খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় চট্টগ্রামে দোয়া মাহফিল
চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাদ জুমা নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন ।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছেন গণতন্ত্রের বাতিঘর। তিনি বেরিয়ে এলে গণতন্ত্রের সংগ্রামের জন্য লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসবে। সেজন্যই তাঁকে আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি আজ গুরুতর অসুস্থ। তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার এখন প্রয়োজন বিদেশে উন্নত চিকিৎসা। চিকিৎসকরা পরিষ্কার করে বলেছেন, আমরা যা কিছু করা সম্ভব তা করেছি। আমাদের কাছে সেই উন্নত প্রযুক্তি নেই যা দিয়ে দেশে বেগম খালেদা জিয়াকে পরবর্তী চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে। অতি দ্রুত বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য উন্নত দেশ আমেরিকা, যুক্তরাজ্য বা জার্মানিতে না পাঠালে তাঁর জীবন রক্ষা করা মুশকিল হয়ে যাবে। অথচ সরকার তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের অস্তিত্বকে বিলীন করার ষড়যন্ত্র করছে।
এসময় তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে পরিপূর্ণ মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এই উপ মহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তিনি এই দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন। সে জন্য আজ সারা দেশের মানুষ তাঁর পরিপূর্ণ মুক্তি চায়, সুচিকিৎসা চায়। বেগম খালেদা জিয়া আর বাংলাদেশের গণতন্ত্র একাকার। তাকে গৃহবন্দি করে দেশে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছে
দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমাৎসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের জন্য দোয়া করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মোঃ শাহ আলম, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, হাজী মোঃ আলী, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন প্রমুখ।