার পক্ষে মাঠে নেমেছেন শুরু থেকেই। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি এসএম জগলুল হায়দার সকলের সাথে নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে নৌকা বিজয়ে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগে কোন বিভেদ নেই। নৌকার পক্ষেই সবাই মাঠে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন। শান্তি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য নৌকা বিজয় নিশ্চিত করতে এখন জাগ্রত আওয়ামী লীগ।

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ বলেন, জেলা আওয়ামী লীগে সামান্য রেষারেষি থাকলেও এখন আর তা নেই। সবাই এখন নৌকার কর্মী। নৌকা জিতলে আওয়ামী থাকবে। তা না হলে বিএনপি জামায়াত রক্তে রঞ্জিত করবে সাতক্ষীরার শ্যামল মাটি। তাই সবাই নৌকার জন্য একসাথে মাঠে নেমেছি। এতে নেতাকর্মীরা জেগে উঠেছে।

   

সরকার অসাধু কালোবাজারি সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি: ইরান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকার চরম ব্যর্থ বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, সরকার অসাধু কালোবাজারি ও মুনাফাখোর সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।

বুধবার (২২ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বাংলাদেশ লেবার পার্টি ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. ইরান বলেন, সরকার দলীয় লুটেরা সিন্ডিকেট চক্র দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণ চোখে সরষে ফুল দেখছে। চাল-ডাল-তেল-চিনিসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির অবস্থা শোচনীয়। গাড়িভাড়া, বাড়িভাড়া বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবন হাঁসফাঁস করছে। সরকার দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারে সফল হলেও দেশের জনগণের দুর্ভোগ, দুর্দশা নিয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় সরকারের কাছে জনগণের স্বার্থ উপেক্ষিত বলে মন্তব্য করে ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, সরকার ১০ টাকায় চাল, বিনামূল্যে সার এবং ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ক্ষমতা দখল করে সব ওয়াদা বেমালুম ভুলে গেছে। জনদুর্ভোগ সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তকে পঙ্গু করে দিয়েছে। সরকারের এমপি-মন্ত্রী, আমলা ও দলীয় নেতাকর্মীরা দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচার করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস্তুপে পরিণত করেছে। জনগণ আওয়ামী দুঃশাসন ও লুটপাট থেকে বাঁচতে চায়।

মহানগর লেবার পার্টির সভাপতি এস এম ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব আবদুর রহমান খোকন, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, মোহাম্মদ রুম্মান সিকদার, অর্থ সম্পাদক রাসেল সিকদার লিটন, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন ও প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

;

‘অভিমান কাটাতে’ ১৪-দলের সঙ্গে বসছেন প্রধানমন্ত্রী



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠাকল্পে ২০০৫ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠন হয় ১৪-দলীয় জোট। তবে টানা ক্ষমতায় থাকার ফলে জোট-শরিকদের অবহেলা ও অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ নেতাদের অনেকের। সে ‘অভিমান কাটাতে’ বৈঠক ডেকেছেন জোটনেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামী বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে হবে এ বৈঠক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪-দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু।

১৪-দলীয় জোটের কোন বৈঠক না হওয়া ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিকদের পরাজিত হওয়ার ফলে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দেয় দলগুলোর নেতাদের মধ্যে। তবে সে ক্ষোভ ও হতাশা কাটাতে জোটপ্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে বার বার দেখা করার চেষ্টা করে শরিকরা। অবশেষে সে সাক্ষাৎ পেয়ে সবার দৃষ্টি এখন প্রধানমন্ত্রীর দিকে।

বৈঠক বিষয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগামী ২৩ মে প্রধানমন্ত্রী আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমরা সেখানে যাবো, সেখানে জোট নেত্রী কী বলেন, কী প্রস্তাব দেন সেটা আমরা শুনবো। পরবর্তীতে আমরা দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেবো।

বৈঠকের বিষয়ে জোট নেতারা প্রকাশ্যে কিছু বলতে না চাইলেও একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, জাতীয় নির্বাচনের পরে যেহেতু এটাই প্রথম বৈঠক তাই সেখানে আলোচনা করা হতে পারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে জোটকে অবমূল্যায়ন করা বিষয়েও হতে পারে আলোচনা। আলোচনা হতে পারে রাজনীতির মাঠে জোটকে সক্রিয় করার প্রসঙ্গেও।

জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে শরিকদের ভোটে ফলাফল বিপর্যয়ে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দেয়। যেখানে তিনটি দলকে মাত্র ৬টি আসনে ছাড় দেয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। যার ৪টিতেই পরাজিত হন আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে। বাকি দুটি আসনে স্বল্প ভোটে জয়ী হন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পর আশা ছিলো সংরক্ষিত আসন ও মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া নিয়ে। সে আশাও পূরণ হয়নি জোট নেতাদের। সংরক্ষিত আসনে একটি আসন পেলেও মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি কেউ।

এর আগে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আসন সমঝোতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ প্রত্যাশা করেছিলেন শরিকরা। তবে সাক্ষাৎ করতে পারেননি তারা। পরে দ্বাদশ সংসদে পরাজিত হওয়ার পর আবারও সাক্ষাৎ প্রত্যাশা করে আসছিলেন শরিক দলের নেতারা। অবশেষে সাক্ষাৎ পেয়ে জোট নেত্রীর নির্দেশনার অপেক্ষায় তারা।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী ও ১২-দলীয় জোটনেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শরিকদের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রতি দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে। সেই সাথে ১৪-দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, দলের উপদেষ্টামণ্ডলী ও সভাপতিমণ্ডলীর কয়েকজন সদস্যকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বৈঠকে জোটনেত্রীর সঙ্গে কী বিষয়ে আলোচনা করবেন জানতে চাইলে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বার্তা২৪.কমকে বলেন, সামনে ১৪-দল কীভাবে এগিয়ে যাবে, বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের আলোচনা হবে। এছাড়াও বৈঠকে আমাদের জোটনেত্রী কী প্রস্তাব দেন, কী বলেন তার ওপর ভিত্তি করে আমরা কথা বলব।

;

সাবেক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ভিসানীতির প্রয়োগ নয়: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভিসানীতির প্রয়োগ নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেটা বলেছে, বাংলাদেশ মিশনকে জেনারেল আজিজের বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে। জেনারেল আজিজের বিষয়ে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটা ভিসানীতির প্রয়োগ নয়, এটি এপ্রোপিয়েশন আইনের প্রয়োগ। যুক্তরাষ্ট্রে এপ্রোপিয়েশন একটা আইন আছে, সেটা প্রয়োগ করা হয়েছে। এটা নিয়ে আমি আর কিছু বলবো না। এটা নিয়ে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও কথা বলেছেন। আমরা এতটুকুই জানি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;

বিএনপি ও বুদ্ধিজীবীদের অপপ্রচারে ভোটার উপস্থিতি কম: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপিসহ সমমনাদের মিথ্যাচার ও নামিদামি বুদ্ধিজীবীদের অপপ্রচারে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিসহ সমমনাদের অভিরাম মিথ্যাচার মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। টিআইবির অপপ্রচার আছে। আরও কিছু নামিদামি বুদ্ধিজীবী আছেন, তারাও মিথায়চার, অপপ্রচার করে মানুষের আগ্রহ নষ্ট করেছেন ভোটের ব্যাপারে।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয় এটা বলা যাবে না। এখানে কিছু সংঘাত, প্রাণহানি ঘটে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভোটাররা কেন্দ্রে আসেননি এটা যদি বলেন, এটা তো স্থানীয় নির্বাচন, ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪২ শতাংশ। বিএনপি নেতাদের বলবো, ১৫ ফেব্রুয়ারির যে নির্বাচন তাতে বিবিসি বলেছিলো ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশন ২১ শতাংশ। আপনাদের জাতীয় নির্বাচনে ২১ শতাংশও যদি ধরি তাহলে ৩০ শতাংশ এটা কম কিসের?

তিনি আরও বলেন, আমি এই ভোটকে খুব বেশি ভাল বলবো না। বলবো মোটামুটি ভাল হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি টার্ন আউট নিয়ে আমার মনে হয় বেশি কথার বলার প্রয়োজন নেই।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;