এই সরকার কোনো নির্বাচনে জনগণকে ভোট দিতে দেয়নি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দু-দুটো জাতীয় নির্বাচন করেছে, কিন্তু একটা নির্বাচনেও তারা জনগণকে ভোট দিতে দেয়নি। সেজন্য আমরা পরিষ্কার করে বলছি, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য র্যালীতে তিনি এসবকথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা বড় অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে। আজকে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। আজকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষদেরকে মিথ্যা এবং গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসার পরে যে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেখানে যে কথাগুলো স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে সেটার জন্য দায়ী বর্তমান সরকার। এই আওয়ামী সরকার দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কথাবার্তা বলে দেশকে ভয়াবহতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সামনে নির্বাচন আসছে, আমরা একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আমরা চাই যেন সবাই ভোট দিতে পারে এবং সবার মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পারে। এই সরকার পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। চাল-ডাল হতে শুরু করে পারিবারিক সকল জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, জ্বালানির দাম বেড়েছে। সরকার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না কারণ তারা তো জনগণের সেবা করতে ক্ষমতায় আসেনি।তারা লুটপাট করতে এসেছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, মহিলা দলের ঢাকার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেরা খাতুন প্রমুখ।