‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন ৫ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে’
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর আবেদন গত ৫ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে। কিন্তু তাতে সাড়া না দিয়ে এখন তার পরিবারকে আদালতে যাওয়ার কথা বলা সরকার সময়ক্ষেপণ ছাড়া কিছু নয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিমকোর্টে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আবেদনের পরও খালেদা জিয়ার পরিবারকে আদালতে যাওয়ার কথা বলা জাতিকে বিভ্রান্ত করার কৈৗশল বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কেন্দার একটি আবেদন করেছেন। সেই আবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক গৃহীত হয়েছে সে মর্মে একটি সিল দেওয়া আছে।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সেই আবেদনে স্পষ্টভাবে লেখা আছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের অনুরোধ সেই আবেদনে উল্লেখ করা আছে।
এর আগে রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর আবেদন আগেই করা আছে; নতুন করে আবেদন চাওয়াটা অমানবিক।
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা এবং মেডিকেল বোর্ড বলেছেন খালেদা জিয়ার যে সমস্যায় ভুগছেন তার চিকিৎসা দেশে সম্ভব না। অতএব খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশের বাইরে করাতে হবে এটা আবেদন করার ওপর নির্ভর করছে না। এটা এখন সময় এবং জনগণের দাবি। তার জীবন রক্ষার জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
এর আগে শুক্রবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত তার কাছে কোনো আবেদন আসেনি। আবেদন করলে খালেদা জিয়ার বিষয়টি দেখা যাবে বলেও জানান তিনি।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। কারাগার থেকে বেরোনোর পর চিকিৎসার জন্য কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।