‘অভিমান কাটাতে’ ১৪-দলের সঙ্গে বসছেন প্রধানমন্ত্রী
![ছবি: সংগৃহীত](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/May/22/1716326169591.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠাকল্পে ২০০৫ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠন হয় ১৪-দলীয় জোট। তবে টানা ক্ষমতায় থাকার ফলে জোট-শরিকদের অবহেলা ও অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ নেতাদের অনেকের। সে ‘অভিমান কাটাতে’ বৈঠক ডেকেছেন জোটনেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে হবে এ বৈঠক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪-দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু।
১৪-দলীয় জোটের কোন বৈঠক না হওয়া ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিকদের পরাজিত হওয়ার ফলে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দেয় দলগুলোর নেতাদের মধ্যে। তবে সে ক্ষোভ ও হতাশা কাটাতে জোটপ্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে বার বার দেখা করার চেষ্টা করে শরিকরা। অবশেষে সে সাক্ষাৎ পেয়ে সবার দৃষ্টি এখন প্রধানমন্ত্রীর দিকে।
বৈঠক বিষয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগামী ২৩ মে প্রধানমন্ত্রী আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমরা সেখানে যাবো, সেখানে জোট নেত্রী কী বলেন, কী প্রস্তাব দেন সেটা আমরা শুনবো। পরবর্তীতে আমরা দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেবো।
বৈঠকের বিষয়ে জোট নেতারা প্রকাশ্যে কিছু বলতে না চাইলেও একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, জাতীয় নির্বাচনের পরে যেহেতু এটাই প্রথম বৈঠক তাই সেখানে আলোচনা করা হতে পারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে জোটকে অবমূল্যায়ন করা বিষয়েও হতে পারে আলোচনা। আলোচনা হতে পারে রাজনীতির মাঠে জোটকে সক্রিয় করার প্রসঙ্গেও।
জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে শরিকদের ভোটে ফলাফল বিপর্যয়ে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দেয়। যেখানে তিনটি দলকে মাত্র ৬টি আসনে ছাড় দেয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। যার ৪টিতেই পরাজিত হন আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে। বাকি দুটি আসনে স্বল্প ভোটে জয়ী হন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পর আশা ছিলো সংরক্ষিত আসন ও মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া নিয়ে। সে আশাও পূরণ হয়নি জোট নেতাদের। সংরক্ষিত আসনে একটি আসন পেলেও মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি কেউ।
এর আগে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আসন সমঝোতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ প্রত্যাশা করেছিলেন শরিকরা। তবে সাক্ষাৎ করতে পারেননি তারা। পরে দ্বাদশ সংসদে পরাজিত হওয়ার পর আবারও সাক্ষাৎ প্রত্যাশা করে আসছিলেন শরিক দলের নেতারা। অবশেষে সাক্ষাৎ পেয়ে জোট নেত্রীর নির্দেশনার অপেক্ষায় তারা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী ও ১২-দলীয় জোটনেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শরিকদের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রতি দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে। সেই সাথে ১৪-দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, দলের উপদেষ্টামণ্ডলী ও সভাপতিমণ্ডলীর কয়েকজন সদস্যকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বৈঠকে জোটনেত্রীর সঙ্গে কী বিষয়ে আলোচনা করবেন জানতে চাইলে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বার্তা২৪.কমকে বলেন, সামনে ১৪-দল কীভাবে এগিয়ে যাবে, বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের আলোচনা হবে। এছাড়াও বৈঠকে আমাদের জোটনেত্রী কী প্রস্তাব দেন, কী বলেন তার ওপর ভিত্তি করে আমরা কথা বলব।