সরকার জাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিচ্ছে: ফখরুল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

 

বর্তমান সরকার জাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরবঙ্গ ছাত্র ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের ১৬তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মহাসচিব বলেন, এই সরকার রাষ্ট্রকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলছে। সরকারকে পরাজিত করে জনগণের একটি সরকারকে নিয়ে আসতে হবে। যদি আমরা না করতে পারি তাহলে তারেক রহমানকে আমরা দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো না। খালেদা জিয়া অত্যন্ত চরম অসুস্থ। ডাক্তার বলেছে ওনাকে দেশের বাহিরে নিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য। কিন্তু এই সরকার অনুমতি দিচ্ছে না। তাকে সরকার গৃহবন্দী করে রেখেছে।

বিজ্ঞাপন

মহাসচিব আরো বলেন,এই সরকার একেবারেই জনগণের মেন্ডেট ছাড়া সরকার। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের যে অর্জনগুলো ছিল সেগুলো কেড়ে নেওয়া, তা তারা নিয়েছে। কিছুদিন আগে আমরা যে এক দফা দাবি দিলাম সেই দাবিতে বলা হয়েছিল যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের পদত্যাগ চাই। তিনি তখন জোড়ে সোরে বললেন পদত্যাগ করতে হবে কেন? আমার কি অপরাধ? অপরাধ আপনার অনেক, সেটা বেহিসাবি। একটা অপরাধ বলতে চাই, সেটা হচ্ছে, আপনি দেশের আত্মাকে হত্যা করেছেন।

তিনি আরো বলেন, এই ভয়াবহ সরকারকে অবশ্যই দমন করতে হবে এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে সামনের দিকে এগিয়ে যাই। জীবনকে বাজি রেখে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে বিজয় অর্জন করতে হবে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা যা অর্জন করেছি সেখানে তরুণদের অবদান সবচাইতে বেশি ছিল। সেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত তরুণদের অবদান ছিল অনস্বীকার্য।

বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও আরো বক্তব্য দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী বলেন, তারেক রহমান দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক অপশক্তির লক্ষ্যবস্তু ছিল। তারা চেষ্টা করেছে সেদিন তারেক রহমানকে কিভাবে স্তব্ধ করা যায়। তারা এই দেশের যে জাতীয়তাবাদী শক্তি রয়েছে সেটিকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছে। আমরা যারা নেতা; প্রতিদিন আমাদেরকে কোর্টে যেতে হচ্ছে এবং আমাদের বিচার খুব দ্রুতগতিতে করার চেষ্টা করছে। এটা ২০০৭ সাল থেকে শুরু হয়েছে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক,বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টারমীর হিলাল উদ্দিন প্রমুখ।