‘আ.লীগ সকালে আমেরিকানদের গালি দেয়, বিকেলে ফুল দেয়’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সকালে আমেরিকানদের গালি দেয়, বিকেলে ফুলের তোড়া নিয়ে হাজির হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, আমেরিকার রাষ্ট্রদূত আওয়ামী লীগের অফিসে গেছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা রাষ্ট্রদূতকে ফুলের তোড়া নিয়ে, ৩২টি দাঁত দেখিয়ে, কি খুশি। একটি দেশের রাষ্ট্রদূত গেছে, এভাবে ফুলের তোড়া দিয়ে, হাসি খুশি, মনে হয় জীবনে আর দেখেনি। বিএনপি অফিসে কত রাষ্ট্রদূত গেছে কোনোদিন দেখছেন ফুলের তোড়া নিয়ে দাঁড়াতে। আওয়ামী লীগ সকালে আমেরিকানদের গালি দেয়, বিকেলে ফুলের তোড়া নিয়ে হাজির হয়। আবার পরের দিন তারা বুঝে যায়, আমেরিকানরা তাদের গণতন্ত্র বিরোধী, মানবতাবিরোধী, ভোট চুরির বিরোধী। আবার তারা তাদের গালি দেয়।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকেলে কাজীর দেউরী নুর আহম্মেদ সড়কে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, বিএনপি নাকি বিদেশিদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলাতে দেয়। আপনারা ফুলের তোড়া নিয়ে ওখানে কি গলাতে গিয়েছিলেন? আবার বের হয়ে এসে সুখবর দিচ্ছে রাষ্ট্রদূত এটা বলেনি, ওটা বলেনি। কি আনন্দ! তাহলে কে নাক গলালো? ফুলের তোড়া নিয়ে নাক গলাতে হয়? এই হচ্ছে আপনাদের দূরাবস্থা।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানকে কিছু করতে পারেননি, তাই জোবাইদা রহমানের পেছনে লেগেছেন। এখন কি অপেক্ষায় শুধু জাইমা রহমান? এবার জাইমা রহমানকে নিয়ে সরকার কি উঠে পড়ে লাগবে? বাংলাদেশের মানুষ তাদের অনুপস্থিতে আপনার বিদায়ের ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার জনগণের কাছে পরাজিত হয়ে বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টা করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের লড়াইকে বন্ধ করার চেষ্টা করছে। আগামী দিনগুলোতে আপনাদের জন্য কঠিন সময় আসছে। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। আপনাকে যেতে হবে। আপনি থাকতে পারবেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি একটি অংশকে ব্যবহার করে থাকতে পারবেন না। ঢাকায় ২৮ জুলাই ১৫ থেকে ২০ লাখ মানুষ সমাবেশ করে একটি বার্তা দিয়েছে শেখ হাসিনা বিদায় হও।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, জোবাইদা রহমান ও জাইমা রহমান এদের পথ রুখে দাঁড়াবার কোনো শক্তি বাংলাদেশে কারও নেই। বিচার বিভাগের নেই, আওয়ামী লীগের নেই। আওয়ামী লীগ যে রাজনৈতিক দল নয়, এরা যে জনগণের ওপর নির্ভরশীল নয়, এরা জনগণের ওপর বিশ্বাস করে না। এরা নির্ভরশীল বিচার বিভাগের ওপর, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু লোকের ওপর আর কিছু লুটেরা ব্যবসায়ীর ওপর।

আমীর খসরু বলেন, আপনারা কিভাবে যাবেন ঠিক করেন। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে যাবেন নাকি জনগণ আপনাদের বিতাড়িত করবে। আমরা কাউকে বিতাড়িত করার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে বিশ্বাস করি। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের ভোটের নির্বাচিত সংসদ ও নির্বাচন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী।