‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন করলে সরকার ফেঁসে যাবে’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন করলে এ সরকার ফেঁসে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গুরুত্বের দাবি শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমেরিকায় অনিরাপদ বোধ করছেন। এর একমাত্র সমাধান তত্ত্বাবধায়ক সরকার। জেদ ধরে লাভ নাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সরকার নির্বাচন করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, মনে রাখতে হবে, বিপদ ধেয়ে আসছে। আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এতো বিপদ দেখিনি। একবার যদি আগুন লেগে যায়, মানুষ যদি রাস্তায় নেমে পড়ে, তাহলে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হবে। পুলিশ তার থানা ছেড়ে পালাবে, প্রশাসন তার ঘর ছেড়ে পালাবে। আর ক্ষমতাবানরা তাদের চেহারা পরিবর্তন করতে পারে।
দুদু বলেন, খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কোর্ট বেকায়দায় পড়ে গেছেন। এমনকি আমেরিকাও কোর্টকে ভিসানীতির আওতায় নিয়ে এসেছেন। এ সরকার শেষের দিকে চলে এসেছে। তারা গত ১৫ বছর অনেক খারাপ কাজ করেছে। শেষ সময়ে কিছু ভালো কাজ করলে জনগণের রোষাণল থেকে বাঁচতেও পারে। জনগণের দাবির অনুকূলে পরাজয় স্বীকার করা ইতিবাচক। ৯৬ সালে খালেদা জিয়া তা করে দেখিয়েছেন। আন্দোলনের সময় তিনি কেয়ারটেকার মেনে আইন পাশ করে পার্লামেন্ট ভেঙে পদত্যাগ করেছিলেন। যা গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক গৌরবজ্জল দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে কাজগুলো করেছেন, সেগুলোর দায় স্বীকার করে নিন। তাহলে হয়তো জনগণের ক্ষোভের থেকে রক্ষা পেতে পারেন। আরেকটা কারণে বাঁচতে পারেন, যদি আমেরিকা থেকে সরাসরি খালেদা জিয়ার বাসায় যান, এতে লজ্জার কিছু নেই। ক্ষমা চাইতে হবে না, বলবেন যা হওয়ার হয়েছে,আসেন সব ঠিক করি।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।