'যেখানে বাধা, সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত করতে হবে

আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত করতে হবে

  • Font increase
  • Font Decrease

শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেব না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।

তিনি বলেন, তারা (সরকার) আবারো বিগত নির্বাচনের মত আরেকটি নির্বাচনের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেব না। আগামী নির্বাচন হতে হবে নিরপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। আগামী ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ রোডমার্চ কর্মসূচিতে সরকার যদি বাধা দেয় তাহলে যেখানে বাধা, সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে আগামী ২ অক্টোবর ঢাকায় কৃষক দলের মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কৃষক দলের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এড. রবিউল হাসান পলাশ ও মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক মোঃ আলমগীরের পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান। 

এসময় মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, বিএনপি'র প্রতিটি কর্মসূচিতে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হচ্ছে। জনগণ যেভাবে রাস্তায় নেমেছে এই সরকারকে বিদায় নিতেই হবে। আর যারা ভোট চুরি, গুম, খুন ও মিথ্যা মামলার সাথে জড়িত ছিল জনগণ তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত জনগণ প্রয়োজনে দিনের পর দিন রাজপথে বসে থাকবে। তাই বর্তমান অবৈধ সরকারের মন্ত্রীরা এখন ভয়ের মধ্যে আছে। কখন না জানি কী হয়ে যায়। সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা আবোল তাবোল কথা বলছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কথা বললে লুটপাটে ব্যস্ত আওয়ামী সরকার সংবিধানের দোহায় দিচ্ছে। 

তিনি বলেন, ইতিপূর্বে বিএনপি ও জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু কর্তৃত্ববাদী সরকার এতে কোনো কর্ণপাত করেনি। এমনকি খালেদা জিয়ার পরিবারের লিখিত আবেদনেরও কোনো গুরুত্ব দেয়া হয়নি। প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আইনের অপব্যাখ্যা দিয়ে বারবার তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সরকারের নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে বয়স্ক এই নারী উন্নত চিকিৎসার অভাবে আজ মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ এক সময় অনেক লম্বা লম্বা কথা বলত। কিন্তু এখন তাদের সুর নরম হয়ে এসেছে। কয়েকদিন আগেও প্রধানমন্ত্রী বলেছিল আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় যাব না। কিন্তু তিনি এখন আমেরিকায় গিয়ে বসে আছেন। আমেরিকায় গিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, আমার ছেলের টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে তো কি হয়েছে? কিন্তু এখন সে টাকা উদ্ধার করার জন্য তদবির করছেন। কিন্তু কোনো তদবিরে কাজ হবে না। বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, এ সরকারকে তারা আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ৯৪ সালে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে ১৭৩ দিন হরতাল করে দেশে অগ্নি সন্ত্রাস করেছিল। আর এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বললে তাদের গায়ে চুলকানি আসে। এখন শেখ হাসিনার যেনতেন প্রকারে আরেকটি নির্বাচন করে ৫ বারের প্রধানমন্ত্রী হবার খায়েশ জেগেছে। কিন্তু দেশের জনগণ সেটা হতে দিবে না। 

সভাপতির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, আওয়ামী লীগের এখন শেষ সময়। তাদের পৃথিবীর ছোট হয়ে এসেছে। তারা লাগাতর অন্যায় অত্যাচারের একটা হিমালয় পাহাড় তৈরি করেছে। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। শত শত নেতাকর্মীদের গুম করেছে। এসবের বিচার হবে। সময় কিন্তু এসে গেছে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডাররা এখন শেখ হাসিনাকে বুদ্ধি দিচ্ছে, আমরা বিএনপিকে ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করে দেব। আপনি শুধু বিদেশীদের সামলান। তাই শেখ হাসিনা এখন শুধু বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হাতে পায়ে ধরে আরেক বার ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। 

 

   

নরসিংদীর ৫ আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: আওয়ামী লীগ পদপ্রার্থী

ছবি: আওয়ামী লীগ পদপ্রার্থী

  • Font increase
  • Font Decrease

 

নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলার ৭১ টি ইউনিয়ন ও ৬টি পৌরসভা নিয়ে ৫ আসনে সংসদ নির্বাচন হয়ে থাকে। অন্যান্য সময়ের মতো এবারও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ৫টি আসনেই হতে যাচ্ছে। এ বছর ৫টি আসনে সরকার দলীয় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি প্রতিটি আসনে একজন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া নতুন কয়েকটি দলের প্রার্থীসহ মোট ৪৩জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তারা হলেন- নরসিংদী-১ (নরসিংদী সদর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বীর প্রতিক(আওয়ামী লীগ), জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো: ওমর ফারুক ভূইয়া (জাতীয় পার্টি), মো: ছবির মিয়া (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), আওলাদ হোসেন মোল্লা (জাকের পার্টি), নরসিংদীর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেরা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো: কামরুজ্জামান কামরুল (স্বতন্ত্র), শাজাহান মিয়া(বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), মো: ইকবাল হোসেন ভূইয়া, (বাংলাদেশ কংগ্রেস), মো: আক্তারুজ্জামান (স্বতন্ত্র), মো: জাকারিয়া (স্বতন্ত্র), মো: জলিল সরকার (তৃনমূল বিএনপি)।

নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনে মোট মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৭জন প্রার্থী। এরা হলেন, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য ও পলাশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা: আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ (আওয়ামী লীগ), এ এন এম রফিকুল আলম সেলিম (জাতীয় পার্টি), জায়েদুল কবীর (জাসদ), পাঁচদোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচদোনা স্যার কেজিগুপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মাসুম বিল্লাহ (স্বতন্ত্র), সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক আলতামাশ কবির মিশু (স্বতন্ত্র), পলাশ উপজেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী আফরোজা সুলতানা ওরফে আফরোজা দিলীপ (স্বতন্ত্র) এবং সাবেক এমপি কামরুল আশরাফ খান পোটন (স্বতন্ত্র)।

নরসিংদী-৩(শিবপুর) আসনে মোট মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১০জন প্রার্থী এরা হলেন- সাবেক এমপি মরহুম কিরন খান এর ছেলে ফজলে রাব্বি খান (আওয়ামী লীগ), এ এস এম জাহাঙ্গীর পাঠান (জাতীয় পার্টি), সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা (স্বতন্ত্র), মুহাম্মদ নুরুজ্জামান (ইসলামী ঐক্যজোট), মো: মাসুম মৃধা (স্বতন্ত্র), সুশান্ত চন্দ্র বর্মন (তৃণমূল বিএনপি), মিরানা জাফরিন চৌধুরী (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), শিবপুর উপজেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী ফেরদৌসী ইসলাম ওরফে ফেরদৌস সিরাজ মোল্লা, (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান(গণফোরাম) ও ডা: মো: আলতাফ হোসেন (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি)।

নরসিংদী-৪ (বেলাব-মনোহরদী) আসনে মোট মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৬জন প্রার্থী। এরা হলেন- বর্তমান শিল্পমন্ত্রী এড. নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, (আওয়ামী লীগ), মো: কামাল উদ্দিন (জাতীয় পার্টি), মো: ফয়সাল মিয়া (জাকের পার্টি), এমদাদুল হক ভুলন (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট), মো: হারুন অর রশিদ (বাংলাদেশ কংগ্রেস) ও মনোহরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: সাইফুল ইসলাম খান বীরু (স্বতন্ত্র)।

জেলার সর্ববৃহৎ ২৪টি ইউনিয়ন ও চরাঞ্চল নিয়ে নরসিংদী-৫ রায়পুরা আসন। এ আসনে এবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১০ জন প্রার্থী। এরা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য রাজি উদ্দিন আহমেদ (আওয়ামী লীগ), মো: শহীদুল ইসলাম (জাতীয় পার্টি), মো: নাজমুল হক শিকদার (গণফ্রন্ট), আলহাজ্ব মুফতি আব্দুল কাদের মোল্লা (ইসলামী ঐক্যজোট বাংলাদেশ), বিল্লাল মিয়া (জাকের পার্টি), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মমতাজ মহল (বাংলাদেশ কংগ্রেস), মো: সোলায়মান খন্দকার (স্বতন্ত্র), মো: মাহফুজুর রহমান (জাসদ) এবং মো: বিটু মিয়া (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট প্রন্ট)।



;

তালাবদ্ধ বিএনপি কার্যালয় থেকে ইসির চিঠি সরালো কে?



রাজু আহম্মেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষের পর থেকেই নেতাকর্মী শূন্য হয়ে পড়ে বিএনপি কার্যালয়। সে সময় একে একে গ্রেফতার হতে থাকে দলের শীর্ষ নেতারা, দলীয় কার্যক্রম থেকে ছিটকে গিয়ে নেতাকর্মী শূন্য হয়ে পড়ে দলটির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। বিএনপির সেই সংকটপূর্ণ সময়ে সংলাপের চিঠি পাঠানো হয় ইসি পক্ষ থেকে।

গত (২ নভেম্বর) ইসির চিঠি নিয়ে আসা ব্যক্তি বিএনপির গুলশান কার্যালয় ঘুরে কাউকে না পেয়ে শেষে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালাবদ্ধ গেটের ফাঁকা অংশ দিয়ে রেখে যান সংলাপের চিঠি।

এরপর দীর্ঘদিন বন্দি দশায় ধুলোবালিতে পড়ে থাকলেও কদিন থেকেই সেখানে দেখা যাচ্ছে না বিএনপিকে দেওয়া ইসির সংলাপের সেই চিঠিটি। বর্তমানে চিঠির জায়গায় হঠাৎ দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু দৈনিক পত্রিকা।

প্রশ্ন উঠেছে প্রায় একমাস ভয়ে বিএনপি নেতা কর্মীরা তো যাচ্ছেনা সেখানে। তাহলে চিঠি সরালো কে, কেউ না সরালো হঠাৎ ইসির চিঠি গেলো কোথায়? নাকি রাতের আধারে বা চুপি সারে বিএনপি নেতাদের কেউ নিয়ে গেছে সেই চিঠি?

এ বিষয়ে খোঁজ নিতে বেশ কিছু বিএনপি নেতা কর্মীর সাথে কথা বলেছে বার্তা২৪.কমের প্রতিবেদক।

পুলিশ নিজেই চিঠিটি সরিয়েছে অভিযোগ করে বিএনপি নেতারা বলছেন, ইসির চিঠির কোন ভিত্তি আমাদের কাছে নেই৷ এটা আমাদের সাথে তামাশা করা হয়েছে। আর চিঠি আমাদের প্রয়োজন হলে সংলাপের তারিখের আগেই আমরা নিয়ে আসতে পারতাম। যেহেতু পুলিশ সেখানে ঘাটি গেড়েছে তারা ছাড়া এটা অন্য কেউ সরানোর প্রশ্নেই আসেনা। কারণ পুলিশ সেখানে কাউকে ঘেঁষতে দিচ্ছেনা। তাদের ভাষ্যমতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও নাকি বলছেন একি কথা।

এদিকে সমাবেশে সংঘর্ষের পর থেকেই কার্যালয়টিতে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। শুরুর দিকে কার্যালয়ের আশপাশে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি কাউকে। এর মধ্যে সেখান থেকে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে। তবে পুলিশের এমন কড়া নিরাপত্তা থাকা অবস্থায় গেলো কোথায় সেই চিঠি?

এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খানের সাথে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিএনপির কেউ নিয়ে যেতে পারে। ইসির চিঠি, কে সরিয়েছে তা আমরা জানি না।

২৪ ঘণ্টা সেখানে পুলিশ থাকা সত্ত্বেও না জানার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির কার্যালয়ে আমাদের কোন হস্তক্ষেপ নেই। সেখানে যে কেউ আসতে পারে। তাদের কেউ সরাবে এ বিষয়ে আমরা তো কথা বলতে পারি না।

বিএনপি মর্যাদা দেয়নি ইসির আবেগের, তার পরিণতি ছিল চিঠির বিনা আদেশের কারাবন্দি জীবন, আর কারাবন্দি থাকাতেই অবস্থায় নিখোঁজ ইসির চিঠি। বিএনপি নেতাকর্মীরা জানেন না ইসির চিঠি গেলো কোথায়। জানেনা সেখানে ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করা পুলিশ সদস্যরা। তাহলে কি গ্রামীণ ভাষায় বিএনপির বন্ধ কার্যালয় এখন মগের মল্লুক?

;

নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কেউ থামাতে পারবে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন চলছে। কারো বাধায় কোথাও আর থামবে না। গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত এই ট্রেন চলবে। যত বাধাই দেওয়া হোক, কেউ এই ট্রেন থামাতে পারবে না, নির্বাচন হবে।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে এসেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা দল না আসলেই অংশগ্রহণমূলক হবে না এই কথা কি তারা বলেছে? সামগ্রিকভাবে একটা ফ্রি-ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল ইলেকশনের কথা তারা বলেছে। ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে এই নির্বাচনে। প্রতি সিটে ৯ জন করে প্রার্থী। তাহলে অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না এই কথা কে বলল? মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় আচরণবিধি লঙ্ঘন না করতে। আওয়ামী লীগ সে দায়িত্ব নিবে না। সেটার জন্য যদি নির্বাচন কমিশন কোন অ্যাকশন নেই সে ক্ষেত্রে আমরা কোন ব্যবস্থা নিবো না।

নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের আচরণবিধি শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারে। এটা নিয়ে আমরা কোন আপত্তি করব না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিজেই বলেছেন জিয়ার রাজনীতি থেকে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে সম্মানিত বোধ করছেন। তারও তো স্বাধীনতা আছে। তার যদি আওয়ামী লীগ করতে ভাল লাগে তার সে স্বাধীনতা আছে। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, হয়তো আগে ভুল করে থাকতে পারে। নিজেই স্বীকার করেছেন। ইলেকশনে অনেকগুলো কৌশলের ব্যাপার আছে। কৌশলগত সিদ্ধান্ত আমরা নিতেই পারি। এখানে কোন ভুল নেই। নির্বাচন কমিশনের কোন কোড কেউ এখানে লঙ্ঘন করেনি।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলগতভাবে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, অ্যাকশনের ব্যাপারটা ভিন্ন। আমাদের কৌশলগত দিক আছে। আমাদের নেত্রীর বক্তব্য যেটা উনি গণভবনে দিয়েছিলেন, আমাদের প্রার্থীদের উদ্দেশে। সেখানে আমরা ঢালাওভাবে সবাই ইলেকশন করব বিষয়টা এমন না। দলীয় শৃঙ্খলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ১৭ তারিখের মধ্যে আমরা বিষয়টা নতুন করে দেখবো। অ্যাডজাস্টমেন্ট, অ্যাকুমুডেশন আমরা দলীয়ভাবে বিষয়টি দেখব।

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

যে কারণে বিএনপি ছাড়লেন শাহজাহান ওমর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কারামুক্তির পরদিনই অনেকটা নাটকীয়ভাবে বিএনপি থেকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ওমর বীরউত্তম।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে নিজের আইন পেশার চেম্বারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আপালকালে শাহজাহান ওমর বলেন, এই মুহূর্ত থেকে আমি আর ‘বিএনপি ম্যান’ নই।

হঠাৎ করে দল বদল করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে শাহজাহান ওমর বলেন, আর কতবার নির্বাচনের বাইরে থাকব। এসময় তিনি বলেন, বিএনপির ২০১৪ সালের নির্বাচনে যাওয়া উচিত ছিল।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও বিএনপি যেন ভোটে আসে, সেজন্য কারাগারে দলের মহাসচি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য শীর্ষ নেতাদের বলেছেন বলে জানান তিনি। ওই সময় তারা ইতিবাচক মনোভাবও দেখিয়েছিলেন বলে দাবি শাহজাহান ওমরের।

বিএনপির ভোট বর্জনের নীতির সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করে দলটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আর কতবার আমরা নির্বাচনের বাইরে থাকব? বিএনপির দোষ-গুণ বিবেচনার সামর্থ্য আমার নাই। আমি মনে করি, বিএনপির ২০১৪ সালে নির্বাচনে যাওয়া উচিত ছিল। ২০১৮ সালে যাওয়া মিসটেক ছিল এবং এবার যাওয়া উচিত ছিল।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ওমর বিএনপির টিকিটে ১৯৭৯, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

জোট সরকারের আমলে তিনি আইন প্রতিমন্ত্রী ও ভূমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ না পাওয়ায় এবং ঝালকাঠি জেলা বিএনপির নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে তারেক রহমানের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়।

;